স্পোর্টস ডেস্ক : হঠাৎ করেই সব ধরনের ক্রিকেটকে বিদায় বলে দিলেন মোহাম্মদ শরীফ। ৩৪ বছর বয়সী এই ডানহাতি পেসার শনিবার অবসরের ঘোষণা দেন।
জাতীয় দলে সবশেষ খেলেছেন সেই ২০০৭ সালে। কিন্তু ঘরোয়া ক্রিকেটে দাপটের সঙ্গেই খেলে যাচ্ছিলেন। যখন থামলেন তখন বিরল একটা কীর্তি থেকে ছিলেন সামান্য দূরে। দেশের প্রথম পেসার হিসেবে ৪০০ ফার্স্ট ক্লাস উইকেটের কীর্তি থেকে ছিলেন মাত্র ৭ উইকেট দূরে। বিদায় বেলায় যা পোড়াচ্ছে শরীফকেও।
জাতীয় দলের হয়ে ১০ টেস্ট ও ৯ ওয়ানডে খেলা এই পেসার তাই সরাসরিই বললেন, ‘প্রত্যেকে হৃদয়ে কষ্ট নিয়েই বিদায়ের সিদ্ধান্ত জানায়। আমারও হতাশা আছে। যেমন আমি যদি আরো ৭ উইকেট নিতে পারতাম, তবে আমি দেশের প্রথম পেসার হিসেবে ৪০০ উইকেটের কীর্তি গড়তে পারতাম।’
১৩২ প্রথম শ্রেণির ম্যাচে ৩৯৩ উইকেট নেওয়া শরীফ আসলে এত দ্রুত থামতে চাননি। আরো অন্তত দুই বছর চালিয়ে যেতে চেয়েছিলেন ঘরোয়া ক্রিকেট। কিন্তু ইনজুরির কারণে হার মানতে হলো তাকে।
অনেক দিন ধরেই যে কাঁধের চোটটা খুব ভোগাচ্ছিল, ‘সত্যি বলতে কাঁধের ইনজুরিই আমাকে এই ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করেছে। বিপ টেস্টে আমার ১১ স্কোর ছিল। এরপর আমি কাঁধের চোটে পড়লাম। এ অবস্থায় সবকিছু ফিফটি-ফিফটি অবস্থায় ছিল।’
শরীফ তাই করোনার কারণে স্থগিত হয়ে যাওয়া প্রিমিয়ার লিগে নিজেকে জড়াননি। ফিফটি-ফিফটি অবস্থানে থেকে ক্যারিয়ারকে টানতে চাননি, ‘আমি চাইনি এভাবে কোনো ক্লাবের সাথে যুক্ত থাকতে। এভাবে যদি আমি কোনো ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত হতাম তবে সেই ক্লাবের সঙ্গে প্রতারণা করা হতো। তারা অনেক প্রত্যাশা নিয়ে আমাকে নিত। কিন্তু আমি যদি শতভাগ দিতে না পারতাম তবে আমি তাদের কাছে হতাশার বিষয় হতাম।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।