প্রায় দুই মাস আগে শেষ হওয়া কোপা আমেরিকায় উরুগুয়ের দৌড় ছিল সেমিফাইনাল পর্যন্ত। কলম্বিয়ার কাছে হেরে বিদায়ঘণ্টা বাজার ম্যাচটিতে দলটির ফুটবলাররা গ্যালারিতে গিয়ে দর্শকদের সঙ্গে মারামারিতেও জড়িয়েছিলেন। যার জন্য কড়া শাস্তি পেলেন ডারউইন নুনিয়েজ, রোনাল্দ আরাউহো–সহ ১৬ ফুটবলার। এর মধ্যে তারকা ফরোয়ার্ড নুনিয়েজ সর্বোচ্চ পাঁচটি আন্তর্জাতিক ম্যাচের জন্য নিষেধাজ্ঞা পেয়েছেন।
লিভারপুলের এই উরুগুইয়ান তারকাকে কলম্বিয়ার বিপক্ষে ম্যাচশেষে আগ্রাসী ভঙ্গিতে মারামারিতে জড়াতে দেখা গেছে। যার জন্য ২৫ বছর বয়সী এই তারকাকে সর্বোচ্চ পাঁচ ম্যাচ নিষিদ্ধ করেছে কনমেবল। একইসঙ্গে নুনিয়েজকে ২০ হাজার মার্কিন ডলারও জরিমানা করা হয়েছে। এ ছাড়া উরুগুয়ের মিডফিল্ডার রদ্রিগো বেন্তাকুরকে চার ম্যাচ, ডিফেন্ডার মাথিয়াস ওলিভেরা, রোনাল্দ আরাউহো এবং জোসে মারিয়া গিমেনেজ তিন ম্যাচ নিষিদ্ধ করেছে লাতিন ফুটবলের অভিভাবক সংস্থাটি।
আজ (বুধবার) এক বিবৃতিতে শাস্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে কনমেবলের গভর্নিং বডি। পাঁচ ফুটবলারকে নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি ১১ জনকে জরিমানা করা হয়েছে। উরুগুয়ের ফুটবল এসোসিয়েশনকেও ২০ হাজার ডলার জরিমানার পাশাপাশি সতর্ক করেছে কনমেবল। একইসঙ্গে পরবর্তী ছয় মাস যেকোনো প্রতিযোগিতায় স্টেডিয়ামে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে এসোসিয়েশন প্রধান মার্সেলো গারসিয়াকে।
এই শাস্তির বিরুদ্ধে আগামী ৭ দিনের মধ্যে আপিল করতে পারবেন উরুগুয়ে এসোসিয়েশন ও শাস্তিপ্রাপ্ত ফুটবলাররা। তবে নিশ্চিতভাবেই এটি দলটির জন্য বড় ধাক্কা। কারণ ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে কয়েকদিন পরই মাঠে নামার কথা রয়েছে উরুগুয়েসহ লাতিন দেশগুলোর। যেখানে নিষেধাজ্ঞা পাওয়া ফুটবলারদের ছাড়াই উরুগুইয়ানদের খেলতে হবে।
গত ১১ জুলাই কোপার ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে মুখোমুখি হয় উরুগুয়ে ও কলম্বিয়া। যেখানে দাপুটে কলম্বিয়ার কাছে ১-০ গোলে হেরে যায় মার্সেলো বিয়েলসার দল। জানা যায়, ম্যাচের পর উল্লসিত কলম্বিয়ান সমর্থকরা মাঠে থাকা উরুগুয়ে স্ট্রাইকার নুনিয়েজের দিকে প্লাস্টিকের গ্লাস এবং পানি নিক্ষেপ করেন। একইসঙ্গে গ্যালারিতে থাকা উরুগুয়ে ফুটবলারদের পরিবারের সদস্যদের প্রতিও বিভিন্ন ব্যাঙ্গাত্মক মন্তব্য ছুঁড়ে দিতে শুরু করেন তারা। বিষয়টাকে মোটেই ভালোভাবে নেননি উরুগুয়ের দুই ডিফেন্ডার গিমেনেজ এবং আরাউহো। সে কারণেই মূলত চটে যান তারা।
এদের মধ্যে নুনিয়েজকেই দেখা গেছে আগ্রাসী ভূমিকায়। আরাউহোকে সেখানে দেখা গেলেও সংঘর্ষে জড়াননি তিনি। এ নিয়ে পরে ব্রডকাস্টিং চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে গিমেনেজ পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘আমাদের পরিবারকে বের করে আনতেই হতো। সদ্যজাত বাচ্চারা ছিল ওখানে। কিন্তু কোনো পুলিশ নেই। আমি আশা করব তারা পরিবারগুলো, সমর্থক আর স্টেডিয়ামের আশপাশের নিরাপত্তায় আরও সতর্ক হবে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।