জুমবাংলা ডেস্ক: বহুল প্রতীক্ষিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) অধীন সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের উদ্বোধন হয়েছে। ৭৫০ শয্যাবিশিষ্ট এই হাসপাতালের প্রতি ওয়ার্ডে আছে ৮টি করে শয্যা। বহির্বিভাগে প্রতিদিন প্রায় ৮ হাজার রোগীকে সেবা দেওয়া হবে। এতে খরচ কমার পাশাপাশি অবসান হবে জটিল রোগীদের ভোগান্তিরও।
সমন্বিত ব্যবস্থার মাধ্যমে এই হাসপাতালের এক ভবনেই জটিল রোগীদের সব স্বাস্থ্য সমস্যার সমাধান মিলবে। এছাড়াও এখানে বোন ম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্টেশান, জিন থেরাপি এবং অন্যান্য অত্যাধুনিক গবেষণাপ্রাপ্ত স্বাস্থ্যসেবা পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ভাইস চ্যন্সেলর অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ।
তিনি জানান, বাংলাদেশ থেকে অনেকেই দেশের বাইরে গিয়ে চিকিৎসা সেবা নিয়ে থাকেন। যাওয়া-আসায় যে অর্থ খরচ হয়, সেটি দিয়েই তারা এ হাসপাতাল থেকে সে মানের চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করতে পারবেন। এ হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা গ্রহণের ফলে বিদেশমুখিতা কমে আসবে। কারণ বর্তমানে সিঙ্গাপুর, কোরিয়াসহ বিশ্বের অধিকাংশ উন্নত দেশে সেন্টার বেইজড চিকিৎসা সেবা পদ্ধতি আছে, এ ধরনের চিকিৎসা সেবা এখানে দেওয়া যাবে।
কী আছে এই হাসপাতালে
৭৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের মধ্যে ১০০টি সিট থাকবে ইমারজেন্সি এন্ড এক্সিডেন্ট। ১০০ বেডের আইসিইউ। থাকবে অত্যাধুনিক ১০ টি অপারেশন থিয়েটার। থাকবে ১০০ বেডের আইসিইউ। ৬৪টি কেবিন থাকবে; এর মধ্যে রয়েছে ৬টি ভিভিআইপি কেবিন, ২৩টি ভিআইপি কেবিন। বাকিগুলো ডিলাক্স কেবিন। বিভিন্ন বিভাগ, ডিসিপ্লিন নিয়ে থাকবে বিশ্বমানের পাঁচটি সেন্টার।
অধ্যাপক শারফুদ্দিন বলেন, চিকিৎসা সেবার আধুনিক এ হাসপাতালটিতে থাকবে ‘নিওমেটিক পাত ওয়েব সিস্টেম’। এর মাধ্যমে ব্লাড ও প্যাথলজিক্যাল যে কোন বস্তু অনায়াশে আদান প্রদান করা যাবে ল্যাবরেটরিতে। এতে করে কোনও লোকবলের প্রয়োজন হবে না। এ নিওমটিক টিউবসিস্টেমের মাধ্যমে ব্লাড ও প্যাথলজিক্যাল স্যাম্পল চলে যাবে ল্যাবরটরিতে।
সেন্টার বেইজড: এক হাসপাতালেই সব সুবিধা
সেন্টার বেইজড হাসপাতাল মানে হচ্ছে, এক হাসপাতালের মধ্যেই এক একটা সেন্টারে আলাদা আলাদা চিকিৎসা ব্যবস্থা। ফলে রোগীর এক সমস্যা থেকে অন্য কোন সমস্যায় পড়ে গেলে সঙ্গে সঙ্গে তার ওই চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হবে। এতে করে রোগীকে দ্রুত চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হবে।
এ ব্যপারে অধ্যাপক শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, উন্নতমানের চিকিৎসা সেবা দেওয়ার ফলে হাসপাতালের কিছুটা খরচ বেড়ে যাবে। অন্যান্য সরকারি হাসপাতাল থেকে হয়তো সামন্য খরচ বেশি হবে। তবে কর্পোরেট হাসপতালের মতো খরচ বহন করতে হবে না।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
অধ্যাপক শারফুদ্দিন বলেন, ভবিষ্যতে এ হাসপাতালে রোবাটিক সার্জারি সিস্টেম,ন্যানো টেকনোলজি, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স যা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের একটি অংশ, ভবিষ্যতে এসব প্রযুক্তি এ হাসপাতালে নিয়ে আসা হবে বলে জানান তিনি।
এছাড়াও হাসপাতালটি উদ্বোধনের পর দেশিয় চিকিৎসকদের পাশাপাশি দু’ বছর কোরিয়ার ৫৬ জন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োজিত থাকবেন।
বৈদেশিক মুদ্রা আয় নিয়ে অধ্যাপক শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, চিকিৎসা সেবা দিয়ে আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত প্রতি বছর দুই বিলিয়ন ডলার আয় করে। আমরাও এই অত্যাধুনিক হাসপাতালের মাধ্যমে বিশ্বের অন্যান্য উন্নত দেশের মতো বিদেশি নাগরিকদের উন্নতমানের চিকিৎসা সেবা দিতে পারবো, ফলে আয় হবে বৈদেশিক মুদ্রা। এতে করে পার্শ্ববর্তী দেশ (শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ভুটান,মালদ্বীপ) থেকে রোগী পাওয়া সম্ভব হবে। ফলে আয় হবে বৈদেশিক মুদ্রা।
কী পেলাম সেটা আপেক্ষিক, ভাগ্যিস প্রশ্ন করেননি কী দিলাম? ভারত সফর নিয়ে প্রধানমন্ত্রী
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।