বিনোদন ডেস্ক: একই সঙ্গে বলিউডে পথ চলা শুরু করেছিলেন আমির খান এবং জুহি চাওলা। ‘কেয়ামত সে কেয়ামত তক’ ছবিতে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছিল দুই তারকাকে। পর্দায় তাদের সম্পর্কের রসায়ন দর্শকের মনে ধরেছিল।
প্রথম ছবি হিট করার পর বলিউডের ছবি নির্মাতারা বুঝে গিয়েছিলেন যে, দর্শক পর্দায় জুটি হিসাবে আমির এবং জুহিকে দেখার অপেক্ষায় দিন গুনছেন। তাই ১৯৮৮ সালে ‘কেয়ামত সে কেয়ামত তক’ ছবিটি মুক্তি পাওয়ার পর তাদের কাছে একের পর এক ছবির প্রস্তাব আসতে থাকে।
‘হাম হ্যায় রাহি প্যার কে’, ‘তুম মেরে হো’, ‘লাভ লাভ লাভ’, ‘দৌলত কি আগ’, ‘আতঙ্ক হি আতঙ্ক’ ছবিতে আমির এবং জুহিকে একসঙ্গে অভিনয় করতে দেখা যায়। আমির এবং জুহি নব্বইয়ের দশকে পর্দার সেরা জুটি হিসাবেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন।
আমির এবং জুহির মধ্যে এমনই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল যে বলিউডের অনেকে দাবি করেছিলেন, দুই তারকা সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন। যদিও আমির এবং জুহি দু’জনেই এই কথা অস্বীকার করেন।
কিন্তু ছবির শুটিংয়ের সময়ই আমির এবং জুহির বন্ধুত্বে চিড় ধরে। ১৯৯৭ সালে ইন্দ্র কুমারের পরিচালনায় মুক্তি পায় ‘ইশক’ ছবিটি। এই ছবিতে আমির এবং জুহির পাশাপাশি অভিনয় করেছিলেন অজয় দেবগন এবং কাজল।
‘ইশক’ ছবির শুটিং চলাকালীন আমিরের সঙ্গে জুহির এমন অশান্তি বাধে যে নায়কের সঙ্গে বহু বছর কথাই বলেননি জুহি। অন্য দিকে, আমিরও এড়িয়ে চলতেন জুহিকে।
কানাঘুষো শোনা যায় যে, আমির শুটিংয়ের মাঝেমধ্যে তার সহ-অভিনেত্রীদের সঙ্গে ঠাট্টা-তামাশা করতেন। হাতের রেখা পর্যবেক্ষণ করে ভবিষ্যৎ বলে দিতে পারেন বলে মাধুরীকে জানিয়েছিলেন আমির।
কিন্তু হাত দেখার অজুহাতে মাধুরীর হাতে থুতু ফেলে দিয়েছিলেন আমির। সূত্রের খবর, এর পর আমিরকে মারবেন বলে হকি স্টিক নিয়ে সেটের মধ্যেই তাড়া করেছিলেন মাধুরী।
‘ইশক’ ছবির শুটিংয়ের সময়েও নাকি অজয় এবং আমির দু’জনে মিলে জুহির সঙ্গে মজা করেছিলেন। কিন্তু দুই অভিনেতা এতটাই বাড়াবাড়ি শুরু করেন যে, জুহি শেষে কেঁদে ফেলেন।
আমিরের উপর রেগেও যান জুহি। তার পর আর নায়কের সঙ্গে কাজ করেননি তিনি। এক পুরনো সাক্ষাৎকারে আমির এই প্রসঙ্গে জানিয়েছিলেন যে, জুহির সঙ্গে মজা করার পর তিনি আমিরের সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছিলেন।
এমনকি, আমিরের উপর রাগ করে শুটিং করতে যাওয়া থামিয়ে দিয়েছিলেন জুহি। যে দিন এই ঘটনাটি ঘটে, তার পরের দিন সত্যিই জুহি কাজে আসেননি। অভিনেত্রী না আসার কারণে সে দিনের শুটিং বাতিল হয়ে যায়।
অন্যদিকে আমিরও রেগে যান জুহির প্রতি। ঠাট্টা-তামাশার ঘটনাকে পেশাদারিত্বের সঙ্গে জুহি গুলিয়ে ফেলেছিলেন বলে ক্ষুব্ধ হন আমির। কাজের সঙ্গে কোনোভাবেই আপস করা পছন্দ করেন না অভিনেতা।
‘ইশক’ ছবির পর একসঙ্গে কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছিলেন আমির এবং জুহি। ছবি মুক্তির পর দুই দশকের বেশি সময় পার হয়ে গেলেও এ দুই তারকাকে একই পর্দায় অভিনয় করতে দেখা যায়নি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।