ভ্যাম্পায়ার ট্রিটমেন্ট: বাড়বে যৌবনের স্থায়িত্ব, আশা দেখাচ্ছে গবেষণা
লাইফস্টাইল ডেস্ক : মানুষ যৌ ব নকালের স্থায়িত্ব বৃদ্ধির জন্য কত কিছুই না করে, করেছে। এই তালিকায় রয়েছেন বিজ্ঞানীরা। সম্প্রতি একদল গবেষক মানুষের যৌবনকালের স্থায়িত্ব বৃদ্ধির লক্ষ্যে বেশ কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা চালিয়েছেন। তাতে তারা আংশিক সফলও বলা চলে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের খবর, ক্যালিফোর্নিয়ার একদল গবেষক একটি ইদুরের ওপর পরীক্ষা চালিয়ে এর আয়ু বৃদ্ধি করতে পেরেছেন। বর্তমানে ৪৭ মাস বয়সী ইঁদুরটির নাম সীমা।
গবেষণায় একই প্রজাতির দুই দল ইঁদুর নেয়া হয়। এদের মধ্যে একটি গ্রুপকে দেয়ায় হয় প্ল্যাসিবো স্যালাইন অপর গ্রুপের ইঁদুরগুলোকে দেয়া হয় বিভিন্ন প্রাণির রক্তের প্লাজমা। এবং প্লাজমা গ্রহণকারী ইঁদুরগুলো অন্য ইঁদুরগুলোর তুলনা বেশি সময় জীবিত ছিল।
এই বিষয়ে ‘য়ুভান রিসার্চ’ নামে পরিচিত গবেষণাটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন ড. হ্যারল্ড ক্যাচার। তিনিই দাবি করেছেন যে, তারা ইঁদুরের জীবনকাল বাড়াতে সফল হয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের পরীক্ষার আসল বিষয় জীবনকাল বাড়ানোর জন্য খুব বেশি একটা নিয়োজিত নয় বরং মানুষের তারুণ্যের সময়কালকে দীর্ঘায়িত করা, মানুষকে পুনরুজ্জীবিত করা, তাদের সোনালী বছরগুলোকে যন্ত্রণা ও অবক্ষয়ের বছরের পরিবর্তে সত্যিকারের সোনার বছর হিসেবে গড়ে তোলা।’
হ্যারল্ড ক্যাচরের মতে, দীর্ঘায়ু হওয়ার বিষয়টি মূলত যৌবনকাল স্থায়ীকরণের গবেষণার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া। তিনি বলেন, ‘বাস্তবতা হলো, এটি কোনোভাবেই নেতিবাচক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নয়।’ ক্যাচারের অনুমান, প্লাজমাভিত্তিক গবেষণা থেকে নিরাপদ এবং কার্যকর চিকিৎসা বের করা আগামী ২০ বছরের মধ্যেই সম্ভব।
কিন্তু এত প্লাজমার উৎস কী হবে? বিজ্ঞানীরা বলছেন, শূকর, গরু, ছাগল, ভেড়া এবং এমনকি মানুষসহ সব স্তন্যপায়ী প্রাণী সম্ভাব্য দাতা হতে পারে। তারা কসাইখানায় জবাই করা পশুদের রক্ত সংগ্রহ করারও পরামর্শ দেন।
আপনার রাতের ঘুম উড়িয়ে দেবে এমএক্স প্লেয়ারের এই ওয়েব সিরিজ
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।