ভেড়া পালন করলে ‘মর্যাদা’ বাড়ে বলে কি আপনার মনে হয়?— আপনার মনে হোক বা না হোক মূল কথা হচ্ছে— যা সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে তা মূল্যবান হিসেবে বিবেচিত হয়। তা হোক গাড়ি কিংবা ভেড়া।
প্রশ্ন আসতে পারে— ভেড়ার এমন কি দাম যে সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার একেবারে বাইরে হয়ে গেলো? মাঝে মাঝে যা হবার নয় তাও হয়। যেমনটা হচ্ছে সেনেগালে। একটি ভেড়ার দাম ৭০ হাজার ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৮২ লাখ টাকার বেশি।
সেনেগালের মাথাপিছু জিডিপি ১ হাজার ৬০০ ডলার। সেই দেশের একজন নাগরিক চাইলেই এই ভেড়া কিনতে পারার কথা নয়!
ওই দেশের ২৪ বছর বয়সী মেষপালক শেখ মুস্তাফা সেক। আফ্রিকা মহাদেশের প্রায় প্রত্যেক দেশ থেকে মানুষ তার কাছে যায় ভেড়া কেনার জন্য। শেখ মুস্তফা সেক আদর, ভালোবাসা আর মমতা দিয়ে এসব ভেড়া বড় করে তোলেন। তার ভেড়াগুলোর আলাদা আলাদা নামও আছে।
মজার ব্যপার হচ্ছে, সেনেগালের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ওসমান সনকোর নামে তারও একটি ভেড়া আছে। তবে ভেড়ার নাম যখন সনকো রাখা হয় তখন ওসমান সনকো ছিলেন বিরোধি দলীয় নেতা।
লাদুম প্রজাতির এই স্থানীয় ভেড়া দেখতে অনন্য সুন্দর। এগুলোর ওজন ৩৯৭ পাউন্ড বা ১৮০ কেজি হয়ে থাকে। এক একটি ভেড়া বিক্রি করে বিলাশবহুল গাড়ির চেয়ে বেশি টাকা পাওয়া যায়। এ কারণে প্রজাতিটি পশ্চিম আফ্রিকার উপকূলীয় দেশগুলোর মেষপালকদের কাছে অনেক জনপ্রিয়।
ঝকঝকে সাদা পশম এবং প্যাঁচানো সিংয়ের জন্য লাদুমের খ্যাতি আছে। মর্যাদাপূর্ণ পশু পালনের প্রতীক হিসেবে মূলত এটি লালন-পালন করেন সেনেগালের মানুষ। এসব ভেড়া সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে থাকে। সর্বনিম্ন ৪০ হাজার ডলারে কেনা যায় লাদুম প্রজাতির ভেড়া।
এই ভেড়া কিনলেই হলো না, তাকে নিয়মিত পার্লারে নিতে হয়। শরীরে মালিশের প্রয়োজন পড়ে। এ ছাড়া ভিটামিন খাওয়াতে হয়। যারা কেনেন তারা শুধু বাণিজ্যের আশায় কেনেন না। লাদুম প্রজাতির ভেড়া পালন করা হয় আনন্দ পাওয়ার আশায় আর মর্যাদা বাড়ানোর জন্য। সেনেগালের উচ্চবিত্ত আর সৌখিন মানুষেরা এসব ভেড়া ক্রয় করেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।