জুমবাংলা ডেস্ক : ফেনীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাতের জবানবন্দি ভিডিও করে ছড়িয়ে দেয়ার মামলায় সোনাগাজী সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনকে ৮ বছরের জেলের পাশাপাশি যে ১৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে সেই টাকা নুসরাতের পরিবার পাবে বলে জানিয়েছে আদালত।
বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আস-শামস জগলুল হোসেন বৃহস্পতিবার দুডুরে এ রায় ঘোষণা করেন। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় এটিই প্রথম কোনও রায়।
আইনের দুটি ধারায় এ রায় এসেছে আদালতের। ২৬ ধারায় মোয়াজ্জেমকে ৫ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেয় আদালত। আর ২৯ ধারায় তিন বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা, যা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে সোনাগাজীর সাবেক ওসি মোয়াজ্জেমকে।
গত ১৫ এপ্রিল নুসরাতের জবানবন্দি ভিডিও করে ছড়ানোর অভিযোগে মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার আবেদন করেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
আদালত তার জবানবন্দি নিয়ে ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮ এর ২৬, ২৯ ও ৩১ ধারায় করা অভিযোগটি পিটিশন মামলা হিসেবে গ্রহণ করে। পরে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেন আদালত। ২৭ মে পিবিআইয়ের প্রতিবেদন আমলে নেয় আদালত। পরে ওইদিনই আসামি মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন মামলার বাদী সুমন।
১৭ জুলাই বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আস-শামস জগলুল হোসেন ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। ১৬ জুন রাজধানীর শাহবাগ থেকে মোয়াজ্জেমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ১৭ জুন আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
সবশেষ গত ২০ নভেম্বর রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য ২৮ নভেম্বর দিন ধার্য করেন সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক। মামলায় ১২ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।