জুমবাংলা ডেস্ক : চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) ল্যাবে ৬১টি নমুনা পরীক্ষার মধ্যে ৪০ জনের পজিটিভ এসেছে। আর নেগেটিভ এসেছে ২১টি। বন্দরনগরীতে এ যাবত কালের করোনার সর্বোচ্চ রেকর্ড। এর আগে সেখানে এত সংখ্যক রোগী পাওয়া যায়নি।
বৃহস্পতিবার (০৭ মে) রাতে সিভাসু থেকে এ রিপোর্ট হাতে আসার পর কিছুটা দ্বিধায় ছিলো চট্টগ্রামের স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা। বারবার ক্রসচেক করে শুক্রবার (০৮ মে) বেলা ১টা ৫ মিনিটে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রামে বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. হাসান শাহরিয়ার কবির।
এ ব্যাপারে সিভাসু ল্যাবের ইনচার্জ প্রফেসর জুনায়েদ সিদ্দিকী জানান, ফৌজদারহাট বিআইটিডি থেকে ৬১ নমুনা পাঠানো হয়েছে। আমরা শুধু ল্যাবে পরীক্ষা করেছি। পরীক্ষায় ৪০টি পজিটিভ এসেছে। ২১টি নেগেটিভ। এখানে পুরাতন রোগীও থাকতে পারে বলে জানান তিনি।
চট্টগ্রামের ৪০টি পজিটিভের মধ্যে ১৪টি মহানগরের বাইরে। সেগুলো হলো সাতকানিয়া ৭, সীতাকুণ্ড ৫, হাটহাজারী ১, বোয়ালখালী একজনসহ মোট ১৪ জন।
অন্যদিকে মহানগর এলাকায় সাগরিকা (অলংকার) ১, বহদ্দারহাট ১, হালিশহর-৩, কসমোপলিটন-১, আগ্রাবাদ-১, মেহেদীবাগ ১, বাকলিয়া ৪,নাসিরাবাদ ১, মোগলটলী ১, ইপিজেড ২, সরাইপাড়া ১, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল (কক্সবাজার ) -১, ফিরিঙ্গীবাজার-১, দামপাড়া-১, আইসফ্যাক্টরী (কোতোয়ালী)-১, মীর্জাপুল-১, সদরঘাট-১ ,আমবাগান রেলওয়ে কলোনী-১, সাগরিকা (কাজিরদীঘি) ১, খাগড়াছড়ি ১।
যদিও ৬ মে সিভাসু ল্যাবের আগের দুই দিনে (৪ ও ৫ মে) পরীক্ষিত ১২২টি নমুনার ২২টি নমুনা পজিটিভ হয়। এর মধ্যে ১২ জন চট্টগ্রামের। বাকিগুলো অন্য জেলায়।
চট্টগ্রামে ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি ও সিভাসুর দুইটি ল্যাবে করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হয়। চট্টগ্রাম জেলায় এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ১৫৮ জন্য। মারা গেছে ১৩ জন। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ৪৭ জন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।