সত্যিই আপনার দেহের ওপর অন্য কিছু প্রাণীর অধিকার আছে। যথারীতি তারা আপনার শরীরেই বাস করছে, হয়তো আপনার নিজেরই সে খবর জানা নেই। চলুন জানার চেষ্টা করি, আপনার অজান্তে কারা বাস করছে আপনার শরীরে!
আইল্যাশ মাইট
আট পায়ের এই ক্ষুদ্র প্রাণী আমাদের শরীরে বাস করে। কিন্তু এটা এত ক্ষুদ্র যে খালি চোখে দেখা যায় না। সাধারণত আমাদের চোখের পাতা বা ভ্রুতে থাকে এগুলো। কিন্তু রাতে মুখের ওপর ঘোরাফেরা করে। ক্ষুদ্র এই প্রাণীগুলো ওদের গোটা জীবন আমাদের চোখ ও মুখের ওপর কাটিয়ে দেয়, আমরা টেরও পাই না। এরা ত্বকের মৃত কোষ ও কোষের সঙ্গে থাকা কিছু তেল খায়। তবে আমাদের ত্বকের জন্য এগুলো ক্ষতিকর নয়।
অন্ত্রের জীবাণু
আমাদের অন্ত্রে কমপক্ষে ৫০০ প্রজাতির ব্যাকটেরিয়া বাস করে। না, এত ব্যাকটেরিয়ার কথা শুনে ঘাবড়ে যাবেন না। এরা আমাদের অন্ত্রের ক্ষতি করে না, বরং উপকারই করে। আমরা যে খাবার খাই, তা ভেঙে টুকরো টুকরো করে এসব ব্যাকটেরিয়া। খাবার না ভাঙলে তা পরিপাক হতো না। তখন আমরা পড়ে যেতাম মহা ঝামেলায়। পাশাপাশি ভিটামিন কে-এর মতো পুষ্টি তৈরি করতেও সাহায্য করে এসব ব্যাকটেরিয়া।
দাঁতের ব্যাকটেরিয়া
সকালে ঘুম থেকে উঠে হাই ছাড়লেন, আর অমনি মুখ থেকে গন্ধ বের হয়েছে? বিচ্ছিরি, যা-তা একটা অবস্থা। তবে এ জন্য আপনি ব্যাকটেরিয়ার ঘাড়ে দোষ চাপাতে পারেন। আসলে খাবার খেলে দাঁতের ফাঁকে কিছু খাবার কণা থেকে যায়। রাতে ঘুমানোর পর দাঁতে তৈরি হয় কিছু নচ্ছার ব্যাকটেরিয়া। অনেক সময় এসব ব্যাকটেরিয়া সেই খাবারগুলো খায়। এতে ব্যাকটেরিয়া থেকে দুর্গন্ধযুক্ত যৌগ নিঃসরণ হয়। তারপর সকালে যখন ঘুম থেকে উঠে মুখ খুলি (হাই তুলি), তখন গন্ধটা বেরিয়ে আসে। তাই রাতে খাওয়ার পরে ব্রাশ করা উচিৎ।
পায়ের ছত্রাক
পায়ের তলা বা তালু ভালো করে খেয়াল করুন। চামড়া ওঠার মতো কিছু দেখতে পাচ্ছেন? অথবা নখ পচে যাচ্ছে? এটা ফাঙ্গাস বা ছত্রাকের কারণে হয়। অনেক সময় এই ছত্রাকের কারণেই পায়ের পাতা জ্বলে। স্যাঁতসেঁতে মোজা ও জুতা পড়লে এই ছত্রাকের বৃদ্ধি পেতে সুবিধা হয়। কারণ, এরা উষ্ণ ও আদ্র পরিবেশে দ্রুত বৃদ্ধি পায়। তাই এ ধরনের জুতা ও মুজা না পড়াই ভালো। পায়ের এই ছত্রাক ধীরেধীরে শরীরের অন্যস্থানে ছড়িয়ে পড়লে বিপদ হতে পারে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।