প্রযুক্তির অতিরিক্ত ব্যবহার, ধূমপান ও মদ্যপান, শারীরিক কাজকর্মের প্রতি অনীহা, ফিজিক্যাল এক্সারসাইজ না করা, পরিমিত খাবার পরিহার করে অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাসে জড়িয়ে পড়া ইত্যাদি নানা কারণে আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। আধুনিক জীবন যাত্রার প্রভাব মানসিক স্বাস্থ্যের উপর যেভাবে পড়ে তা আলোচনা করা হবে আজকের আর্টিকেলে।
বন্ধু বা আত্মীয়দের সাথে যোগাযোগ করা, একাডেমিক কার্যকলাপ, নিউজ পড়া, চাকরি বা ব্যবসা সবকিছুতেই ইন্টারনেট ও প্রযুক্তির ব্যবহার এখন নিয়মিত বিষয়। তবে স্ক্রিনটাইম বেড়ে যাওয়ার কারণে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অভ্যাসে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
অনেক ক্ষেত্রে তা হতাশা এবং ডিপ্রেশনের জন্ম দিচ্ছে। প্রযুক্তির প্রতি আসক্তি থাকার ফলে কমিউনিকেশন গ্যাপ তৈরি হচ্ছে। ধূমপানো, মদ্যপান অনেক মানুষের কাছে খুব স্বাভাবিক মনে হয়।
কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদে তা শরীরের ও মস্তিষ্কের উপরে মারাত্মক প্রভাব ফেলে। আপনার মানসিক চাপ বৃদ্ধি পাবে এবং ধীরে ধীরে বিপর্যস্ত হয়ে পড়বেন। বর্তমান সময়ে আধুনিক জীবন ব্যবস্থায় ডেস্ক জবের পরিধি অনেক বিস্তৃত হয়েছে।
এর ফলে শারীরিক কাজকর্ম দিনে দিনে হ্রাস পাচ্ছে। ফলের শরীরের নড়াচড়া কম হচ্ছে। আপনার উদাসীনতা এবং বিষন্নতার জন্য এ বিষয়টি যথেষ্ট দায়ী। বাসায় তৈরি খাবার সবসময় শরীরের জন্য উপকারী।
কিন্তু ব্যস্ততা, চাকুরী, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় সহ নানা কাজের জন্য বাসায় রান্না করার সময় পাওয়া যায় না। বাহিরে অস্বাস্থ্যকর জাঙ্ক ফুড খাওয়ার ফলে শরীরের উপরে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এতে করে আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের ওপরে বিরূপ প্রভাব সৃষ্টি হয়।
সত্যি বলতে আধুনিক জীবন ব্যবস্থায় মানুষের দৈনন্দিন কার্যকলাপের ধরন বদলে যাচ্ছে। পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের উপরে তা বিরূপ প্রভাব ফেলছে। কাজের মানসিক চাপ সামলাতে আমরা অনেকেই নিজেদের সঠিক যত্ন করতে পারি না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।