বিশ্বের ২০টি বড় অর্থনীতির দেশের একটি হচ্ছে নেদারল্যান্ডের। সেখানে মাথাপিছু জিডিপি ৫০ হাজার ডলারেরও উপরে। পৃথিবীর অর্থনীতিতে শিক্ষণীয় বিষয় যোগ করার ইতিহাস রয়েছে তাদের। বিশ্বজুড়ে নেদারল্যান্ডের ক্ষেত্রে রয়েছে উইন্ডমিল ও টিউলিপ বাল্বের জন্য।
যখন অটোমান সাম্রাজ্য ছিল তখন সেখান থেকে বিশেষ আকৃতির টিউলিপ বাল্ব ইউরোপের ভিয়েনায় এসে পৌঁছায়। ওই টিউলিপ বাল্ব এত সুন্দর ছিল যে ওই সময় নেদারল্যান্ডের ধনী লোকেরা এটি নিজেদের বাসায় চাইতো।
টিউলিপ বাল্ব ধনী লোকদের মধ্যে এক ধরনের উন্মাদনা সৃষ্টি হয়। ফলে এর অর্থনৈতিক মূল্য বাড়তেই থাকে। আপনি জেনে অবাক হবেন যে, সাধারণ লোকেরা অন্য কাজ ছেড়ে সে সময়টি টিউলিপ বাল্বের ব্যবসায় নেমে পড়তে শুরু করে।
১৬ শতাব্দীতে টিউলিপ বাল্বের দাম রাজধানীর একটি দামি বাড়ির থেকেও বেশি হয়ে গিয়েছিল। অনেকে জমি বিক্রি করে টিউলিপ বাল্বের ব্যবসা শুরু করেছিল। একটা সময় পর টিউলিপ বাল্বের উৎপাদন অতিরিক্ত মাত্রা ছাড়িয়ে গিয়েছিল।
এজন্য টিউলিপ বাল্বের দাম অনেক কমে আসতে শুরু করে। ফলে এটি নিয়ে একটা সময়ে মানুষের উন্মাদনা কমে যেতে শুরু করে এবং হঠাৎ করে এর দাম বাড়িয়ে দিয়ে অনেক মানুষকে পথে বসানো হয়েছিল। ১৯৫৯ সালে প্রাকৃতিক গ্যাসের বিশাল মজুদ পাওয়ার পর তা রপ্তানি করে নেদারল্যান্ডের অর্থনীতির দারুন উন্নতি হচ্ছিল।
তবে ১৯৭০ থেকে ১৯৭৭ সালের মধ্যে হঠাৎ করে বেকারত্ব বাড়তেই থাকে। ওই ঘটনাকে বলা হয় ডাচ ডিসিস। নেদারল্যান্ডের কাছে প্রয়োজনের থেকে অধিক প্রাকৃতিক জ্বালানি ছিল এবং তারা বিক্রি করে যথেষ্ট আয় করছিল। এতে করে তাদের কারেন্সির দাম বাড়লেও অন্যান্য রপ্তানি যোগ্য পণ্যের ভ্যালু কমে যায়।
ফলে রপ্তানিযোগ্য অন্যান্য পণ্যের দাম বেড়ে যায়। এতে করে ওই সব পণ্যের ব্যবসায়ীরা লোকসানে পড়ে যায়। ফলে শ্রম বাজারে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। এক সেক্টরের দক্ষ জনগোষ্ঠী অন্য সেক্টরের দক্ষতার অভাবে কাজ করতে পারে না। ফলে একটি কাজের ক্ষেত্রে ফুরিয়ে গেলে সেখানে রেখে যায় একদল শিক্ষাহীন ও অদক্ষ শ্রমিক।
অতীত থেকে এভাবেই শিক্ষা নিয়ে ডাচরা নিজেদের অর্থনীতি দারুন ভাবে গুছিয়ে নিয়েছে। পাশাপাশি বিশ্ব অর্থনীতির শিক্ষায় তারা নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।