লাইফস্টাইল ডেস্ক : এমন কিছু টিপস জেনে নিন, যা দিয়ে প্রিয় মানুষগুলো ছাড়াও অন্যদের মুগ্ধ করে তুলতে পারবেন। তারা হতে পারে আপনার আত্মীয়, ক্লাসমেট, বন্ধু – বান্ধবী, আশেপাশের প্রতিবেশি কেউ অথবা যেই হয়ে থাকুক না কেন তাকে কিভাবে মুগ্ধ করবেন। বেশির ভাগ মানুষই যেটা জানতে চায় তা হল, কিভাবে কোন মেয়েকে সহজেই মুগ্ধ করতে পারবেন ?
১. দৃষ্টিকোন সঠিক দিকে রাখুন: প্রথম দেখায় কাউকে ভালোবেসে ফেলা। এ কথাটা হয়ত অনেকবারই শুনে থাকবেন। আর ছেলেদেরই এটা বেশি হয়ে থাকে। এটা হয় শুধুমাত্র চোখের নজরের ভিত্তিতে। তাই চোখের নজর ঠিকঠাক করে নিতে হবে। তবে যে কেউ এমনিতেই মুগ্ধ হয়ে যাবে। অনেকেই এখন হয়ত ভাবছেন, যে কিভাবে এটা করবেন ? মেয়েরা খুব সহজে বুঝে ফেলে যে, ছেলেদের নজর কোন দিকে রয়েছে। তাই নিজের নজর সবসময় সঠিক দিকেই রাখার চেষ্টা করতে হবে। সঠিক দিক বলতে কি বলা হচ্ছে তা আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন? যেমন কারো সঙ্গে কথা বলার সময় তার চোখের দিকেই তাকিয়ে কথা বলার চেষ্টা করতে হবে তাহলে সে ভাববে আপনি হয়ত তার সঙ্গে কথা বলতে অনেক খুশী আছেন আর আপনার মনে হয়ত কোন বাজে মতলব নেই।
২: হাসি মাখা মুখ: কোন মেয়ের সঙ্গে চোখে চোখ পড়ে গেলে হাসার চেষ্টা করতে হবে। হাসিটা কিন্তু ভেতর থেকে হতে হবে। তার মানে এই নয়, আপনি দাঁত বের করে আজব ভঙ্গিতে হা হা হাসবেন। তাহলে সে মুগ্ধ হওয়ার পরিবর্তে আপনার থেকে দূরে চলে যাবে। হালকা প্রাকৃতিক হাসিই যথেষ্ঠ। যেটা ওই মানুষটির কিছুসময়ের জন্য মনযোগ ভাঙ্গতে সাহায্য করবে। এতে তার মনে কিছুটা হলেও জায়গা দখল করতে পারবেন। হাসির মধ্যে সেই অনুভুতিটা রাখার চেষ্টা করবেন যে, আপনি তাকে দেখে খুশী আছেন। আর যখনই নিজের পরিবার, আত্মীয় বা বন্ধুবান্ধব যার সঙ্গেই কথা বলুন না কেন মুখে একটু হাসি রাখার চেষ্টা করবেন। তবে হতে পারে ওই সময়ই আপনার প্রিয় মানুষটি আপনাকে পর্যবেক্ষন করল। আর হ্যা! উদাস বা হতাস মানুষকে কেউই তেমন পছন্দ করে না। তার সঙ্গে কেউ কথা বলতেও আগ্রহী থাকে না। তাই এগুলো পরিহার করতে হবে।
৩. স্বার্থপর না হওয়া: একটি ছেলে ছিল যে কিনা একটি মেয়েকে খুবই পছন্দ করত। তাদের বাবাও একে অপরের ভালো বন্ধু ছিল। একদিন মেয়েটির বাবা ছেলেটির থেকে কলেজের ভর্তি পরিক্ষার ব্যাপারে কিছু সাহায্য চায়। সেই ছেলেটি কিছু না ভেবেই সাহায্য করতে শুরু করে। ছেলেটি অনেক দৌড়াদৌড়ি ও পরিশ্রম করে যার জন্য মেয়েটি যেখানে চেয়েছিল সেখানেই ভর্তি হতে পারে। বলুনতো কি কারণ ছিল ওই ছেলেটি মেয়েটিকে সাহায্য করার? কারণ ছেলেটির সেই মেয়েটিকে নিঃশ্বার্থভাবে সাহায্য করতে ভালো লাগছিল। তার মতলব এটা ছিল না যে, এই কাজটা করলে মেয়েটির পরিবারের লোকেরা তার প্রতি মুগ্ধ হবে। ছেলেটি শুধুমাত্র মেয়েটিকে নিঃশ্বার্থ ভাবে সাহায্য করতে ব্যস্ত ছিল। হ্যা! আপনি যদি স্বার্থ ছাড়া কারো সাহায্য করে থাকেন তবে না চাইলেও সে আপনার ওপর মুগ্ধ হয়ে যাবে। তাই সব সময় নিজের কথা না ভেবে কিছু কিছু সময় নিঃশ্বার্থ ভাবে মানুষকে সাহয্য করতে থাকুন। আর দেখুন কিভাবে সবাই আপনার উপর মুগ্ধ হয়।
৪. কার্যকরী কথাবার্তা বলা: অনেক সময় লক্ষ্য করে থাকবেন যে, মেয়েরা বেশি কথা বলা বা বেশি আশা দেখানো মানুষদের পছন্দ করে। যখনই কোন মেয়ের সঙ্গে কথা বলবেন তখন মাঝে মাঝে হাসিখুশিভাবে কিছু কথা বলার চেষ্টা করতে হবে। যখনই আপনার সঙ্গে মজার কিছু ঘটবে তখন সেগুলো মনে রাখার চেষ্টা করতে হবে। আর এ ধরণের কথাগুলো বা বিভিন্ন জোকস ব্যবহার করতে পারেন মেয়েদের বা অন্য যে কাউকে হাসানোর জন্য। এই কাজটি করতে থাকলে খুব সহজেই যে কারো পছন্দের মানুষ হয়ে উঠবেন। সব সময় সত্য কথা বা সাধ্যের মধ্যের কোন বলার চেষ্টা করতে হবে। মেয়েদের এটা শুনতে ভালো লাগে না যে, আপনি তার জন্য আকাশের চাঁদ তারা নিয়ে আসতে পারেন। তারা সব সময় প্রাক্টিক্যাল কথা বার্তা শুনতেই বেশি পছন্দ করে থাকে। তাই তাদের সামনে বেকার কোন কথা বলে নিজেকে মহান বানানো চেষ্টা না করে কার্যকরী কথা বলতে হবে। কমেডি কথা বা প্রাক্টিক্যাল কথা, এ দুটোই হল কার্যকরী কথা। এটা যে কারো মনকে প্রভাবিত করবে আর তারা সহজেই মুগ্ধ হয়ে উঠবে।
৫. নিজেকে সুন্দর রাখা: এখানে কোন বিউটি টিপসের কথা বলা হচ্ছে না। শুধুমাত্র ফ্রেশ থাকার কথা বলা হয়েছে। মেয়েরা আপনার দিকে তাকালে সবার আগে তো আপনার মুখই দেখবে তাই না? আপনি দেখতে যেমনই হোন না কেন সবসময় নিজের মুখ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও ফ্রেস থাকার চেষ্টা করবেন। কিছু কিছু ছেলে আছে যারা নিজের চেহারার কোন খেয়ালই রাখে না। এগুলো মেয়েরা একেবারেই পছন্দ করে না। যতটা সম্ভব ফ্রেস থাকার চেষ্টা করতে হবে। নিজের চুল সময় মতো কাটিয়ে নিতে হবে। আর গরমে ভালো কোন পারফিউম ব্যবহার করার চেষ্টা করতে হবে। যাতে যে কেউ আপনার উপর মুগ্ধ হয়ে থাকে। দ্বিতীয় বিষয়টি হল ড্রেসিং সেন্স। মেয়েরা প্রথমে দেখবে যে, আপনি কেমন পোষাক পরে আছেন। ড্রেসিং সেন্স মানে সব সময় নতুন নতুন জামাকাপড় পরে থাকতে হবে এমনটা নয়। এমন পোষাক পড়তে হবে যেগুলো আপনাকে ঠিকঠাক মানাবে। এমন কোন ঢিলে ঢালা জামাকাপড় পড়বেন না যাতে মনে হয় যে, আপনার দাদুর জামাকাপড় পরেছেন। সবসময় শরীরের সঙ্গে ফিট জামা কাপড় পড়তে হবে। অবশ্যই এটা এমন হতে হবে যে, আপনি আরামদায়ক অনুভব করছেন। তবে মেয়েরা আপনাকে অবশ্যই পছন্দ করবে। কারণ ওই পোষাকে তো সত্যিই আপনাকে সুন্দরই লাগছে। তাই না?
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



