লাইফস্টাইল ডেস্ক: আমরা অনেকেই মনে করি রঙিন সালাদ খেয়ে আমরা এর পরিপূর্ণ পুষ্টিগুণ পাচ্ছি। কিন্তু আসলে মোটেও তা নয়। সালাদ তৈরির নিয়ম, খাওয়ার সময় ও ধরন না জেনে আমরা আমাদের অজান্তেই ভালো করতে চেয়ে ডেকে আনছি ভয়ংকর ক্ষতি।
সালাদ একটি জনপ্রিয় মিশ্র খাবার, যা প্রধানত ফল এবং কাঁচা সবজি দিয়ে তৈরি করা হয়। বাংলাদেশে প্রধানত শসা, গাজর, টমেটো ইত্যাদি দিয়ে সালাদ তৈরি করা হলেও পৃথিবীজুড়ে সালাদের জন্য বিভিন্ন উপকরণ ব্যবহার করা হয়।
ভিটামিন, মিনারেল, পটাসিয়াম, ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার হিসেবে সালাদের জুড়ি নেই। নিয়মিত রঙিন সালাদ গ্রহণে হৃদ্রোগ, ডায়াবেটিস, ওজন ও উচ্চচাপ নিয়ন্ত্রণ, রক্তের কোলেস্টেরল হ্রাসসহ নানান উপকারিতা রয়েছে। কিন্তু সামান্য কিছু ভুলের কারণে আপনি এর উপকারিতা না পেয়ে বরং খারাপ ফল পাবেন।
ডায়েটিশিয়ানরা বলছেন, উপকারের চেয়ে বিপদের কারণ হয়ে ওঠে কিছু বিষয় খেয়াল না রেখে সালাদ তৈরি করলে, যেমন:
১) প্রথমেই ডায়েটিশিয়ানরা গুরুত্ব দিয়েছেন সালাদ তৈরি করার বিষয়টিতে। কারণ, ঠিকমতো সালাদ তৈরি করতে না জানলে স্বাস্থ্যরক্ষার ক্ষেত্রে হিতে বিপরীত হতে পারে! এ বিষয়ে তারা বলেন, সালাদ তৈরির সময় অনেকেই মেয়োনিজ ও চিজ ব্যবহার করে থাকেন। এই দুই উপাদান খুব বেশি পরিমাণে খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য মোটেও ভালো নয়।
২) বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফল, সবজি কিংবা মাছ, মাংস, ডিমের সঙ্গে মেয়োনিজ মিশিয়ে খাওয়া মানেই আপনার সালাদে স্বাস্থ্যহানির উপাদান প্রবেশ করছে। তাই সালাদ তৈরিতে মেয়োনিজ পরিহার করুন। স্বাদ বাড়ানোর জন্য এ ক্ষেত্রে টকদই বা গ্রিক ইয়োগার্ট ব্যবহার করতে পারেন।
৩) এ ছাড়া সালাদে সাদা লবণ, গোলমরিচ, লেবুর রস মেশালে তার পরিমাণের দিকেও নজর রাখতে হবে। কেননা, সাদা লবণ মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়। তাই সাদা লবণের পরিবর্তে বিটনুন ব্যবহার করাই ভালো। সালাদের স্বাদ বাড়াতে অনেকেই বিভিন্ন রকম ড্রেসিং ব্যবহার করেন। অতিরিক্ত লবণ, চিনিযুক্ত সেসব ড্রেসিং-এ ঠিক কী পরিমাণে ব্যবহার করবেন সে বিষয় সতর্ক থাকুন।
৪) অনেকেই সবজির সালাদ তৈরির সময় সিদ্ধ করে নেন কিংবা তেলে হালকা ভেজে নেন। এতে সালাদের স্বাদ বাড়লেও পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়।
৫) সালাদের সঙ্গে অনেকেই টোস্ট খান। এতে সালাদের সঙ্গে অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট যোগ হয়, যা না করাই ভালো। স্বাদ বাড়াতে সালাদে ভাজা তিল কিংবা কুমড়োর বীজ দিতে পারেন।
৬) সালাদের ড্রেসিংয়ে অলিভ অয়েল পরিমিত মাত্রায় ব্যবহার করুন। সালাদ সুস্বাদু করতে অতিরিক্ত অলিভ অয়েল ব্যবহার না করে এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন রকম হার্বস ব্যবহার করতে পারেন।
৭) সালাদ নিয়ে অনেকেরই অনেক ভুল ধারণা থাকে। সব খাবারের সঙ্গে সব রকম সালাদ খাওয়া উচিত নয়। অতিরিক্ত তেল-মসলাযুক্ত খাবারের সঙ্গে সালাদ এড়িয়ে যাওয়াই ভালো।
৮) দিনের কোন্ সময়ে সালাদ খাচ্ছেন সেটিও কিন্তু ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ এ ক্ষেত্রে। সালাদের পূর্ণ পুষ্টিগুণ পেতে সালাদ খাওয়ার উপযুক্ত সময় হলো দুপুরবেলা। তাই দুপুরের খাবারের সঙ্গেই সালাদ খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন।
৯) খাওয়ার অনেক আগে সালাদ তৈরি করে রাখবেন না। এতে সালাদে পানির পরিমাণ বেড়ে সালাদের খাদ্যগুণ নষ্ট হয়ে যায়। তাই চেষ্টা করুন খাওয়ার পাঁচ মিনিট আগে সালাদ তৈরি করার।
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।