Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    Home যেসব কারণে হাসিনার বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থান
    জাতীয় স্লাইডার

    যেসব কারণে হাসিনার বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থান

    Soumo SakibAugust 11, 20246 Mins Read
    Advertisement

    জুমবাংলা ডেস্ক : এ বছরের পাঁচই জুন যখন হাইকোর্টের একক বিচারপতির একটি বেঞ্চ কোটা বাতিল করে ২০১৮ সালে যে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল সেটিকে খারিজ করে দেয়, তখন কারো ধারণাই ছিলো না যে পরের দুই মাসের মধ্যে সেটিকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের রাজনীতিতে নজিরবিহীন ঘটনা ঘটবে। শেষ পর্যন্ত এটি শেখ হাসিনা সরকারের ১৫ বছরের টানা শাসন অবসানের দিকে নিয়ে গেছে। খবর বিবিসি বাংলার

    সেদিন হাইকোর্টের সেই আদেশটি অনেক পত্রিকায় তেমন গুরুত্বও পায়নি। কিন্তু পরবর্তী পাঁচ সপ্তাহের মাথায় সেই বিক্ষোভের জেরে এক সময় ১৬ বছর ধরে কঠোরভাবে বিরোধী দলকে দমন করে একটানা ক্ষমতায় থাকা শেখ হাসিনাকে গোপনে দেশ থেকে পালিয়ে যেতে হয়।

    আন্দোলনটি শুরুতে ছাত্রদের কোটা সংস্কার কেন্দ্র করে শুরু হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে এর সাথে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার, নানা বয়সের লাখো মানুষ অংশ নিতে শুরু করে।

    লেখক মহিউদ্দিন আহমেদ যাকে ‘গণবিদ্রোহ’ বলে বর্ণনা করছেন। তিনি বলেন, “শেষ পর্যন্ত এটা শুধু কোটা আন্দোলনের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না। একপর্যায়ে দেশের সব স্তরের মানুষ আন্দোলনে অংশ নিয়েছে, বা সমর্থন দিয়েছে।”

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমিরেটাস অধ্যাপক ও রাজনৈতিক ভাষ্যকার সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী মনে করেন, দীর্ঘদিন ধরে মানুষের মধ্যে নানা কারণে ক্ষোভ জমছিল। সেই ক্ষোভ বেরিয়ে আসার জন্য মানুষ একটা সুযোগ খুঁজছিল। কোটা সংস্কার আন্দোলনটা তাদের একটা সুযোগ এনে দিয়েছিল। তারা সেই আন্দোলনকে ঘিরে নিজেদের ক্ষোভ, এতদিনের চাপা বেদনার প্রকাশ ঘটিয়েছে।

    বিশ্লেষকদের অনেকেই মনে করেন, ১৯৭৫ সালে শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর আওয়ামী লীগ যে বিপর্যয়কর অবস্থায় পড়েছিল, প্রায় ৫০ বছরের মাথায় দলটি আবার সেই একই অবস্থায় পড়েছে।

    কিন্তু পুরো পরিস্থিতি কীভাবে এবং কেন এমন একটি পর্যায়ে পৌঁছালো, যাতে বাংলাদেশের হাজার হাজার মানুষ স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্ব দেয়া দলটির বিরুদ্ধে এভাবে রাজপথে নেমে আসলো?

    কেন ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের রাজনীতিতে থাকা শেখ হাসিনাকে দেশ থেকে পালিয়ে যেতে হলো?

    দীর্ঘদিনের জমে থাকা ক্ষোভ
    ২০০৮ সালের ২৯শে ডিসেম্বরের নির্বাচনে দুই তৃতীয়াংশ আসনে জিতে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। এরপর থেকে আর দলটি ক্ষমতা থেকে বের হতে চায়নি।

    একতরফা বা জালিয়াতির নির্বাচন, বিরোধীদের ও বিরুদ্ধমত দমন, অনিয়ম আর দুর্নীতি, আমলা আর প্রশাসনের ওপর নির্ভর করে দলটির টিকে থাকা এই পতনের পেছনে মূল কয়েকটি কারণ হিসেবে উঠে আসছে।

    ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলছেন, ‘এই ১৫ বছরে বেশিরভাগ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান আওয়ামী লীগ ধ্বংস করে দিয়েছিল। এসব প্রতিষ্ঠান সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকলেও তারা নিজেরা জনবিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিলেন। আওয়ামী লীগের যে ক্ষমতার ভিত্তি, তার কোনটাই টেকসই ছিল না। কারণ তারা জনগণ থেকে একেবারে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিলেন।’

    তিনি বলেন, এর ফলে মানুষের একটা ক্যাটালিস্ট বা স্ফুলিংগের দরকার ছিল। সেটাই শিক্ষার্থীদের আন্দোলন দিয়ে শুরু হয়েছে। ফলে সরকার বিরোধী একটা আন্দোলন যখন জোরালো হয়ে ওঠে, সেই আন্দোলন ঘিরেও মানুষের ক্ষোভের জন্ম হয়, তখন সেনাবাহিনী, কারফিউ বা পুলিশের পরোয়ানা না করে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার হাজার হাজার মানুষ গণভবনের উদ্দেশ্যে পথে নেমে এসেছিলেন।

    রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহিউদ্দিন আহমেদ বলছেন, ‘১৫ বছরের একটা পুন্জিভুত ক্ষোভ, জিনিসপত্রের দাম, গণপরিবহনের অব্যবস্থাপনা, লুটপাট, ব্যাংকিংয়ের অনিয়ম সব কিছু নিয়ে ক্ষুব্ধ মানুষ কোটা আন্দোলনের একটা উপলক্ষ্য করে একটা পরিবর্তনের আশায় নেমে এসেছে।’

    সেই আন্দোলনে অংশ নেয়া তাহমিনা আক্তার বলেছিলেন, ‘আমার সরকারি চাকরির দরকার নেই, চাকরির আবেদন করার মতো বয়সও নেই। কিন্তু আমাদের সাথে যে মিথ্যাচার করা হচ্ছে, নির্যাতন করা হচ্ছে, আমাদের যে ভয়ভীতির মধ্যে রাখা হচ্ছে, সেটার অবসান চাই। সেটার জন্যই আজ আমি পথে নেমে এসেছি।’

    গণঅভুত্থানের মাধ্যমে শেখ হাসিনা সরকারকে উৎখাতের পেছনে আরো কিছু কারণ দেখছেন বিশ্লেষকরা।

    গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় একটি নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসলেও পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ বাস্তবে কার্যত একটি ‘একনায়কতান্ত্রিক’ সরকারে পরিণত হয়েছিল।

    ২০০৮ সালের পর বাংলাদেশে বাস্তবিক অর্থে আর কোন সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি। এই সময়ে অনুষ্ঠিত তিনটি জাতীয় নির্বাচনের দুইটি হয়েছে অনেকটা একতরফা নির্বাচন।

    ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপিসহ অন্য রাজনৈতিক দলগুলো অংশ নিলেও সেখানে ব্যাপক কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগ ছিল, যে নির্বাচনকে ‘রাতের নির্বাচন’ বলেও অনেকে বর্ণনা করেন।

    এমনকি স্থানীয় নির্বাচনগুলোতে আওয়ামী লীগ প্রভাব বিস্তার করেছে। সেসব নির্বাচনও বেশিরভাগ সময় একতরফা হয়েছে। যেখানে বিএনপি বা অন্য রাজনৈতিক দল অংশ নিয়েছে, সেখানেই অনিয়ম বা কারচুপির অভিযোগ উঠেছে।

    ফলে গত ১৫ বছরে মানুষ আসলে ভোটের মাধ্যমে প্রতিনিধি বেছে নেয়ার বা মতামত জানানোর কোন অধিকার পায়নি।

    অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, “আওয়ামী লীগ যেটা করেছে, জোরজবরদস্তি করে একটা কর্তৃত্ববাদী সরকার প্রতিষ্ঠা করলো। জনগণের কোন রায় তারা নেয়নি। ফলে জনগণের সমর্থনও ছিল না তাদের পেছনে। প্রশাসনকে ব্যবহার করে জবরদস্তি করে ভুয়া নির্বাচন করে তারা ক্ষমতায় ছিল।’

    আওয়ামী লীগের শাসনামলে বিরোধী দলকে শক্ত হাতে দমন করার অভিযোগ করেছে মানবাধিকার সংস্থাগুলো।

    এসব দলের কেন্দ্রীয় নেতাসহ শত শত নেতাকর্মীকে গুম করা হয়েছে, মামলা বা সাজা দিয়ে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। অনেক নেতাকর্মীকে ধরে নিয়ে বছরের পর বছর ধরে আটকে রাখা হয়েছে।

    ড. ইফতেখারুজ্জামান বলছেন, ‘যে দেশটা স্বাধীন হয়েছে মানুষের ভোটের অধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে, সেই দেশে দীর্ঘ ১৫ বছরে মানুষের ভোটের অধিকার হরণ করা হয়েছে। এর সাথে যুক্ত হয়েছে বাকস্বাধীনতা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণ। তাকে জিইয়ে রাখা হয়েছে বিভিন্ন ধরনের আইন, নজরদারি করার মাধ্যমে।’

    বাংলাদেশে গত ১৫ বছরে রাজনৈতিক ক্ষেত্রেও পুলিশের অনুমতি ছাড়া বিরোধী দল বিএনপিকে সভা সমাবেশও করতে দেয়া হয়নি।

    মানবাধিকার হরণ ও ভয়ের সংষ্কৃতি
    আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অনেক অভিযোগ করেছে মানবাধিকার সংস্থাগুলো।

    এ বছরের শুরুতেই জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান ভলকার তুর্ক অভিযোগ করেছিলেন যে, মানবাধিকার ইস্যুতে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ ঝুঁকিতে।

    রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ নয়, বিরোধী গণমাধ্যম, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও বিরুদ্ধ মত দমন করা হয়েছে কঠোর হাতে। বিরোধী গণমাধ্যম বন্ধ করে দেয়া হয়েছে, দখল নেয়া হয়েছে অথবা নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা হয়েছে।

    বাংলাদেশে গত বহু বছর ধরে সামাজিক মাধ্যমেও শেখ হাসিনা বা শেখ মুজিব বিরোধী বক্তব্য পোস্ট করার জের ধরে মামলা হয়েছে, গ্রেফতার করা হয়েছে। এই দমনের জন্য ডিজিটাল সিকিউরিট অ্যাক্ট, সাইবার সিকিউরিট অ্যাক্টের মতো আইন করা হয়েছে।

    সরকার বিরোধী বক্তব্য দেয়ার জের ধরে মাসের পর মাস ধরে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে, জামিন আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে।

    অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী যেমন বলছিলেন, তারা একটা ভয়ের সংস্কৃতি তৈরি করেছি। সাইবার সিকিউরিটির ভয় দেখানো, মিথ্যা মামলা দেয়া- মানুষজন একটা ভয়ের মধ্যে ছিল।

    বিশ্লেষকদের অনেকেই মনে করেন, শেখ হাসিনার সরকার ও পুলিশ বাহিনী মিলে পুরো দেশকে একটা ‘মাফিয়া স্টেট’ তৈরি করেছিল।

    আর এসবের জন্য সবসময়েই সরকারি প্রশাসন যন্ত্র, পুলিশ, র‍্যাব ও গোয়েন্দা বাহিনী এমনকি বিচার বিভাগকে ব্যবহার করা হয়েছে।

    যেসব মামলায় গত ১৬ বছরে জামিন হয়নি, সরকার পরিবর্তনের পর এক রাতের মধ্যে সেসব মামলায় জামিনে মুক্তি পেয়েছেন এসব রাজনৈতিক দলের শত শত কর্মী। জামিন দেয়ার সময় বিচারক মন্তব্য করেছেন, ‘অনেক কথা আছে যা আমরা বলতে পারি না।’

    বছরের পর বছর বিরোধীদের ধরে নিয়ে হয় গুম করে দেয়া হয়েছে না হলে আটকে রাখা হয়েছে। সরকার পরিবর্তনের পর এরকম কয়েকজন ব্যক্তির মুক্তিও পেয়েছেন, যাদের আট বছরের বেশি সময় ধরে কোন অভিযোগ ছাড়াই গোপনে আটকে রাখা হয়েছিল।

    ফলে মানুষ যে রুদ্ধশ্বাস পরিস্থিতি, ভয়ভীতির মধ্য দিয়ে সময় পার করেছে, তা থেকে মুক্তি পেতেই গণআন্দোলনে সবাই নেমে এসেছে বলে বিশ্লেষকরা বলছেন।

    শেখ হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করাতে চাই: উপদেষ্টা নাহিদ

    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    ‘জাতীয় কারণে গণঅভ্যুত্থান বিরুদ্ধে যেসব স্লাইডার হাসিনার
    Related Posts
    ঝড়বৃষ্টির আভাস

    ঢাকাসহ যেসব বিভাগে ঝড়বৃষ্টির আভাস

    August 5, 2025
    Chief Advisor

    ফেব্রুয়ারিতেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন: প্রধান উপদেষ্টা

    August 5, 2025
    July

    ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠের সময় ড. ইউনূসের পাশে থাকা কে এই তরুণী

    August 5, 2025
    সর্বশেষ খবর
    Pixel 10 to Vivo V60

    August 2025 Smartphone Showdown: Pixel 10 to Vivo V60 Launch Dates & Specs

    Free Fire MAX Bailalo Rocky Emote

    Free Fire MAX’s Bailalo Rocky Emote: Guitar-Infused Style Hits Faded Wheel

    bill clinton subpoena

    Bill Clinton Subpoenaed in Epstein Probe: Oversight Committee Demands Testimony from Clintons in Major Sex-Trafficking Investigation

    Medistep Healthcare IPO

    Medistep Healthcare IPO Opens August 8: Key Details, Price & Growth Outlook

    Whitby cliff rescue

    Whitby Cliff Rescue Saves Life Amidst Tragic Death Cluster

    Yamal

    আর্জেন্টাইন র‍্যাপারের সঙ্গে ইয়ামালের নতুন প্রেম!

    claude opus 4.1

    Claude Opus 4.1 Launches with Major Coding Boosts and GitHub Copilot Integration

    iPhone 17

    আইফোন ১৭ নিয়ে যতো গুঞ্জন, কি কি থাকছে ফোনটিতে?

    gpt oss

    OpenAI Releases gpt-oss Models for Local Use: Run Advanced AI on Your Own Hardware

    vaccinations

    U.S. COVID-19 Cases Rise as Booster Access Shrinks: What It Means for Vaccinations in 2025

    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    • Feed
    • Banglanews
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.