জুমবাংলা ডেস্ক : এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ ও ২৩টি বেসরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ ছাড়া অন্যান্য প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় বা বেসরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজের বিএড সনদ গ্রহণযোগ্য হবে না। সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) এক তদন্ত ও নিরীক্ষা প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। ২০০৮ খ্রিষ্টাব্দ ও তৎপরবর্তী সময়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জারি করা বিএড ডিগ্রি সংক্রান্ত একাধিক সিদ্ধান্ত ও প্রজ্ঞাপন এবং উচ্চ আদালতের রায়ের আলোকে ডিআইএর
(পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর) প্রতিবেদনটি তৈরি করে সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে।
প্রতিবেদনের ফলে বেসরকারি উত্তরা ইউনিভার্সিটি, দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়, সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়, রয়েল বিশ্ববিদ্যালয়, প্রাইম বিশ্ববিদ্যালয়, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এবং অতীশ দিপঙ্কর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএড সনদধারী শিক্ষকদের কপাল পুড়লো। কারণ, ওই প্রতিবেদনে এসব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএড সনদ নেয়া শিক্ষকদের বিএড স্কেলের টাকা ফেরত দেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। একইসঙ্গে তাদের বিএড স্কেল বাতিল করে বেতন এক ধাপ কমানোর সুপারিশ করা হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ নিয়ে করা প্রতিবেদনে এ সংক্রান্ত সব বিধিবিধান ও উচ্চ আদালতের রায়ের বরাতে এসব সুপারিশ করেছেন ডিআইএ কর্মকর্তারা।
ডিআইএর পরিদর্শন ও নিরীক্ষা কর্মকর্তারা হলেন- যুগ্ম-পরিচালক বিপুল চন্দ্র সরকার, শিক্ষা পরিদর্শক মো: মুকিব মিয়া, সহকারী শিক্ষা পরিদর্শক মনিরুজ্জামান ও সাদিয়া সুলতানা এবং অডিট অফিসার চন্দন কুমার দেব।
প্রসঙ্গত, শিক্ষকদের বিএড স্কেল ও অধিকতর আর্থিক সুবিধা পেতে সনদ জমা দিতে হয়।
জানা গেছে, নিয়ম না মেনে আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৪৩ জন শিক্ষক ইতোমধ্যে বন্ধ ঘোষিত দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়সহ সাতটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএড সনদ নিয়েছেন। যেগুলোর সনদকে অগ্রহণযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে। তাদের কেউ কেউ ইতোমধ্যে বিএড স্কেল পেয়েছেন। অন্যরা বিএড স্কেলের অপেক্ষায় আছেন।
ডিআইএর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএড সনদ অর্জন করা ওই ৪৩ শিক্ষকের মধ্যে যারা বিএড স্কেল পাননি তারা ভবিষ্যতেও বিএড স্কেল পাবেন না। যারা পেয়েছেন তাদের ওই পরিমাণ টাকা ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে সরকারি কোষাগারে ফেরত দিতে হবে এবং তাদের বেতন স্কেল এক ধাপ অবমনন হবে।
নিরীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০৮ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ মে কর্মরত শিক্ষকদের সরকারি টিটি কলেজ থেকে বিএড সনদ অর্জনের বাধ্যবাধকতা দিয়ে পরিপত্র জারি হয়। এরপর ২৩টি বেসরকারি টিটি কলেজ ওই আদেশের বিরুদ্ধে আদালতে রিট করে। পরে আদালত সরকারি টিটি কলেজের পাশাপাশি ওই ২৩টি বেসরকারি টিটি কলেজের সনদ গ্রহণযোগ্য ঘোষণা করে রায় দেয়। ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দের ২৮ জানুয়ারি জারি করা এক পরিপত্রে বিষয়টি জানায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তাই সরকারি টিটি কলেজ ও ওই ২৩টি বেসরকারি টিটি কলেজ ছাড়া অন্যান্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বা বেসরকারি টিটি কলেজের বিএড সনদ শিক্ষকতার জন্য গ্রহণযোগ্য হবে না।
ডিআইএর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দের ৩০ ডিসেম্বর ইউজিসি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দূর শিক্ষণের মাধ্যমে শিক্ষা কাযক্রম বন্ধ ঘোষণা করে
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।