Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    Home যেসব বিষয়ে বড় পরিবর্তনের কথা ভাবছে সংস্কার কমিশনগুলো
    জাতীয়

    যেসব বিষয়ে বড় পরিবর্তনের কথা ভাবছে সংস্কার কমিশনগুলো

    November 26, 20249 Mins Read

    জুমবাংলা ডেস্ক : অন্তর্বর্তী সরকারের গঠন করা কয়েকটি ‘সংস্কার কমিশন’ বেশ কিছু নতুন প্রস্তাব নিয়ে কাজ শুরু করেছে। এর মধ্যে সংবিধান, নির্বাচন ব্যবস্থা, জনপ্রশাসন ও পুলিশ সংস্কারে বড়সড় পরিবর্তন আনার কথা ভাবছে কমিশনগুলো। রাষ্ট্র সংস্কারে এখন পর্যন্ত মোট দশটি কমিশন গঠন করা হলেও এই মুহূর্তে সংবিধান ও নির্বাচনী সংস্কারের বিষয়গুলো গুরুত্ব পাচ্ছে বেশি। খবর বিবিসি বাংলা।

    সংবিধান সংস্কার বিষয়ক কমিশন কাজ শুরুর পর পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল, আনুপাতিক হারে ভোটের বিধান, দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ চালু, প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা কমানোসহ সংবিধানে বড়সহ বেশ কিছু পরিবর্তনের পরামর্শ এসেছে বলে জানা গেছে।

    শেখ হাসিনা সরকারের আমলে বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে যে সংকট তৈরি হয়েছিল তা বন্ধে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন পরিবর্তন, স্থানীয় নির্বাচনে দলীয় প্রতীক বাদ, প্রবাসীদের ভোট দেওয়ার বিধান চালু, ইভিএম বাতিলসহ বেশ কিছু আইনে পরিবর্তনের উদ্যোগ নিয়েছে নির্বাচন সংস্কার কমিশন।

    কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেন, আমরা যেসব বিষয় সংস্কারের কাজ শুরু করেছি সেটি বাস্তবায়ন করা গেলে আগামীতে স্বাধীন নির্বাচন কমিশন ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব। যদিও এরই মধ্যে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।

    এই মুহূর্তে বাংলাদেশের বিদ্যমান যে সংবিধান আছে তার ভিত্তিতেই সংস্কার কাজ চূড়ান্ত করছে সরকারের বিভিন্ন কমিশনগুলো।

    সংস্কার কমিশন সংবিধান পুনর্লিখনে হাত দেয় তাহলে এসব প্রস্তাবনার অনেক কিছুই সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হতে পারে এমন শঙ্কাও দেখা যাচ্ছে। তাই কমিশনগুলোর সঙ্গে আলাদাভাবেও বৈঠক করছে সংবিধান সংস্কার কমিশনকে।

    সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, ‘আমরা চেষ্টা করব যাতে আমাদের প্রস্তাবনাগুলোয় সামঞ্জস্য থাকে। পরস্পরবিরোধী না হয়। সেই বিবেচনায় থেকে সেই কাজ করব। তবে শেষ পর্যন্ত এসব প্রস্তাবনায় রাজনৈতিক দলগুলোর সায় না মিললে এই উদ্যোগ কতখানি সফল হবে সেটি নিয়েও প্রশ্ন দেখা যাচ্ছে।

    কেননা জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, সংস্কার কমিশনগুলো সুপারিশমালা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসবে সরকার। পরে সবার ঐকমত্যের ভিত্তিতেই সংস্কার প্রস্তাব চূড়ান্ত করা হবে।

    এই সব সংস্কার কমিশনের কাজ শুধুমাত্র প্রস্তাবনা চূড়ান্ত করে সরকারের কাছে আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রদান করা।

    কী পরিবর্তন আসতে পারে সংবিধানে?

    ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর বাংলাদেশের সংবিধান সংস্কারের সবচেয়ে বড় দাবি উঠেছে আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে। এর বাইরেও নাগরিক সমাজ, দেশের সাধারণ নাগরিক কিংবা রাজনৈতিক দলগুলোও বিভিন্ন সভা সমাবেশে নানা ধরনের প্রস্তাবনা তুলে ধরছেন। অধ্যাপক আলী রীয়াজের নেতৃত্বাধীন সংবিধান সংস্কার কমিশন এরই মধ্যে অংশীজনসহ অনেকের সঙ্গে বৈঠক করেছে।

    সংস্কার কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বসে কেউ কেউ বলেছেন বর্তমানে বাংলাদেশের যে সংবিধান রয়েছে সেটি যেকোনো সরকারকে স্বৈরাচারী করে তুলতে পারে। যে কারণে ক্ষমতার ভারসাম্য আনতে নানা সংস্কার প্রস্তাবও এসেছে।

    সংস্কার কমিশন এর মধ্যে যেসব পরামর্শ পেয়েছে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ চালু, সংবিধান সংশোধন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা, প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য আনা, প্রাদেশিক সরকার ব্যবস্থা চালু, আনুপাতিক নির্বাচন ব্যবস্থা চালু। প্রধানমন্ত্রীর নির্বাহী ক্ষমতা কমানোসহ একজন ব্যক্তিকে দুই মেয়াদের বেশি প্রধানমন্ত্রী না রাখার বিষয়টি সংবিধানে যুক্ত করতেও পরামর্শ দিয়েছেন অনেকে।

    ২০১১ সালে শেখ হাসিনা সরকারের আমলে করা সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী নিয়েও নানা বিতর্ক হয়েছে। সংবিধান সংস্কার কমিশনের কাছে ওই সংশোধনী বাতিলের পরামর্শও দিয়েছে অংশীজনদের কেউ কেউ। সংসদে সংরক্ষিত নারী আসন বাড়ানো কমানো নিয়ে দুই ধরনের পরামর্শই এসেছে কারও কারও কাছ থেকে।

    সংবিধান সংস্কার কমিটির প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, ‘বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা পরামর্শগুলো আমরা লিপিবদ্ধ করছি। যে যে বিষয়গুলোতে এখন পর্যন্ত ঐকমত্য আছে সেগুলোও নোটডাউন করছি।’ বিভিন্ন অংশীজন, বিশেষজ্ঞদের বাইরেও রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকেও লিখিত প্রস্তাব চাওয়া হয়েছে।

    নাগরিকদের জন্য অনলাইনে সংবিধানের বিভিন্ন বিষয়ে তাদের মতামত জানানোর ব্যবস্থা রাখা হলেও, বাস্তবে খুব অল্পসংখ্যক মানুষকেই অনলাইনে মতামত দিতে দেখা গেছে।

    অনলাইনে নাগরিকদের মতামত দেওয়ার সময় শেষ হয়েছে গতকাল ২৫ নভেম্বর। সকাল পর্যন্ত অনলাইনে মতামত পড়েছে ৪৬ হাজার। সাধারণ মানুষদের অনেকেই বলেছেন তারা জানেন না এই মতামত দেওয়ার বিষয়ে।

    এদিকে গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে বর্তমানে সংসদ কার্যকর নেই। যে কারণে সংবিধান সংস্কারের প্রস্তাবগুলো কীভাবে অনুমোদন করা যায় সেটি নিয়েও নানা মতামত আসছে। এক্ষেত্রে কারও কারও পরামর্শ গণপরিষদ গঠন করে সংবিধানের অনুমোদন করা। আবার অনেকে বলছেন, সংস্কার প্রস্তাবগুলো চূড়ান্ত করে পরবর্তী নির্বাচিত সরকারের কাছে দিলে তারা তা সংসদে তা অনুমোদন করবে।

    অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি সংসদের বাইরে সংবিধান পরিবর্তনের বিরুদ্ধে। একই ধরণের মতামত এসেছে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকেও। কমিশন প্রধান অধ্যাপক রীয়াজ বলেন, ‘আমরা আপাতত সাতটি লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছি। এখানে কী হবে সেটা আমরা চূড়ান্ত করতে পারব। কিন্তু কোন প্রক্রিয়ায় হবে সেটি আমরা এখনই বলতে পারব না।’

    এই কমিশন মনে করছে রাজনৈতিক দলগুলোও হয়তো শেষ পর্যন্ত কিছু কিছু প্রস্তাবে একমত নাও হতে পারে। সেক্ষেত্রে দেশের বেশিরভাগ মানুষ যদি ওই সব প্রস্তাবের পক্ষে তাদের সমর্থন জানায় তাহলেই সে সব সংস্কার প্রস্তাব গুরুত্ব পাবে এই সংবিধান সংস্কার কমিশনের কাছে।

    টেকসই নির্বাচন ব্যবস্থার পথ খোঁজা হচ্ছে

    ২০০৮ সালের ডিসেম্বরের সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসে। এরপর তাদের অধীনে অনুষ্ঠিত হওয়া তিনটি জাতীয় নির্বাচন ও বেশিরভাগ স্থানীয় সরকার নির্বাচনই ছিল বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ। ফলে দেশে নির্বাচন নিয়ে এমন অনাস্থা-সংকট ও স্বৈরাচারী প্রথা গড়ে উঠেছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।

    যে কারণে গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার করতে দিয়ে দীর্ঘমেয়াদী সমাধানের পথ খুঁজছে কমিশন।

    নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সদস্য ড. আব্দুল আলীম বলেন, ‘বলা হয়ে থাকে নির্বাচন কমিশন (ইসি) স্বাধীন প্রতিষ্ঠান। কিন্তু ভোটের সময় সরকার যদি ইসির কথা না শোনে তাহলে এ নিয়ে কিছু বলা নেই সংবিধান কিংবা আইনে।’ এই সংস্কার কমিশন জানাচ্ছে প্রস্তাবে তারা নির্বাচনে ইভিএম পদ্ধতি বাতিল, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক ব্যবহার না করা, সীমানা নির্ধারণ আইনে পরিবর্তনের প্রস্তাব করার বিষয়েও একমত হয়েছে।

    এর আগে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে যেসব নির্বাচন কমিশন গঠন হয়েছে তা নিয়ে ছিল নানা প্রশ্ন। যে কারণে সংস্কার কমিশন আইনের ধারায় পরিবর্তন আনার উদ্যোগ নিয়েছে যার মাধ্যমে পরবর্তীতে কমিশন গঠনে সরকার কোন প্রভাব রাখতে পারবে না।

    নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার জানিয়েছেন, নির্বাচনে স্বচ্ছ ভোটার তালিকা প্রস্তুত, রাজনৈতিক দলের মধ্যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, নির্বাচনী অপরাধ বন্ধে আইনে সংস্কারের মতো বিষয়গুলোতেও গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।’

    তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনকে কীভাবে স্বাধীন করা যায় কিংবা জনগণের কাছে ইসির দায়বদ্ধতা নিয়েও আমরা আলোচনা করছি।’

    নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারে মতামত নিতে এরই মধ্যে ২২টি রাজনৈতিক দলের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে সংস্কার কমিশন।

    বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘সবার মতামতের ভিত্তিতে আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যেই আমরা আমাদের চূড়ান্ত প্রস্তাবনা সরকারের কাছে পাঠাব।’

    যদিও এরই মধ্যে পুরনো আইনে নির্বাচন কমিশন গঠন গঠন হয়ে যাওয়ায় সংস্কার কমিশনের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।

    পুলিশ সংস্কারের যেসব প্রস্তাবনা

    বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বাংলাদেশে পুলিশের নানা কর্মকাণ্ড সাধারণ মানুষের কাছে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। বিষয়টিকে সামনে রেখে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের পুলিশি কাঠামো ঢেলে সাজানোর কথা বলছে।

    এই কমিশন পুলিশ ব্যবস্থা সংস্কারে সাধারণ নাগরিকদের কাছ থেকে ওয়েবসাইটে জনমত জরিপও করেছে। তবে তাতে কেমন সাড়া মিলছে তা জানা যায়নি।

    সেখানে আইনি কাঠামো সংস্কার, পুলিশের জবাবদিহিতা, পেশাদারি দক্ষতা বৃদ্ধি, জনকল্যাণমূলক কাজে পুলিশের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি, পুলিশের অপকর্ম রোধে নানা প্রস্তাবনাও এসেছে।

    সোমবার নিজেদের মধ্যে বৈঠক শেষে পুলিশ সংস্কার কমিশন জানিয়েছে বিভিন্ন চাকরির ক্ষেত্রে পুলিশ ভেরিফিকেশনে রাজনৈতিক পরিচয় দেখার কারণে এক ধরনের বৈষম্য তৈরি হয়।

    যে কারণে আগামীতে সরকারির চাকরির ক্ষেত্রে ভেরিফিকেশনে রাজনৈতিক পরিচয় না দেখার সুপারিশ করা হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান সরফ রাজ হোসেন।

    তিনি বলেন, ‘আমরা এ জিনিসগুলো বাদ দিতে সুপারিশ করব। এক নম্বর ডকুমেন্ট হলো ন্যাশনাল আইডি কার্ড। এটার পেছনে আইন আছে। এটা নেওয়ার সময় সবকিছু তদন্ত করা হয়।’

    হাইকোর্টের নির্দেশনা মেনে পুলিশ গ্রেফতার ও রিমান্ডে নিতে পারবে সংস্কার প্রস্তাবে এমন সুপারিশও করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন কমিশন প্রধান। এই সংস্কার কমিশন বলছে, বর্তমানে পুলিশ চলছে প্রায় দেড়শো বছরের পুরনো আইন দিয়ে। যে কারণ পুলিশি কাঠামো ও এ নিয়ে নানা সংকট থেকে গেছে বছরের পর বছর। যে কারণে পুলিশ সংস্কারে নানা প্রস্তাবনার পাশাপাশি পুলিশ আইন সংস্কারেরও সুপারিশ দেবে কমিশন।

    জনপ্রশাসনে কী পরিবর্তন আসতে পারে?

    বাংলাদেশে বিভিন্ন সরকারের আমলে সরকারি চাকরিজীবীদের আচরণ নিয়ে নানা মহলে প্রশ্নও উঠেছে। আবার অনেক সময় সরকারি আমলাদের দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি কিংবা পক্ষপাতিত্ব নিয়ে নানা অভিযোগ উঠলেও সেগুলো বন্ধে কঠোর কোন উদ্যোগও নেয়া হয়নি। এমনকি গণঅভ্যুত্থানের পর গত তিন মাসেও মৌলিক কোন পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়নি জনপ্রশাসনে।

    গত অক্টোবরে সাবেক আমলা আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরীকে প্রধান করে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনও গঠন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। এই কমিশন এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছে। ওয়েব সাইটে নাগরিকদের কাছে প্রশ্ন দিয়ে জনপ্রশাসনের কী কী জায়গায় পরিবর্তন আনা প্রয়োজন সে বিষয়ে মতামত সংগ্রহ করছে। এর বাইরেও বিভিন্ন অংশীজন, জনপ্রশাসনের বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তাদের সঙ্গেও বৈঠক করেছে এই কমিশন।

    এক্ষেত্রে অনেকে জনপ্রশাসনে দুর্নীতি বন্ধে উদ্যোগ নেওয়া, সরকারি চাকরিতে নিয়োগে স্বচ্ছতা, প্রশাসনে বিকেন্দ্রীকরণে উদ্যোগ, বদলি কিংবা পদায়নে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা মানার মতো বিষয়গুলোও উঠে এসেছে।

    ঢাকার বাইরেও দেশের বিভিন্ন বিভাগেও এরই মধ্যে সভা করছে কমিশনের সদস্যরা।

    জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন সদস্য মেহেদী হাসান বলেন, ‘প্রশাসনে কাঠামোগত জায়গা থেকে একটি এবং জনবান্ধব প্রশাসন গড়ে তুলতে আরেকটি। এই দুইটি সংস্কার সবচেয়ে বেশি জরুরি। কমিশন সব মতামতকে আমলে নিয়ে কাজ করছে।’

    কমিশন সদস্যরা বলছেন, রাজনীতিবিদদের অনেক সময় সরকারি কর্মকর্তাদের দলীয় স্বার্থে ব্যবহার করার এক ধরনের প্রবণতা তৈরি হয়েছে। সেটি বন্ধে কি কি পদক্ষেপ নেওয়া যায় তা নিয়েও ভাবছে সংস্কার কমিশন।

    কমিশন সদস্য মেহেদী হাসান বলেন, ‘গত ১৬ বছরে মনস্তাত্বিক জায়গায় একটি বড় পরিবর্তন হয়ে গেছে। এই মনস্তাত্ত্বিক জায়গা ঠিক করার জন্য সংস্কার লাগবে। তা না হলে যত সংস্কারই করা হোক না কেন তা স্থায়ী হবে না।’

    সংস্কার-সমন্বয় ও নির্বাচন

    অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস গত সেপ্টেম্বরে কমিশন গঠনের ঘোষণার পর অক্টোবরের শুরু থেকে কাজ শুরু করেছে কমিশনগুলো।

    নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘কোন কোন পরির্বতনগুলো সাংঘর্ষিক হতে পারে সেটি আমাদের খতিয়ে দেখতে হবে। এক্ষেত্রে আমরা প্রস্তাবণা চূড়ান্ত করার আগে তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসব, যাতে সাংঘর্ষিক কোনো পরিবর্তন না হয়।’

    সংবিধান সংস্কার কমিশন এ কারণে সুপারিশমালা প্রস্তুতের পাশাপাশি চূড়ান্ত দফায় বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন ও নির্বাচনী ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বসার উদ্যোগ দিয়েছে।

    সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, ‘আমরা চাইব আমাদের প্রস্তাবনার মধ্যে যেন সামঞ্জস্য থাকে। পরস্পরবিরোধী ও সাংঘর্ষিক ধারা না থাকে। সেই বিষয়গুলো বিবেচনায় রেখেই কাজ করতে হচ্ছে।’ এসব কমিশনগুলো সংস্কার প্রস্তাব দিলেও যে চূড়ান্তভাবে সরকার বাস্তবায়ন করতে পারবে সেটি নিয়েও সন্দেহ আছে। কেননা সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে এই প্রস্তাবনা চূড়ান্ত করার পর এটি নিয়ে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আবার বৈঠকে বসার ঘোষণা দিয়েছে সরকার প্রধান অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। সেক্ষেত্রে রাজনৈতিক সমঝোতা না হলেও অনেক সুপারিশই শেষ পর্যন্ত বাস্তবায়ন না হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে।

    অধ্যাপক রীয়াজ বলেন, ‘রাজনৈতিক সমঝোতার বিষয় যেমন আছে, তেমনি কিন্তু সাধারণ মানুষ মতামতের বিষয়ও আছে। আমার কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বেশি সংখ্যক মানুষের মত।’

    এই সংস্কার প্রস্তাবগুলো চূড়ান্ত হওয়ার পর তা বাস্তবায়ন করে নির্বাচন কবে হবে সেই প্রশ্ন বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে এরই মধ্যে আসতে শুরু করেছে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে প্রয়োজনীয় কিছু সংস্কার শেষেই দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের পথে হাঁটতে চান তারা।

    ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলা আদালতে খারিজ

    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    ‘জাতীয় কথা কমিশনগুলো পরিবর্তনের বড় বিষয়ে ভাবছে যেসব সংস্কার
    Related Posts
    বৃষ্টির আবহাওয়া

    বৃষ্টির সম্ভাবনা নিয়ে আবহাওয়া অফিস যা জানালো

    May 13, 2025
    ঘূর্ণিঝড় শক্তি

    ঘূর্ণিঝড় শক্তি: সর্বশেষ আপডেট

    May 13, 2025
    সঞ্চয়পত্র

    সঞ্চয়পত্র বন্ধক রেখে ঋণ পাওয়ার নতুন সুযোগ: কীভাবে আপনি উপকৃত হতে পারেন

    May 13, 2025
    সর্বশেষ সংবাদ
    Samsung Air Purifier
    Samsung Air Purifier: Price in Bangladesh & India with Full Specifications
    Huawei MatePad Pro Tablet
    Huawei MatePad Pro Tablet: Price in Bangladesh & India with Full Specifications
    Hisense E7K Pro QLED TV
    Hisense E7K Pro QLED TV: Price in Bangladesh & India with Full Specifications
    স্যামসাং গ্যালাক্সি S25 এজ মূল্য
    স্যামসাং গ্যালাক্সি S25 এজ মূল্য: বৈশ্বিক তালিকা, অফার এবং লঞ্চের বিস্তারিত
    Acer Aspire Vero
    Acer Aspire Vero: Price in Bangladesh & India with Full Specifications
    Samsung Galaxy Watch5
    Samsung Galaxy Watch5: Price in Bangladesh & India with Full Specifications
    বৃষ্টির আবহাওয়া
    বৃষ্টির সম্ভাবনা নিয়ে আবহাওয়া অফিস যা জানালো
    Fire-Boltt Cobra Rugged Smartwatch
    Fire-Boltt Cobra Rugged Smartwatch: Price in Bangladesh & India with Full Specifications
    Dell Alienware m18
    Dell Alienware m18: Price in Bangladesh & India with Full Specifications
    Sony Bravia X75L 4K TV
    Sony Bravia X75L 4K TV: Price in Bangladesh & India with Full Specifications
    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.