জুমবাংলা ডেস্ক : দেশের প্রথম ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের একাংশ যানচলাচলের জন্য প্রস্তুত। আগামী ২ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন করবেন। উদ্বোধনের একদিন পরেই যানবাহন চলাচল করতে পারবে।
সোমবার (১৪ আগস্ট) সকালে রাজধানীর বনানী সেতু ভবনে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের এ তথ্য জানান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাওলা থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত সাড়ে ১১ কিলোমিটার উড়ালসড়ক প্রথম দফায় যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে। প্রথম দফায় খুলে দেয়া হবে ১৩ র্যাম্প।
এক্সপ্রেসওয়েটিতে যানবাহনের সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার নির্ধারণ করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, সিএনজিচালিত অটোরিকশার মতো দুই ও তিন চাকার কোনো যানবাহন এই উড়াল সড়কে চলতে পারবে না। মোটরসাইকেল আপাতত বন্ধ থাকবে।
বিমানবন্দর থেকে চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত ৪৬ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার দীর্ঘ ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ চলছে তিন ভাগে। এর মধ্যে মূল উড়ালসড়কের দৈর্ঘ্য ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। তা ছাড়া ২৭ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ৩১টি র্যাম্প আছে উড়ালসড়ক থেকে বিভিন্ন জায়গার ওঠা এবং নামার জন্য।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালের জুন মাসে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজের উদ্বোধন হয়েছিল। সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্ব (পিপিপি) আওতায় প্রকল্পটির ২০১৬ সালে শেষ করার কথা ছিল। কিন্তু নানা জটিলতায় নির্মাণকাজ শেষ করার সময়সীমা ৫ বার পিছিয়েছে। সর্বশেষ পুরো প্রকল্পের কাজ ২০২৪ সালের জুনে শেষ করার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। এটি নির্মাণে ব্যয় ধরা হয় ৮ হাজার ৭০৩ কোটি টাকা। ২০১৩ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৮ হাজার ৯৪০ কোটি টাকায়। পরে প্রকল্প বাস্তবায়নে সর্বশেষ ট্যাক্স, ভ্যাটসহ প্রকল্পটির ব্যয় বেড়ে দাঁড়াচ্ছে ১৬ হাজার কোটি ৭০ লাখ ৭ হাজার ১৫৩ টাকা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।