লাইফস্টাইল ডেস্ক : সারাদিন নানা ধরনের কাজের চাপে মন ও শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়ে। দিনশেষে একটু নিরিবিলিতে নিজের মতো করে সময় কাটাতে পারলে তাই মন্দ হয় না।
কিন্তু একা থাকা আর একাকীত্ব- এ দুটো এক নয়। একাকীত্ব হলো অনাকাঙ্ক্ষিত মানসিক বা শারীরিক বিচ্ছিন্নতা যা আমাদের ঘুম, স্বাস্থ্য, কর্মদক্ষতা সবকিছুতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
সারাদিন নানা ধরনের কাজের চাপে মন ও শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়ে। দিনশেষে একটু নিরিবিলিতে নিজের মতো করে সময় কাটাতে পারলে তাই মন্দ হয় না।
কিন্তু একা থাকা আর একাকীত্ব- এ দুটো এক নয়। একাকীত্ব হলো অনাকাঙ্ক্ষিত মানসিক বা শারীরিক বিচ্ছিন্নতা যা আমাদের ঘুম, স্বাস্থ্য, কর্মদক্ষতা সবকিছুতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।ভিটামিন ও সাপ্লিমেন্ট কিনুন
অন্যদিকে চুপচাপ একাকী কিছুটা সময় বসে থাকতে পারলে মনমেজাজ চাঙ্গা হয়, ব্যক্তির কাজ করার ক্ষমতা বাড়ে। ফোনের ব্যালেন্স ফুরিয়ে গেলে যেমন নতুন করে রিচার্জ করতে হয়; তেমনি বিক্ষিপ্ত সময়ের পর কিছুটা সময় নিজের মতো কাটালে নিজেকেও ‘রিচার্জ’ করা হয়।
একা থাকাকে যখন আমরা নেতিবাচকভাবে গ্রহণ করি তখনই একাকীত্ব বোধ আসে।
আজ জানাব এমন পাঁচটি লক্ষণের কথা যা দেখে বুঝবেন যে, আপনার আসলে কিছুটা সময় একা থাকা উচিত।
হুট করে রেগে ওঠা
আপনার কি কথায় কথায় রাগেন? রাগের মাথায় ভুলভাল কাজকর্ম করেন, অফিসের বস থেকে শুরু করে সঙ্গী, রেস্তোরাঁর ওয়েটার বা গাড়ির চালক সবার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন? উত্তর হ্যাঁ হলে, আপনার কিছুটা সময় একা থাকা প্রয়োজন। অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় রাগ প্রকাশ স্বাভাবিক হলেও এটি যদি দিনের পর দিন অনিয়ন্ত্রিত বা অন্যের জন্য ক্ষতিকারক হয়, তখন এটি নিঃসন্দেহে অগ্রহণযোগ্য। আপনার তাহলে নিজেকে কিছুটা সময় দেওয়া উচিত।
২৪/৭ ক্লান্তিবোধ করা
ঘুমের মধ্যে আমাদের শরীর নিজেকে সারিয়ে নেয়। তাই ঘুমিয়ে ওঠার পর সতেজ বোধ হয়। কিন্তু আপনি দেখলেন, ঘুম থেকে ওঠার পরও ক্লান্তি যাচ্ছে না! এটি চিন্তার বিষয়। আপনি হয়ত অবচেতনে অস্থিরতা বা কোনো দুশ্চিন্তায় ভুগছেন। এ সময় নিজের সঙ্গে একাকী কিছুটা সময় কাটান। প্রয়োজনের চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন।
কোনোকিছু ভালো না লাগা
এটা বোধহয় সবচেয়ে সাধারণ উপসর্গ। প্রিয় রেস্টুরেন্টে যাবেন বলে মনস্থির করেছেন- কিন্তু শেষ বেলায় আর সেটা করতে ইচ্ছে হলো না। বন্ধুদের সঙ্গে সিনেমা দেখার ইচ্ছা শেষ মুহূর্তে উবে গেল। কিংবা হুট করে ফেসবুক আইডি ডিএক্টিভেট করে ফেললেন। দিনের বেশিরভাগ সময় আপনার মন খারাপ থাকছে, আশেপাশের কিছুতে আনন্দ খুঁজে পাচ্ছেন না। মিলল কিছু? তাহলে আপনার একা থাকা উচিত। জোর করে কারো সঙ্গে মেশার দরকার নেই, এতে হিতে বিপরীত হতে পারে। নিজেকে সময় দিন এবং ভাবুন।
অহেতুক দুশ্চিন্তা করা
সময়মতো পরীক্ষার হলে পৌঁছাতে পারব তো? বাথরুমে কি পানির কল ছেড়ে এলাম? সহকর্মী কি আমাকে নিয়ে বসের কান ভারি করছে? প্রয়োজন ছাড়াই সবসময় যখন আপনাকে এ ধরণের উদ্বেগ গ্রাস করে থাকবে, বুঝবেন আপনার কিছুটা ‘অ্যালোন টাইম’ বা ‘মি টাইম’ প্রয়োজন রয়েছে। অহেতুক দুশ্চিন্তা আসলে একটা চক্রের মতো। এটি থেকে যত দূরে যেতে চাইবেন, তত আপনাকে জেঁকে ধরবে।
সব সময়ে তাড়াহুড়া
এমন একটা ব্যবস্থার মধ্যে আছি, যেখানে প্রতিনিয়ত সবাই শুধু ছুটে চলেছি। কীসের জন্য ছুটছি, কেনইবা ছুটছি, সে উত্তরও হয়ত অনেকের অজানা! জীবনের কাছে অতিরিক্ত প্রত্যাশা অজান্তেই আমাদেরকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিয়েছে। সাফল্যের র্যাট রেস বা ইঁদুর দৌড়ে আমরা এতটাই মগ্ন হয়ে গিয়েছি যে, সত্যিকার সুখ, শান্তি, এবং জীবনের আসল উদ্দেশ্য হারিয়ে গেছে। দু’দণ্ড শান্তির খোঁজে একটা পর্যায়ে এসে সবারই তাই কিছুটা সময় নিজের সঙ্গে একান্তে কাটানো উচিত।
তথ্যসূত্র: সাইক সেন্ট্রাল
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।