ইলন মাস্কের মূল চিন্তাটাই হলো একই রকেট বারবার ব্যবহারের প্রযুক্তি উদ্ভাবন। তিনি সফল হয়েছেন। তাঁর উদ্ভাবিত ফ্যালকন হেভি রকেটে মহাকাশযাত্রার ব্যয় এক-তৃতীয়াংশে নেমে আসবে। কারণ একই রকেট বারবার ব্যবহার করা যায়।
রকেটের কয়েকটি অংশ থাকে। মূল রকেটের সঙ্গে থাকে একটি বা দুটি বুস্টার রকেট। এদের কাজ হলো উৎক্ষেপণের পর প্রায় ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত উচ্চতায় উপগ্রহটিকে নিয়ে কক্ষপথে স্থাপন করা। এরপর মূল রকেট থেকে আলাদা হয়ে বুস্টার রকেট পৃথিবীতে ফিরে আসে। এ সময় বাতাসের সঙ্গে ঘর্ষণে ওগুলো জ্বলে-পুড়ে যায়, যেটুকু ফিরে আসে তা আর ব্যবহারযোগ্য থাকে না। সাধারণত ওই রকেটগুলো সাগরে পড়ে। এখন সাগর-মহাসাগরের তলদেশে হাজার হাজার রকেট শেল জমা হয়ে আছে।
ইলন মাস্ক এমন ব্যবস্থা করলেন, যেন রকেট নিরাপদে ফিরে আসতে পারে। এ জন্য তিনি বুস্টার রকেটে কিছু অতিরিক্ত জ্বালানি রাখার ব্যবস্থা করলেন। আগে রকেটের সব জ্বালানি উপগ্রহটিকে কক্ষপথে স্থাপন করতেই শেষ হয়ে যেত। কিন্তু ইলন মাস্ক অতিরিক্ত জ্বালানি রাখলেন, যেন ফেরার পথে সেই জ্বালানি ব্যবহার করে রকেটের গতি কমানো যায়।
তাহলে বাতাসের ঘর্ষণে ক্ষতির আশঙ্কা কমে যায়। ডজনখানেক সেন্সর থাকে। বায়ুর তাপমাত্রা, চাপ ও অন্যান্য তথ্য সেন্সর থেকে গ্রহণ করে রকেট তার ফেরার কলাকৌশল ঠিক করে। নামার ঠিক আগের মুহূর্তে হালকা কার্বন ফাইবারের তৈরি চারটি পা বের হয়। ওগুলো নামার ধাক্কা সামলাতে সাহায্য করে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।