Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    Home রক্তবৃষ্টির রহস্য উন্মোচন (ভিডিও)
    আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

    রক্তবৃষ্টির রহস্য উন্মোচন (ভিডিও)

    mohammadAugust 6, 20195 Mins Read
    Advertisement

    বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : আকাশ থেকে লাল রঙে রঙিন রক্তবৃষ্টি ঝরছে.. এ যেন ভৌতিক সিনেমার কোনও দৃশ্য। কিন্তু আসলে সিনেমা নয়, সত্যিই আকাশ থেকে নেমে আসা রক্তবর্ণের বৃষ্টিধারায় ভিজে গেল সাইবেরিয়ার একটি অঞ্চলের পথঘাট। তাহলে আকাশে ওটা কী! মারণ-মেঘ? নাকি ইউএফও? তবে কী এলিয়েনের কাণ্ড সব? ভারত, শ্রীলঙ্কা, সাইবেরিয়াসহ পৃথিবীর নানা প্রান্তে এরকম লাল রঙের বৃষ্টি ঝরেছে। সেই রক্তবৃষ্টির আসল রহস্য নিয়েই এ ফিচার।

    বর্ষা অনেকেরই প্রিয় ঋতু। বৃষ্টির রিনিঝিনি শব্দে অদ্ভুত প্রশান্তি খুঁজে পান অনেকেই। গ্রীষ্মেও প্রচণ্ড দাবদাহে প্রকৃতি যখন উত্তপ্ত হয়ে ওঠে, তখন প্রশান্তি এনে দেয় এক পশলা বৃষ্টি। সাধারণত বৃষ্টির পানিই প্রকৃতিতে পাওয়া বিশুদ্ধ পানির একমাত্র উৎস। এই পানি বর্ণহীন। কোনো রঙ নেই। কিন্তু কেমন হয় যদি রক্তের মতো লাল বর্ণের বৃষ্টির ধারা নেমে আসে আকাশ থেকে? এটি একদিকে যেমন ভয়ঙ্কর, অন্যদিকে ঠিক ততটাই রহস্যজনক বটে। পৃথিবীর নানা প্রান্তে এমন বেশ কিছু ঘটনা ঘটেছে যেগুলোর ব্যাখ্যা খুঁজে পেতে ঘাম ঝরিয়েছে চলেছেন বিজ্ঞানীরা। এ ধরনের লাল রঙের বৃষ্টিকে ব্লাড রেইন, রেড রেইন বলা হয়। বাংলায় যাকে বলা যায় রক্তবৃষ্টি। এ ধরনের বৃষ্টির সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটে দক্ষিণ ভারতের কেরালায়। ২০০১ সালের ২৫ জুলাই থেকে ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এমন একটি বিরল ঘটনার সাক্ষী হয়েছিল কেরালাবাসি। কেরালার লোকজন দিনের পর দিন লাল বৃষ্টি দেখেছিল। আকাশের দিকে তাকানোর পর মনে হচ্ছিল কেউ বুঝি আকাশের পেট চিরে দিয়েছে। হঠাৎ করে ঘটে যাওয়া এই ঘটনায় বহু মানুষ ভয় পেয়ে যায়। যদিও এর আগেও মাঝে সাঝে এই লাল বৃষ্টি দেখা গেছে।

    ১৯৮৬ সালে প্রথম এই বৃষ্টি সবার নজরে আসে। কিন্তু তা খুবই অল্প ছিল। বহু মানুষের জামা কাপড়ে সেই লাল বৃষ্টির ছোপ ছোপ দাগ পড়েছিল। সর্বশেষ রেকর্ড অনুযায়ী ২০১২ সালেও এরকম ঘটনা ঘটেছে। এর আগে বৃষ্টির পানি সবুজ বা হলুদ হওয়ার কথা শোনা গেছে। কিন্তু সেটা সাধারণত পরিবেশে এসিড কিংবা বিভিন্ন কণিকার উপস্থিতির কারণে হয়ে থাকে। কিন্তু রক্তবৃষ্টির এতো সহজ ব্যাখ্যা বিজ্ঞানীরা এখনো দাঁড় করাতে পারেননি।

    গবেষক থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ, সবার একটাই প্রশ্ন- বৃষ্টির পানিতে কী এমন আছে যে কারণে এর বর্ণ লাল হবে! এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার জন্য বিজ্ঞানীরা বৃষ্টির পানি পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করলেন। গবেষণায় দেখা গেছে, রক্তবৃষ্টির প্রতি মিলিমিটার পানিতে প্রায় নয় মিলিয়ন লাল বর্ণের কণিকা উপস্থিত আছে। গণনা করে আরো দেখা যায়, প্রতি লিটার পানিতে প্রায় ১০০ মিলিগ্রাম কঠিন পদার্থ বিদ্যমান। এই গণনা থেকে বিজ্ঞানীগণ জানান, কেরালায় যে পরিমাণ রক্তবৃষ্টিপাত হয়েছে, তাতে সব মিলিয়ে প্রায় ৫০,০০০ কিলোগ্রাম পরিমাণ লাল কণিকা ভূমিতে পতিত হয়েছিলো।

    বৃষ্টির পানি থেকে আলাদা করা এসব কঠিন পদার্থের নমুনা পরীক্ষা করে জানা যায় যে এদের বর্ণ বাদামী-লাল বর্ণের। এসব কণিকার প্রায় ৯০ শতাংশ পরিমাণই গোলাকার এবং বাকি অংশ কোনো বস্তুর ধ্বংসাবশেষ বলে মনে হয়। এছাড়াও সবুজ বা হলুদ বর্ণের অল্প কিছু পরিমাণ কণিকার উপস্থিতিও পাওয়া যায় এই পানিতে। মূলত লাল কণিকার উপস্থিতির কারণেই বৃষ্টির বর্ণ এরূপ হয়েছে বলে জানান গবেষকগণ।

    বৃষ্টির পানিতে উপস্থিত পদার্থগুলোকে সফলভাবে শনাক্ত করা গেছে ঠিকই, কিন্তু কোত্থেকে এলো এমন পদার্থ? লাল বর্ণের এই পদার্থের উৎস কী? সবচেয়ে বড় কথা দক্ষিণ ভারতের কেরালাতেই কেন? অন্য কোথাও কেন নয়?

    কেউ কেউ উল্কা বিস্ফোরণ আবার কেউ কেউ বাতাসে শৈবালের পচে যাওয়া মিশ্রণকে দায়ী করলেও কোনো ব্যাখ্যাই এখন পর্যন্ত শতভাগ গ্রহণযোগ্যতা পায়নি। তবে কেরালার রক্তবৃষ্টির ক্ষেত্রে একটা ভীষণ ইন্টারেস্টিং ব্যাপার রয়েছে। সেটি হচ্ছে কেরালায় রক্ত বৃষ্টির কিছুদিন আগে কেরালার কাত্তায়াম এবং ইড়ুক্কি অঞ্চলের মানুষেরা হঠাৎ প্রচণ্ড জোরালো শব্দ শুনতে পায়।
    সেই সাথে প্রচণ্ড আলোর ঝলকানিও দেখা যায়। বিজ্ঞানীদের কথা হচ্ছে রকম শব্দ কেবল সুপারসনিক বিমানের দ্বারাই তৈরী করা সম্ভব। কিন্তু ভারতের বিমান বাহিনী থেকে জানানো হয়, ওই ক’দিন কোনো প্রকার বিমান মহড়া করা হয়নি। ফলে এই শব্দ এবং আলোর ঝলকানি আরো রহস্যময়তার সৃষ্টি করে। সেই রহস্যে নতুন মোড় নেয় টানা রক্তবৃষ্টির পর।

    প্রথমদিকে সেন্টার ফর আর্থ সায়েন্স স্টাডিজ তাদের গবেষণায় জানায় যে, কিছুদিন পূর্বে হঠাৎ করে ঘটা সনিক বুম অর্থাৎ সেই প্রচণ্ড শব্দ আসলে ছিলো কাছাকাছি কোনো এক উল্কাপিণ্ডের বিস্ফোরণের শব্দ। বিস্ফোরণের ফলে সেখান থেকে লাল কণিকাগুলো বৃষ্টির পানির সাথে মিশে পতিত হয় এবং রক্তবৃষ্টি তকমাটি লাভ করে। কিন্তু যেকোনো কারণেই হোক, সিইএসএস এর গবেষকগণ তাদের এই গবেষণায় নিজেরাই সন্তুষ্ট হতে পারছিলেন না। প্রথমত এই অঞ্চলে যদি কোনো উল্কাপিণ্ডের বিস্ফোরণ হয়ে থাকে তবে সেগুলো বায়ুমণ্ডলের স্ট্রাটোস্ফিয়ার অঞ্চলে অবস্থান করে এবং বায়ুর প্রভাবে এদের উড়ে অন্যত্র চলে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। কাজেই এই সনিক বুমের প্রায় দুই মাস পরে পতিত হওয়া রক্তবৃষ্টির মধ্যে বিস্ফোরিত উল্কাপিণ্ডের ধ্বংসাবশেষ থাকাটাও বেশ অসম্ভব। তাছাড়া যদি উল্কাপিণ্ডের ধ্বংসাবশেষ বৃষ্টির পানির সাথে পতিত হয়ে থাকে তাহলে কেরালার আরো বিভিন্ন অঞ্চলে, এমনকি এর বাইরেও বিভিন্ন জায়গায় রক্তবৃষ্টি হওয়ার কথা শোনা যেত। কিন্তু সেটা হয়নি।

    দ্বিতীয়ত, বৃষ্টির পানিতে প্রাপ্ত কণিকাগুলোকে যখন আলোক অণুবীক্ষণ যন্ত্র দ্বারা পরীক্ষা করা হয়, তখন দেখা যায় এরা আসলে কোনো উল্কার ধ্বংসাবশেষ নয়, বরং কোনো জীবের স্পোর।

    প্রাপ্ত এই নতুন তথ্য আসলে সিইএসএস কখনো প্রত্যাশা করেনি। তারা এই পানির নমুনা পৌঁছে দেয় ট্রপিক্যাল বোটানিক্যাল গার্ডেন এন্ড রিসার্চ ইন্সটিটিউট-এ।

    এখানে নমুনাকে পুনরায় পরীক্ষানিরীক্ষা করে তারা জানান, এসব লাল বর্ণের কণিকা মূলত ট্রেন্টেফোলিয়া গণের একপ্রকার শৈবালের স্পোর, যারা পানিতে মিশে লাল বর্ণের সৃষ্টি করে। পরে ওই অঞ্চলে প্রায় একই রকম শৈবালের উপস্থিতি খুঁজে পায় এই গবেষকদল। ফলে উল্কাপিণ্ডের বিস্ফোরণ সম্পর্কিত তত্ত্বকে আর প্রতিষ্ঠা করা হলো না। কিন্তু শৈবালের স্পোর তত্ত্বও গবেষকদের সন্তুষ্ট করতে পারলো না।

    এদিকে আরেকটি তত্ত্বে দায়ী করা হয় আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতকে দায়ী করা হয়। যখন কেরালায় রক্তবৃষ্টির সময় ছিলো ঠিক সেসময়েই ফিলিপাইনের মায়োন আগ্নেয়গিরি থেকে অগ্ন্যুৎপাত চলছিলো। তার মতে, এই আগ্নেয়গিরি থেকে এসিডিক পদার্থসমূহ নিরক্ষীয় বায়ুর প্রভাবে কেরালা অঞ্চলে পৌঁছায়। পরে অবশ্য এই যুক্তিও ধোপে টেকেনি।

    আরেকটি ব্যাখ্যায় প্রকল্পে আরব মরুভূমির ধুলিকণাকে দায়ী করা হয়। বলা হয়ে থাকে, মরুভূমির ধূলিকণায় তৈরী মেঘ কেরালার আকাশে সেই সময়ে অবস্থান করতে পারে যখন রক্তবৃষ্টি হয়েছিলো। কিন্তু পরে যেহেতু জানা গিয়েছে সেখানে কোনো ধূলিকণা নেই এবং পার্টিকলগুলো শৈবালের স্পোর ধরনের। তখন এই তত্ত্বও টিকলো না আর।

    এতোসব ব্যাখ্যার ভীড়ে কোনটিই সবার মনোপুত হচ্ছিল না। এর মধ্যেই আরেকটি ব্যাখ্যা সবাইকে নাড়িয়ে দিল। ২০১৬ সালে মহাত্মা গান্ধী বিশ্ববিদ্যালয়ের গডফ্রে লুইস ও সন্তোষ কুমার এই বিষয়ে একটি বিতর্কিত ব্যাখ্যা প্রদান করেন। তারা দাবি করেন, রক্তবৃষ্টিতে যে পার্টিকল আছে সেগুলো বহিঃজাগতিক।

    তাদের মতে, উল্কাপিণ্ডের বিস্ফোরণের ফলে এসব বহির্জাগতিক প্রাণ কণিকা উন্মুক্ত হয় এবং সেগুলো বৃষ্টির পানির সাথে মিশে পৃথিবীতে নেমে আসে। তবে এই তত্ত্বও নানা প্রকার বিতর্কের প্রভাবে প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়ে।

    এমন অসংখ্য ব্যাখ্যার পর অনেকের বিশ্বাস এই বৃষ্টিতে ভিনগ্রহীদের হাত আছে। অনেকে আবার একে নেহায়েতই প্রকৃতির বিচিত্র খেয়াল বলে এড়িয়ে যাচ্ছেন। তবে কেরালার রক্ত বৃষ্টি পৃথিবীর অন্যতম অমীমাংসিত রহস্য হয়েই থেকে গেছে।

    https://www.youtube.com/watch?v=pv-Qc2hs3F8&feature=player_embedded

    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    ‘ও আন্তর্জাতিক উন্মোচন প্রযুক্তি বিজ্ঞান ভিডিও রক্তবৃষ্টির রহস্য
    Related Posts
    মালয়েশিয়ায় আইএস

    মালয়েশিয়ায় আইএস-যোগে দুই বাংলাদেশির বিরুদ্ধে মামলা

    August 9, 2025
    বৈঠক

    ১৫ আগস্ট আলাস্কায় ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে ট্রাম্প-পুতিন বৈঠক

    August 9, 2025
    গ্যাস চুক্তি

    ২০৪০ সাল পর্যন্ত ইসরাইলের সঙ্গে মিশরের প্রাকৃতিক গ্যাস চুক্তি স্বাক্ষর

    August 9, 2025
    সর্বশেষ খবর
    শূন্য আসন পূরণে ঢাবিতে

    শূন্য আসন পূরণে ঢাবিতে নতুন ভর্তির সুযোগ, মাইগ্রেশন শেষ হচ্ছে আজ

    এক বছরেও ভাঙেনি আওয়ামী

    এক বছরেও ভাঙেনি আওয়ামী সিন্ডিকেট

    ছাত্রদলের হল কমিটিতে

    ছাত্রদলের হল কমিটিতে সাবেক ছাত্রলীগ কর্মী ও নির্যাতনে অভিযুক্তদের নাম

    ধানমন্ডি মাঠ নতুন নামে

    ধানমন্ডি মাঠ নতুন নামে পুনরায় দখলের অভিযোগ

    BookTok

    Viral BookTok Sensation “Age of Scorpius” Faces Reader Backlash After Release

    piano-playing cat

    Meet TikTok’s Spooky Piano-Playing Cat: Viral Feline Musician Amazes Millions

    Mercedes-Benz GLE Facelift

    Mercedes-Benz GLE Facelift Launches in India: Premium Tech & Design Upgrades

    Garena Free Fire redeem codes

    Unlock Free Fire Loot: August 9 Redeem Codes Deliver Skins, Weapons & Diamonds

    bedbug infestation

    American TikToker’s Paris Hotel Bedbug Horror Sparks Travel Alarm

    Taco vs Burrito

    Teen’s Taco vs Burrito Card Game Serves Up Multi-Million Dollar Success

    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    • Feed
    • Banglanews
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.