জুমবাংলা কৃষি: শরীয়তপুরের জাজিরার বাজারে পাওয়া যাচ্ছে হলুদ রঙের ফুলকপি। সাদা রঙের ফুলকপির তুলনায় হলুদ রঙের এই ফুলকপি কেজিতে ৩০-৪০ টাকা বেশি বিক্রি হয়। সমন্বিত কৃষি ইউনিটের সহযোগিতায় জাজিরা উপজেলার সোনার দেউল গ্রামের কৃষক আব্দুল লতিফ মোল্লা সর্বপ্রথম এ হলুদ রঙের ফুলকপির চাষ করেন।
সরেজমিনে গিয়ে কৃষক আব্দুল লতিফ মোল্লার সাথে কথা বলে জানা যায়, এসডিএস-এর সমন্বিত কৃষি ইউনিটের সহযোগিতায় প্রথমে হলুদ ও বেগুনি রঙের ফুলকপি চাষের জন্য বীজ ও সার পান তিনি। তার নিজস্ব ১০ শতক জমিতে প্রায় ১ হাজারটি চারা রোপন করেন তিনি। চারা রোপনের ৬৫ দিন পর ৬০ টাকা কেজি দরে হলুদ ফুলকপি বিক্রি শুরু করেন।
বাজারে চাহিদা বেশি থাকায় দ্রুত ক্ষেত হতে হলুদ ফুলকপি শেষ হয়ে যায়। ১০ শতক জমিতে এই ফুলকপি চাষ করতে প্রায় ১০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। বিক্রি হয়েছে প্রায় ৫০ হাজার টাকা। এসময় তিনি জানান, হলুদ ফুলকপি চাষ করার জন্য আলাদা কোন পদ্ধতি নেই। সাদা ফুলকপি যেভাবে চাষ করতে হয় সেভাবেই হলুদ ফুলকপি চাষ করতে হয়। তার ক্ষেত দেখতে প্রতিদিন অনেক মানুষ আসে। তার দাবী, আগামী বছর এ অঞ্চলে ব্যাপকভাবে হলুদ ফুলকপি চাষ হবে।
সোনার দেউল গ্রামের আরেক কৃষক শাহাজাহান মাদবর বলেন, হলুদ ফুলকপি দেখতে অনেক সুন্দর ও বাজারেও এর চাহিদা বেশি। আব্দুল লতিফ মোল্লা আমার সাদা ফুলকপির তুলনায় ৩০ টাকা বেশি কেজিতে বিক্রি করতে পারছেন। এসডিএস বীজ দিয়ে সহযোগিতা করলে আমিও আগামী বছর এ ফুলকপির চাষ করবো।
এসডিএস এর কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ খাজি আলম বলেন, পিকেএসএফ এর সমন্বিত কৃষি ইউনিটের সহযোগিতায় এ অঞ্চলে ব্রোকলি, লেটুস, রেড বিট, রেড ক্যাবেজ, স্কোয়াস, ক্যাপসিকামের চাষ করা হচ্ছে। এ বছরই সর্বপ্রথম আব্দুল লতিফ মোল্লাকে হলুদ ও বেগুনি রঙ্গের ফুলকপির বীজ দেওয়া হয়েছে। হলুদ ফুলকপি বিক্রি শেষ হলেও বেগুনি ফুলকপি বিক্রি হতে আরো সাত দিন সময় লাগবে। আমরা কৃষককে ফুলকপি চাষে সব ধরনের পরামর্শ দিয়ে থাকি। রঙ্গিন ফুল কপিতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন ও এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় ক্যানসার ও হৃদরোগের ঝুকি হ্রাস করে। আমরা আশা করছি, আগামীতে এ অঞ্চলে ব্যাপকভাবে রঙ্গিন ফুলকপির চাষ সম্প্রসারণ হবে।
এই বিষয় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ জামাল হোসেন জানান, জাজিরাতে এই বছরই প্রথমবারের মত কালার ফুলকপির চাষ হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিসারের কার্যালয় এর সার্বিক পরামর্শ ও স্থানীয় একটি এনজিও এসডিএস এর উদ্যোগে এটি বাস্তবায়ন হয়েছে। স্বাভাবিক ফুল কপির চেয়ে রঙ্গিন ফুলকপিতে এন্টিঅক্সিডেন্ট, এন্থসায়ানিন এবং বিটা ক্যারটিন প্রায় ২৫ % বেশি থাকার ফলে এটি অধিক পুষ্টি বহন করে, যা মানুষের হৃদ রোগ, ডায়াবেটিস ও ক্যান্সার এর মত রোগ প্রতিরোধে যথেষ্ট কার্যকর। এই বছর পরীক্ষামুলকভাবে প্রায় ১ একর জমিতে এটি চাষ হয়েছে, আগামিতে আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আমরা আশা করছি।#যায়যায়দিন
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।