জুমবাংলা ডেস্ক : দাম আরও বাড়তে পারে, এই আশঙ্কায় বেশি করে পেঁয়াজ কিনে রেখেছেন অতি লাভের আশায়। নিজেদের গোডাউনে জায়গার সংকুলন না হওয়ায় বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ রাখা হয়েছে রড-সিমেন্টের গোডাউনে
পেঁয়াজ মজুদ করে চড়া দামে পাইকারি ও খুচরা দামে দেদারছে বিক্রি করছে চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট। ফলে পেঁয়াজের বাজার হয়ে উঠেছে নিয়ন্ত্রণহীন।
বিষয়টি জানতে পেরে হাটহাজারী বাজারে অভিযান পরিচালনা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বুধবার দুপুরে হাটহাজারী মডেল থানার দক্ষিণে রাস্তার পূর্ব পাশে মুরগিহাটা এলাকায় রড-সিমেন্টের গোডাউনে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ উদ্ধার করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
স্থানীয় আমির হোসেনের মালিকানাধীন ওই গোডাউনে পরিচালিত এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রুহুল আমিন।
এ সময় আদালত বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে অতি মুনাফা লাভের আশায় বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ মজুদ করায় ও চড়া দামে পেঁয়াজ বিক্রির দায়ে পাইকারি ব্যবসায়ী আমির হোসেনকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই সঙ্গে পাইকারি ও খুচরা বাজারে ওই পেঁয়াজ বিক্রির দাম নির্ধারণ করে দেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ইউএনও রুহুল আমিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ১১ সেপ্টেম্বর ভারত থেকে কেনা প্রায় ৫ টন পেঁয়াজ রড-সিমেন্টের গোডাউনে অবৈধভাবে মজুদ করে রেখেছিলেন ব্যবসায়ী আমির হোসেন। এ সব পেঁয়াজ আমদানির তথ্য এবং পেঁয়াজের ক্রয় ও বিক্রয় মূল্য যাচাই-বাছাইকালে কী দামে এ পেঁয়াজ ক্রয় করেছিলেন তার কোনো কাগজপত্রও তিনি ভ্রাম্যমাণ আদালতকে দেখাতে পারেননি।
তিনি আরও জানান, তিনি মূলত কৃত্রিম সংকট তৈরি করে এই বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ মজুদ করে বাড়তি দামে বিক্রির জন্য এ কাজ করেছেন বলে ভ্রাম্যমাণ আদালতে কাছে স্বীকার করেছেন আমির হোসেন। তাই তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এ ছাড়া ওই ব্যবসায়ীর প্রায় ৫ টন পেঁয়াজ পাইকারি ও খুচরা বাজারে বিক্রির দাম নির্ধারণ করে দেয়া হয় বলে তিনি জানান।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।