জুমবাংলা ডেস্ক : এক সপ্তাহের ব্যবধানে খুলে দেওয়া হলো হাইকোর্ট বিভাগের সবকটি (৫৩টি) বেঞ্চ। আগামী রবিবার ২০ জুন থেকে হাইকোর্ট বিভাগের সব বেঞ্চ বসছে। প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী ৩৪টি দ্বৈত বেঞ্চ আর ১৯টি একক বেঞ্চ বসছে। তবে সব কটি বেঞ্চই ভার্চুয়ালি বসবেন। এ বিষয়ে বৃহষ্পতিবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের স্বাক্ষরে আদেশ জারি করা হয়েছে। প্রশাসনিক ক্ষমতাবলে প্রধান বিচারপতি এসব বেঞ্চ গঠন এবং এসব বেঞ্চের বিচারিক এখতিয়ার নির্ধারণ করেছেন।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে স্বাভাবিক বিচার কাজ বন্ধ থাকায় জরুরী মামলার শুনানির জন্য গত ১০ জুন হাইকোর্ট বিভাগের বেঞ্চের সংখ্যা ২১টি থেকে বাড়িয়ে ৩০টি করা হয়। গত এক সপ্তাহ হাইকোর্ট বিভাগে ৩০টি বেঞ্চ বসে। আর গতকাল আরো ২৩টি বাড়িয়ে করা হয়েছে ৫৩টি। তবে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত হাইকোর্টে আগাম জামিন শুনানি বন্ধ থাকছে।
দ্বিতীয় পর্যায়ে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে গত ৫ এপ্রিল থেকে সরকার ঘোষিত লকডাউনের কারণে সারা দেশে আদালতে স্বাভাবিক বিচারিক কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। তবে জরুরী বিষয় শুনানির জন্য হাইকোর্ট বিভাগে মাত্র চারটি বেঞ্চ গঠন করা হয়। তবে এসব আদালতে ভার্চুয়ালি শুনানির সুযোগ রাখা হয়। পরবর্তীতে ধীরে ধীরে এই বেঞ্চের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণের প্রেক্ষাপটে প্রতিকুল পরিস্থিতে বিচারকাজ অব্যাহত রাখতে গতবছর ৯ মে রাষ্ট্রপতি আদালত কর্তৃক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ জারি করার পর ১১ মে থেকে হাইকোর্ট ও নিম্ন আদালতে ভার্চুয়ালি বিচার কার্যক্রম শুরু হয়। প্রথমদিন হাইকোর্টে আবেদন দাখিল করা হয়। আর সারা দেশের নিম্ন আদালতের মধ্যে শুধুমাত্র কুমিল্লার আদালতে একটি জামিন আবেদনের ওপর শুনানি শেষে একজনের জামিন মঞ্জুর করা হয়। পরদিন ১২ মে ১৫টি জেলায়, ১৩ মে ৩৬টি জেলায় এবং ১৪ মে ৪৬ জেলায় আদালত কার্যক্রম পরিচালিত হয়। পরবর্তীতে সারা দেশে ভার্চুয়ালি বিচার কাজ চালু হয়। ভার্চুয়ালি আদালত কার্যক্রম চালুর শুরুর দিকে ৩৫/৩৬টি হাইকোর্ট বেঞ্চ বসলেও করোনা ভাইরাসের সংক্রমন কমে গেলে পরে প্রতিদিন নিয়মিতভাবে ৫২/৫৩টি হাইকোর্ট বেঞ্চ বসে। এসময় অর্ধেকের বেশি হাইকোর্ট বেঞ্চ ভার্চুয়ালি আর বাকীগুলো শারীরিক উপস্থিতিতে বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করেন। আর সারা দেশে অধস্তন আদালত পর্যায়ক্রমে খুলে দেওয়া হয়। অধস্তন আদালতে শারীরিক উপস্থিতিতেই নিয়মিত আদালত কার্যক্রম অব্যাহত ছিল।
কিন্তু দ্বিতীয় পর্যায়ে করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত ৫ এপ্রিল থেকে ৪টি বেঞ্চ দিয়ে হাইকোর্ট বিভাগের বিচার কাজ শুরু হয়। এরপর থেকে আইনজীবীরা বেঞ্চের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য বার বার দাবি জানিয়ে আসছিলেন। আইনজীবীরা
দাবি জানালেও প্রধান বিচারপতি একবারে বেঞ্চের সংখ্যা বাড়াননি। পর্যায়ক্রমে বেঞ্চের সংখ্যা বাড়িয়েছেন। সর্বশেষ গতকাল ২৩টি বেঞ্চ বাড়ানোর কারণে এখন বেঞ্চের সংখ্যা দাঁড়ালো ৫৩টি। ফলে হাইকোর্ট বিভাগের সব কটি বেঞ্চই খুলে দেওয়া হলো।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।