সয়াবিন তেল নিয়ে বাজারে কৃত্রিম সংকট অব্যাহত রয়েছে। কিছুতেই যেন এ সংকট কাটছে না এবং সংকট কাটানোর জন্য কোন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। এতে করে বিপদে পড়েছে সাধারণ মানুষ। তবে ব্যবসায়ীরা মনে করেন যে, আটা বা ময়দা এরকম কিছু পণ্য না কিনলে সয়াবিন তেল পাওয়া যাচ্ছে না।
বাজারে সয়াবিন তেলের সরবরাহ না থাকার জন্য কৃত্রিম সংকট দায়ী। এর ফলে বাধ্য হয়ে ক্রেতাদের অন্য পণ্য কেনার শর্ত পূরণ করতে হচ্ছে। সামনে রমজান মাস আসছে। এ কারণে এ সংকট আরো তীব্র হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিচ্ছে। সয়াবিন তেলের বাজারে অস্থিরতা যেন কাটতেই চাচ্ছে না।
আপনি যদি বরিশালের বাজার ঘুরে দেখেন সেখানে কোন বোতলজাত সয়াবিন তেল খুঁজে পাবেন না। এমনকি খোলা সয়াবিন তেল তাই পঁচিশ টাকা অতিরিক্ত বিক্রি হচ্ছে। তবে ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানকে অভিযোগে দুষলেন দোকানিরা। তারা মনে করেন একই কোম্পানির অন্যান্য পণ্য যেমন ডাল, আটা বা চাল যদি না কেন হয় তাহলে সয়াবিন তেল দিতে নারাজ তারা। এর আগে সয়াবিন তেলের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে ৮ টাকা বাড়িয়ে নেওয়া হয়েছিল। এবারও সম্ভবত একই উদ্দেশ্যে আবারও সয়াবিন তেলের কৃত্রিম সংকট তৈরি করা হয়েছে।
খুলনার বাজারে খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটারে বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়। আর কয়েক দোকান ঘুরলেও মিলছে না বোতালজাত তেল। আর যেসব দোকানে মিলছে সেখানেও কিনতে হচ্ছে অন্য কোম্পানির পণ্য। একই অবস্থা যশোরেও। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ–তদারকির অভাবে কৃত্রিম সংকট তৈরি করেছে আমদানিকারকরা।
চাঁদপুর ও হিলিতেও সংকট কাটেনি সয়াবিনের। কোনো দোকানেই মিলছে না বোতলজাত সয়াবিন তেল। বাড়তি দামে বিক্রির অভিযোগ পেলে ব্যবস্থার নেওয়ার কথা জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। সয়াবিন তেলের সংকট কাটাতে বাজারে তদারকি বাড়ানোর কথা বলছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।