লাইফস্টাইল ডেস্ক : রমজানে ঘুমের সাইকেলটা বিঘ্নিত হবেই। এসময় অবশ্য খাদ্যাভ্যাসের কারণে ঘুমেরও বিঘ্ন ঘটে। আর এই বিঘ্ন এড়ানোর জন্য কিছু অভ্যাস গড়ে নিতে হবে।
খাবারে সমঝোতা
রমজানে অনেকেই যা ইচ্ছে তা-ই খান। এমনটি করবেন না। খাবারে সংযত হওয়া উচিত। ভাজাপোড়া বা শারীরিক সমস্যা হয় এমন খাবার এড়ানো উচিত। ভাজাপোড়া বা অত্যধিক তৈলাক্ত খাবারে বুকে জ্বলুনি, গ্যাস্ট্রিক, কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা ঘুম বিঘ্নিত করে। সুস্থ ডায়েট অনুসরণ করুন, ঘুমে সমস্যা হবে না। স্বাস্থ্যকর খাবার খান। সেহরি, ইফতার ও রাতের খাবারে নির্ধারণ করে নিন কি খাবেন। খাবারের আইটেমে সবজি, প্রোটিন ও কম মশলাযুক্ত খাবার রাখা ভাল। বিশেষত চিকেন রান্না করলে তা পুনরায় গরম না করে খাওয়াই ভালো। এছাড়া শরীরের পানিশূন্যতা দূর করার জন্যও ব্যবস্থা নিতে হবে।
ঘুমানোর আদর্শ পরিবেশ
যতটুকুই ঘুমানোর সময় পান পরিবেশটা শান্ত রাখুন। শোবার ঘরে আলো কমিয়ে রাখুন, ঠাণ্ডা পরিবেশ নিশ্চিত করুন। মোবাইল ফোনের ব্যবহার কমান। পারলে দূরে রাখুন। ঘুমোনোর ক্ষেত্রে বালিশ, বিছানা আরামদায়ক করে রাখলে সহজেই ঘুম আসবে।
হালকা ঘুম
হালকা ঘুম দিলে ক্লান্তি সহজেই দূর হয়। প্রথম কদিন আপনার সমস্যা হবে। কিন্তু আস্তেধীরে যখন মানিয়ে নিবেন তখন দেখবেন আর ঝামেলা হচ্ছে না। সেহরির আগ পর্যন্ত হাল্কা ঘুম দিয়ে সকাল পর্যন্ত ভেঙে ভেঙে ঘুমানোর অভ্যাস গড়ে নিন।
বিশ্রামের সময় খুঁজুন
সারাদিন ব্যস্ততা, ইবাদত ও রোজার কাজকর্মের মাঝে বিশ্রামের সময় খুঁজুন। অতিরিক্ত ব্যস্ততায় অনেক সময় ক্লান্তি বোঝা যায় না। ফলে মস্তিষ্ক সচল থাকায় বা উত্তেজিত থাকায় ঘুম আসে না। সেজন্যই পর্যাপ্ত বিশ্রামের সুযোগ নিন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।