১৮৪৫ সালের ঘটনা। ইংল্যান্ড থেকে পৃথিবীর উত্তর-পশ্চিম কোণ বরাবর নতুন পথ খুঁজতে সমুদ্রাভিযানে বের হন ব্রিটিশ নাবিক জন ফ্রাঙ্কলিন। এরিবাস ও টেরর নামে দুই জাহাজ নিয়ে রওনা দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু হঠাৎই দুই জাহাজসহ নিখোঁজ হন ফ্রাঙ্কলিন ও ১২৯ যাত্রী। ১৭৪ বছর পর কাটতে চলেছে রহস্যে মোড়া সেই সমুদ্রাভিযানের জট। ২০১৪ ও ২০১৬ সালে খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল দুটি জাহাজের। সেগুলোর ভেতরের পরিস্থিতি সম্প্রতি দূরনিয়ন্ত্রিত যন্ত্র দিয়ে দেখতে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। জাহাজের ভেতরের জিনিসপত্র ভালো অবস্থায় রয়েছে। এ থেকে বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালালে, দুই জাহাজের যাত্রীদের শেষ দিনগুলোর পরিস্থিতি এবং এ অভিযানে দুই জাহাজ কী কী পর্যবেক্ষণ করেছিল, তা জানা যাবে।
জন ফ্রাঙ্কলিন ব্রিটিশ রয়্যাল নেভির কর্মকর্তা ছিলেন। বাষ্পচালিত ইঞ্জিনের দুই জাহাজে তিন বছরের খাবার মজুদ ছিল। ইতিহাস বলে, ইউরোপ থেকে ১৮৪৫ সাল পর্যন্ত যতগুলো সমুদ্রাভিযান হয়েছিল, তার মধ্যে এটাই ছিল সবচেয়ে সুপরিকল্পিত। স্কটল্যান্ডের অর্কনেদ্বীপ এবং গ্রিনল্যান্ডে নোঙর ফেলার পর দুই জাহাজই আর্কটিক কানাডার উদ্দেশে রওনা দেয়। পরিকল্পনা ছিল আর্কটিক কানাডার বিভিন্ন প্রণালির গোলকধাঁধা ভেদ করে প্রশান্ত মহাসাগরে পৌঁছানো।
১৮৪৫ সালের মে মাসে রওনা দেওয়ার পর জুলাইয়ে কানাডার বাফিন আইল্যান্ডের কাছে তাদের শেষবারের মতো দেখা গিয়েছিল। কিন্তু হঠাৎই নিখোঁজ হয়ে যায় তারা। এর পর থেকে বহু তল্লাশি অভিযান হয়েছে। ২০১৪ সালে প্রথম এরিবাসের সন্ধান পাওয়া যায়। কিং উইলিয়াম দ্বীপের কাছে জলের তলায় সেটা পড়ে আছে। ২০১৬ সালে এই দ্বীপ থেকে ৮০ ফুট দূরে সন্ধান মেলে টেররের। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।