আপনি হয়তো আবাবিল পাখির নাম শুনেছেন। এ পাখি নিয়ে অনেক ধরনের গল্প প্রচলিত রয়েছে। পুরান কাহিনীর নানা অংশে আবাবিল পাখির নাম এসেছে। এমনকি মুসলমানদের পবিত্র গ্রন্থ কুরআন শরীফের সূরা ফিলে আবাবিল পাখির নাম উল্লেখ করা রয়েছে।
আব্রাহা যখন কাবা শরীফ ধ্বংস করতে চেয়েছিলেন তখন আবাবিল পাখির মাধ্যমেই তারা সেনা দলকে পরাজিত করা হয়। আবাবিল পাখি জলাভূমির কাছাকাছি থাকতে ভালোবাসে। ইউরোপ এবং আমেরিকাতে এ পাখির অস্তিত্ব রয়েছে।
এমনকি শীতকাল আসলে বাংলাদেশে আবাবিল পাখির দেখা মিলে। পছন্দের ক্ষেতে বা জলাশয়ের পাশে উড়ন্ত অবস্থায় তাদের দেখতে পাওয়া যায়। তবে এই পাখি মাটিতে খুব কম অবতরণ করে বলে মনে হয়।
পশ্চিমা দেশে আবাবিল পাখির সাথে আবহাওয়ার ভাল এবং খারাপ হওয়ার কিছু গল্প প্রচলিত রয়েছে। অনেকে মনে করে এ পাখি মৃত মানুষের আত্মা বহন করে। অনেকে আবার এ পাখিকে অশুভ প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করে।
গ্রিক পুরানে আবাবিল পাখির বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। আফ্রোদিতি যখন আহত অবস্থায় ছিলেন তখন তিনি আবাবিল পাখির কাছে সাহায্য চেয়েছিলেন। তখন আবাবিল পাখি তাকে সহায়তা করেছিল। এ পাখির একটি বৈশিষ্ট্য হচ্ছে তারা আকাশে উড়ন্ত অবস্থায় পোকামাকড় শিকার করে খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে থাকে।
১৮৮৫ সালের একটি চিত্রকর্মে এ বিষয়টি স্পষ্ট করা হয়েছে। এরিস্টটল মনে করতেন যে, আবাবিল পাখি শীতকাল এলে হাইবারনেশন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যায়। এ পাখি নিয়ে বেশ কিছু উদ্ভট কথাবার্তা প্রচলিত রয়েছে। যেমন ১৬০৮ সালে এক ইংরেজি শিক্ষাবিদ দাবি করেছেন যে শীতকালে এলে আবাবিল পাখি চাঁদে ভ্রমণ করতে যায়।
গ্রীষ্মকালে এ পাখি মেদ সঞ্চয় করে রাখে এবং পরে চাঁদে গিয়ে ঘুমিয়ে সময় কাটায়। নদী ও হ্রদ ঘিরে আবাবিল পাখির অনেক গল্প প্রচলিত রয়েছে। বিভিন্ন লোক গাঁথাতে বলা হয়েছে যে, নদীর তলদেশে আবাবিল পাখি উড়তে পারে। তাছাড়া এ বিশেষ পাখি নিয়ে এখনো অনেক রহস্য রয়েছে যা উন্মোচিত হওয়া বাকি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।