জুমবাংলা ডেস্ক: পাহাড়ি জেলা রাঙামাটিতে চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় যথাসময়ে ফসল ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন পাহাড়ের কৃষকেরা। রাঙামাটির গ্রামগুলোতে বইছে উৎসবের আমেজ।
এবার রাঙামাটি জেলার দশ উপজেলায় ১০ হাজার ৮০ হেক্টর জমিতে আমনের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও অধিক ফলন হয়েছে বলে জানিয়েছে রাঙামাটি কৃষি বিভাগ।
সরেজমিনে পরিদর্শন করে দেখা যায়, মাঠ জুড়ে পাকা ধানের শীষ দোল খাচ্ছে হেমন্তের বাতাসে। ধানের শীষ নূয়ে পড়ছে মাটিতে। যেসব জমিতে ধান কাটার উপযুক্ত হয়েছে সেইসব জমির ধান কেটে মাঠে শুকানো হচ্ছে। শুকানো হলে সেগুলো আঁটি বেঁধে মাড়াই করা হচ্ছে ঘরে তোলার জন্য। ভোর থেকে এসব কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন পাহাড়ি কৃষাণ-কৃষাণীরা।
রাঙামাটির রাঙাপানি এলাকার কৃষক সোনামণি চাকমা বলেন, আামি এবার দুই একর জমিতে ধান চাষ করেছি। আমনের ফলন ভালো হয়েছে। ফলন ভালো হওয়ায় আমি খুব খুশী।
কৃষাণী হরপতি চাকমা বলেন, এবার আবহাওয়া ভালো থাকায় আমার জমিতে ভালো ধান হয়েছে। ধানের রোগ বালাইও কম ছিলো।
সদর উপজেলার সাপছড়ি এলাকার চায়না চাকমা বলেন, ধানের উৎপাদন ভালো হয়েছে। এই ফলন দিয়ে আগামী এক বছর চলতে পারবো।
রাঙামাটি সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু মোহাম্মদ মনিরুজ্জমান জানিয়েছেন, ২০২২ অর্থ বছরে রাঙামাটি সদর উপজেলায় ৫৩০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিলো। এর মধ্যে উফশী ধানের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ৪৯০ হেক্টর এবং স্থানীয় জাতের আমন ধানের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ৪০ হেক্টরে। আমনের ধান কাটা চলমান রয়েছে।এবার সদর উপজেলায় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৮০০ মেট্রিক টন। মৌসুমের আমনের সবগুলো ধানের ভাল ফলন হয়েছে।
রাঙামাটি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর উপ-পরিচালক তপন কুমার পাল বলেন, আমনের মৌসুমের আগে বৃষ্টিপাত হওয়ায় চলতি মৌসুমে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে লক্ষ্যমাত্রা চেয়ে উৎপাদন বেশি হবে এ মৌসুমে।
তিনি বলেন,জেলার দশ উপজেলায় এবার শতভাগ সেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে।এই পর্যন্ত শতকরা ৩২ ভাগ আমন ধান কাটা হয়েছে। তিনি বলেন, এবছর আবাহওয়া অনুকুলে থাকায় আমন ধানের ফলন ভালো হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।