জুমবাংলা ডেস্ক: তিন দিনের টানা মাঝারি বর্ষণে রাঙ্গামাটির জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। মানুষের মাঝে দেখা দিয়েছে পাহাড় ধসের আতঙ্ক। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শহরে ২১টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলো হয়েছে। খবর ইউএনবি’র।
বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধস ও বৃষ্টির তোড়ে লংগদু-দীঘিনালা সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। বাড়তে শুরু করেছে কাপ্তাই হ্রদের পানি।
লাগাতার বৃষ্টির কারণে মানুষজন প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না। শহরের রাস্তায় যানবাহনের সংখ্যা কম। পাহাড়ের পাদদেশ ও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হয়েছে।
তবে রবিবার রাত ৯টা পর্যন্ত কোথাও কোনো আশ্রয়কেন্দ্রে লোকজন আসেনি বলে জানিয়েছেন রাঙ্গামাটি রোভার স্কাউটের সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল আবছার।
২০১৭ সালের দুর্যোগের কথা মাথায় রেখে রাঙ্গামাটি শহরের ৬ নম্বর ওয়ার্ডকে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। সেই সাথে ঝুঁকিপূর্ণ মনোঘর, যুব উন্নয়ন এলাকা, শিমুলতলী, ভেদেভেদী, সনাতন পাড়া, লোকনাথ মন্দিরের পেছন, রূপনগর, আরশি নগর, টিভি সেন্টার এলাকা ও আউলিয়া নগরসহ বেশকিছু এলাকা থেকে লোকজনকে সরিয়ে নিতে কাজ করছে মোবাইল টিম।
রাঙ্গামাটি পৌসভারসহ ১০ উপজেলায় মোট তিন হাজার ৩৭৮টি পরিবারের প্রায় ১৬ হাজারেরও বেশি মানুষ ঝুঁকিতে আছেন।
রবিবার বিকালে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে দুর্যোগ মনিটরিং বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ বলেন, পৌর শহরে ১৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রের জন্য খোলা থাকবে। এছাড়া ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সরকারি কার্যালয়গুলোও আশ্রয়কেন্দ্র হিসাবে চিহ্নিত করে রাখা হয়েছে।
এ নিয়ে রাঙ্গামাটি শহরে মোট ২১টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা থাকছে। সেই সাথে ১০ উপজেলায় বিভিন্ন স্কুলেও আশ্রয়কেন্দ্র খোলার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে টানা বর্ষণের ফলে ১৩ জুন রাঙ্গামাটিতে ভয়াবহ পাহাড় ধসের ঘটনায় পাঁচ সেনা সদস্যসহ ১২০ জন নিহত হন। পরের বছর ১১ জুন নানিয়ারচর উপজেলায় পাহাড় ধসে মৃত্যু হয় ১১ জনের।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।