জুমবাংলা ডেস্ক : রাজধানী ঢাকায় প্রকাশ্যে যেখানে সেখানে মূত্রত্যাগ ঠেকাতে ধর্মমন্ত্রণালয়ের সুপারিশে এক অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে সিটি কর্পোরেশন। এখন থেকে ঢাকার বিভিন্ন দেয়ালে আরবিতে ‘এখানে প্রস্রাব করা নিষেধ’ লিখে দেয়া হচ্ছে। ফলে দেখা গেছে রাস্তা ঘাটে প্রস্রাব করার হার অনেকটা কমে এসেছে।
সাধারণত ৯০ ভাগ মুসলমানের দেশ বাংলাদেশে আরবি একটি শ্রদ্ধা ও সম্মানের ভাষা হিসেবেই পরিচিত। যদিও অধিকাংশ মানুষ আরবি ভাষা পড়তে জানলেও এর অর্থ সঠিকভাবে জানেন না। তাই যে কোনো আরবি লেখাকেই তাঁরা সম্মানের চোখে দেখেন। জনগণের এই ধর্মীয় মূল্যবোধকে কাজে লাগিয়ে কাজ আদায় করে নিয়েছে সিটি কর্পোরেশন।
ফলে শহরের যে স্থানগুলোতে মানুষ প্রস্রাব করে নষ্ট করে ফেলে সেখানে দেয়ালে আরবি ভাষায় ‘এখানে প্রস্রাব করা নিষেধ’ লিখে দেয়ায় ওই স্থানে প্রস্রাব করা একেবারে বন্ধ হয়ে এসেছে। এমন কি পূর্বে যে স্থানে বাংলায় নিষেধাজ্ঞা দেয়া ছিলো কিন্তু প্রস্রাব করা ঠেকানো যাচ্ছিলো না, সেখানে এখন আরবিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়ায় প্রস্রাব করা বন্ধ হয়েছে।
বাংলাদেশের ধর্ম মন্ত্রী মতিউর রহমান বলেন, ঢাকা মসজিদের শহর। মূত্রত্যাগ করা নিয়ে একেবারে বিপদে পড়ে গেলে পাবলিক টয়লেটগুলো ছাড়াও একটু পর পর অনেক মসজিদ আছে, যেখানে প্রস্রাব করার ব্যবস্থা রয়েছে। তাহলে কেনো মানুষ নিজের শহর অপরিষ্কার রাখবে এবং নিজেও অপরিচ্ছন্ন থাকবে? এই চিন্তা মাথায় আসতেই আমি সিটি কর্পোরেশনকে এই ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে আহ্বান জানাই।
পুরো কার্যক্রমটি নিয়ে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ধর্মমন্ত্রণালয়। ইতোমধ্যে এটি ইউটিউব এবং সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
ধর্মীয় অনুভূতিকে ব্যবহার করে কাজটি করায় এটা ঠিক হচ্ছে কিনা এই প্রশ্নের জবাবে ধর্মমন্ত্রণালয়ের সচিব ড. চৌধুরী মোহাম্মদ বাবুল হাসান জানান, অপরিচ্ছন্নতা কেউই সমর্থন করে না। আমি তো মনে করি, কোন মুসলমানই কিছু মনে করবে না, বরং একটা ভালো কাজ হিসেবে একে সমর্থন করবে।

জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।