
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য প্রফেসর ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেছেন, ভোটের মাধ্যমে বেহেশতে যাওয়া যাবে না। আমাদের আমলই ঠিক করবে আমরা দোযখে যাব কি না, বেহেশতে যাব কি না। রাজনীতি ও ধর্মকে আলাদা রাখা সময়ের দাবি।
শনিবার (১৫ নভেম্বর) বিকেল ৫টায় দিনাজপুর শিশু একাডেমি মিলনায়তনে জেলা বিএনপির আয়োজিত জরুরি সভায় ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, “ভোটারের আস্থা অর্জন করতে হবে। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন— কারও কথাবার্তা, বাচনভঙ্গি বা চেহারা কিছুটা কম পছন্দ হতে পারে, তবু সে আমাদের ত্যাগী নেতা। দলে সব ধরনের নেতাকর্মীর প্রয়োজন আছে।”
তিনি আরও যোগ করেন, “ভোটের মাঠে জনগণের আস্থা অর্জনের জন্য আমাদেরকে এমন নেতাকর্মীদের সামনে আনা প্রয়োজন, যাদের দেখে ভোটাররা আস্থা পায়, ঐক্যবদ্ধ হয়। রাজনীতির জায়গায় রাজনীতি থাকবে, ধর্মের জায়গায় ধর্ম। আমাদের ধর্মীয় পরিচয়কে আলাদা রাখতে হবে।”
সভায় জেলা বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
জামায়াতে ইসলামীকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, দয়া করে ধর্মকে নিয়ে রাজনীতি করার চেষ্টা করবেন না। কেউ বলছে অমুক মার্কায় সিল দিলে অমুক জায়গার যাওয়ার টিকিট পাওয়া যাবে। আপনি বলবেন আলহামদুলিল্লাহ, টিকিট যদি দেয় টিকিট দিবে আমার আমল, টিকিট কোনো অবস্থাতেই ভোটের সিল আপনাকে দিবে না। আমাদের আমলই পারে আমাদেরকে পৌঁছে দিতে— আপনি দোযখে যাবেন, না বেহেশতে যাবেন। আর কিছুই নয়।
তিনি বলেন, বিগত সময়ে আওয়ামী লীগ ১৭৪ দিন হরতাল করে, গান পাউডার দিয়ে মানুষ হত্যা করেছিল। আবার কয়েক দিন আগে লকডাউন ঘোষণায় আগুন দিয়ে গাড়ি পুড়েছে ও মানুষ মেরেছে। আমরা ওইসব দিন আর দেখতে চাই না, ফিরে যেতে চাই মানুষের অধিকার বাস্তবায়ন করার জন্য।
ডা. জাহিদ বলেন, আমাদের সহনশীল আচরণ করতে হবে। বেগম খালেদা জিয়ার আহ্বান/দাওয়াত পৌঁছে দিতে হবে। সব সময় মনে রাখতে হবে, যার জন্য ভোট চাচ্ছেন তিনি এমন কোনো নেত্রী নয়, যাকে ইচ্ছা করলে পাওয়া যায়। তিনি বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয়, সবচেয়ে বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের (বীর উত্তম) সহধর্মিণী। তার জন্য ভোট চাইতে হলে এমনভাবে চাইতে হবে যেন শালীনতাবোধ থাকে, আপনার উপস্থাপনা দেখে মানুষ মনে হয় সত্যি সত্যি খালেদা জিয়ার ছেলে, খালেদা জিয়ার জন্য ভোট চাচ্ছে। সত্যি সত্যি দেশকে এরা আগামী দিনে সেবা করতে পারবে।
জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. মোফাজ্জল হোসেন দুলালের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক বখতিয়ার আহমেদ কচির সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোকছেদ আলী মঙ্গোলিয়া, জেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি মো. মোকাররম হোসেন, সহ-সভাপতি মাহবুব আহমেদ প্রমুখ। এ ছাড়াও জেলা বিএনপি ও এর সব অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা বক্তব্য রাখেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



