জুমবাংলা ডেস্ক : রাজবাড়ী জেলা কৃষি বিপণন অধিদপ্তর কার্যালয়ে অনৈতিকভাবে অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। পেঁয়াজ সংরক্ষণের মডেল ঘরের জন্য আবেদন করতে আসা কৃষকদের কাছ থেকে অফিস সহায়ক এনামুল হকের টাকা নেওয়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, কৃষকদের কাছ থেকে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত আদায় করা হয়েছে, যদিও কোনো রসিদ দেওয়া হয়নি।
ভুক্তভোগী কৃষকরা জানান, আবেদনপত্র গ্রহণের সময় ঘুষ না দিলে আবেদন জমা নেওয়া হচ্ছিল না। ১৯ জুন ছিল আবেদন জমার শেষ দিন। আবেদন বাতিলের আশঙ্কায় নিরুপায় হয়ে টাকা দিয়ে আবেদন জমা দিতে তারা বাধ্য হয়েছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন কৃষক বলেন, ‘আমি পেঁয়াজ সংরক্ষণ ঘরের জন্য আবেদন করতে গিয়েছিলাম। আমার কাছে ৩০০ টাকা চাওয়া হয়। পরে ২০০ টাকা দিয়ে আবেদন জমা দেই। রসিদ দেয়নি। জানায়, এটা ফটোকপির খরচ।’
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, একজন কৃষক এনামুল হকের হাতে আবেদনপত্র জমা দিচ্ছেন। এর পর আবেদন খাতায় লিপিবদ্ধ করার পর এনামুল হক সেই কৃষকের হাত থেকে টাকা নিয়ে রেখে দিচ্ছেন। আরেকটি ভিডিওতেও একইভাবে আরেক কৃষকের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার দৃশ্য দেখা যায়।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর কৃষক মহলে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তারা এই অনিয়মের সুষ্ঠু তদন্ত এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
তবে অভিযুক্ত অফিস সহায়ক এনামুল হক অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি একজনের কাছ থেকে ভাংতি টাকা নিয়েছিলাম। কেউ সেটি ভিডিও করেছে। আমি কারও কাছ থেকে ঘুষ নেইনি।’
রাজবাড়ী জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা নাঈম আহম্মদ বর্তমানে ছয় মাসের প্রশিক্ষণে রয়েছেন। ফোনে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি প্রশিক্ষণে থাকায় কিছু বলতে পারছি না। একজনকে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, আপনি তার সঙ্গে যোগাযোগ করুন।’
অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মেহেদি হাসান বলেন, ‘আমি বর্তমানে পাবনা জেলার দায়িত্বে আছি। তবে রাজবাড়ীতে আমাকে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি আপনার কাছ থেকে জানলাম। রাজবাড়ী গিয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।