জুমবাংলা ডেস্ক: স্বাদ ও গুণগত মান ভালো হওয়ায় রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দির মিষ্টি ও সাচি পান এখন যাচ্ছে বিদেশে। ফলে ফলন ও লাভ বেশি হওয়ায় পান চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের।
রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার নওপাড়া, বারমল্লিকা, রামদিয়া, জামালপুর, বহরপুর, নলিয়া ও তেঁতুলিয়াসহ কমপক্ষে ৩০টি এলাকায় ১২শত পান চাষি রয়েছে। সারি সারি মিষ্টি ও সাচি পানের এসব বরজ দেখে কৃষকদের মনে ফুটে উঠেছে আশার আলো।
পান চাষিরা জানান, ভাদ্র ও আশ্বিন এ দুমাস বরজ তৈরির ও পান উৎপাদনের কাজ শুরু হয়। আর ৩ মাস পর মাঘ মাসের প্রথম থেকেই পান বিক্রি শুরু করি। একটি সুস্থ গাছ থেকে ১২০ থেকে ১৫০ টি পান পাওয়া যায়। পানে রোগ বালাই খুবই কম। পানের প্রকারভেদে ৮০টি (১ পণ) পান খুচরা বিক্রি হয় ৭০ থেকে ৮০ টাকা পর্যন্ত। আর পাইকারি হিসেবে ওই একই পরিমাণের পান প্রকারভেদে বিক্রি হবে ৪৫ থেকে ৫৫ টাকা হিসেবে। ফলন ও দাম ভালো পাওয়ায় খরচ বাদে বিঘা প্রতি আড়াই থেকে ৩ লাখ টাকা এ বছর লাভের আশা করছেন কৃষকরা। বালিয়াকান্দির মিষ্টি ও সাচি পানের গুনগত মান ও স্বাদ থাকায় রাজবাড়ী ছাড়াও ঢাকাসহ বিদেশের বিভিন্ন দেশে এ পান রফতানি হচ্ছে।
পান চাষি কুমার নুন্দী, জগদীশ কুমার ও সবুর শেখ জানান, সরকার যদি কম সুদে ও সহজ শর্তে ঋণ দেন তাহলে তারা রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে মিষ্টি ও সাচি পান ছাড়াও বিভিন্ন রকমের উন্নত মানের পান উৎপাদন করে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রফতানি করতে সক্ষম হবেন।
বালিয়াকান্দি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, বালিয়াকান্দিতে পান চাষে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে। এখানে মিষ্টি ও সাচি পানের আবাদ বেশি। এখানকার পান বালিয়াকান্দির চাহিদা মিটিয়েও ফরিদপুর, ঢাকাসহ বিদেশের বিভিন্ন রাষ্ট্রে রফতানি হচ্ছে।
এ বছর ৮৮ হেক্টর পান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। যা এ মৌসুমে শত কোটি টাকারও বেশি বিক্রয় হবে বলে মনে করেন এ কৃষি কর্মকর্তা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।