জুমবাংলা ডেস্ক : পদ্মা বিধৌত জেলা রাজবাড়ী। এ জেলার ৮৫ কিলোমিটার অংশে রয়েছে প্রমত্তা পদ্মা নদী। প্রতিবছর বর্ষার মৌসুমে নদীতে পানি বৃদ্ধির ফলে প্লাবিত হয় নিম্নাঞ্চলের বিস্তৃর্ণ এলাকা।
বতর্মানে রাজবাড়ী পাংশার সেনগ্রামে ৫৭ ও গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া পয়েন্টে পদ্মার পানি বিপদসীমার ১৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে এখনও বিপদসীমার নিচে রয়েছে সদরের মহেন্দ্রপুর গেজ স্টেশন পয়েন্টে পদ্মার পানি।
গত ২৪ ঘণ্টায় পাংশার সেনগ্রাম পয়েন্টে ১৪ ও গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া পয়েন্টে ১৫ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। বুধবার বেলা ১১টার দিকে পাংশার সেনগ্রাম, সদরের মহেন্দপুর ও দৌলতদিয়া গেজ স্টেশন পয়েন্টের গেজ লিডার সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
এদিকে, রাজবাড়ীতে বন্যার পূর্বাভাস রয়েছে বলে জানা গেছে। পানি বৃদ্ধি ফলে নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকতে শুরু করেছে। তবে বাঁধের বাইরের নিম্নাঞ্চলের ফসলি জমি ও বসতি এলাকায় পানি প্রবেশ করেছে। ফলে ভোগান্তি পড়ছেন নিম্নাঞ্চলের মানুষ।
জানা যায়, প্রতিবছর বন্যার শুরুতে প্লাবিত হয় জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া, দেবগ্রাম ও ছোট ভাকলা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা। এ ছাড়া বন্যার পানিত প্লাবিত হয় রাজবাড়ী সদরের বরাট, মিজানপুর, চন্দনী, খানগঞ্জ এবং কালুখালীর রতনদিয়া, কালীকাপুর ও পাংশার হাবাসপুরের ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা। ওই সব এলাকার ফসলি জমি, বসতবাড়ী, রাস্তা-ঘাট পানিতে তলিয়ে যায়। দেখা দেয় পানিবাহিত রোগ সহ বিশুদ্ধ খাবার পানি ও গবাদিপশুর খাবার সংকট। এ সময় অসহায় ও দরিদ্র পরিবার গুলো মানবেতর জীবন যাপন করে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক জানান, দৌলতদিয়া পয়েন্টে পানি বিপদসীমা অতিক্রম করলেও এখনও কোনো কৃষি জমিতে পানি ওঠে নাই। তবে নিম্ন চরাঞ্চলে পানি উঠলেও কোনো ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। কারণ তারা আগেই প্রস্তুতি নিয়ে রাখে। আর এ সময় পানি বৃদ্ধি হয়। এটা তারা জানে।
জেলা ত্রাণ ও পূর্ণবাসন কর্মকর্তা সৈয়দ আরিফুল হক জানান, বন্যার সব ধরনের প্রস্তুতি তাদের রয়েছে। এখনও কোনো বন্যা দেখা দেয়নি। মাত্র পানি বিপদসীমা অতিক্রম করল।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।