জুমবাংলা ডেস্ক: পালিত রাজহাঁসের সঙ্গে বন্ধুত্ব-ভালোবাসার সম্পর্ক বগুড়ার সাবগ্রামের পিকআপচালক গোলাম রব্বানীর। গত তিন বছর ধরে হাঁসটি গোলাম রব্বানীর সঙ্গে অনেকটা একাত্মা হয়ে গেছে। গোলাম রব্বানী যেখানে, হাঁসটিও পিছু পিছু ছুটে চলে সেখানে। রাজহাঁস এবং মানুষের মধ্যে এমন ভালোবাসা দেখে অভিভূত স্থানীয় লোকজন। তারা বলছেন, এটি বিরল ঘটনা।
গোলাম রব্বানী বলেন, ‘প্রায় তিন বছর আগে জয়পুরহাট থেকে একজোড়া রাজহাঁস কিনেছিলাম। কিছুদিনের মধ্যে, নারী হাঁসটি মারা যায়। পরে সঙ্গীহীন হয়ে পড়া পুরুষ হাঁসটি শুধু ডাকাডাকি করত। এক সময় হাঁসটির সঙ্গে আমার ভাব জমে যায়।’
তিনি জানান, হাঁসটি সব সময় তার সঙ্গে থাকতে চায়। তিনি যেখানে যান, হাঁসটিও সেখানে যেতে চায়। বাড়ির বাইরে থেকে ফিরে আসার পর তার কণ্ঠস্বর শুনতে পেলে হাঁসটি দরজার কাছে চলে যায়।
এছাড়া, তাকে দীর্ঘক্ষণ না দেখতে পেলে হাঁসটি ডাকাডাকি করতে থাকে। তখন মুঠোফোনে হাঁসটিকে গোলাম রব্বানীর কথা শোনাতে হয়। ওই পাশ থেকে তিনি হাঁসটিকে থামতে বললে সেটি শান্ত হয়ে যায়।
গোলাম রব্বানী দাবি করেন, তিনি হাঁসটির ভাষা বুঝতে পারেন এবং হাঁসটিও তারা ভাষা বুঝে। আর এই কারণে তিনি হাসটির নাম রেখেছেন ‘বোধ’।
উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, হাঁসটি সব সময় আমার সঙ্গে থাকতে চায়। পিকআপ নিয়ে যখন দূরে কোথাও যাই, হাঁসটিও সেখানে যেতে চায়। পরে যখন বুঝিয়ে বলি, না তোমার যাওয়া হবে না, তুমি থাকো, আমি ট্রিপ দিয়ে ফিরে আসব। তখন ও শান্ত হয়ে যায়।
এদিকে, গোলাম রব্বানীর সঙ্গে রাজহাঁসের এমন ভালোবাসার সম্পর্ক দেখে অভিভূত স্থানীয় লোকজন। তারা বিষয়টি আশ্চর্যজনক বলে মনে করছেন। এর আগে, এমন ঘটনা কখনো দেখেননি বলে জানান।
আতোয়ার রহমান নামের একজন বলেন, ‘মানুষের সঙ্গে কুকুর ও বিড়ালের গভীর ভালোবাসা মাঝেমধ্যে দেখতে পাওয়া গেলেও রাজহাঁসের সঙ্গে এমন সম্পর্ক বিরল। তিন বছর ধরে দেখছি, হাঁসটি তার মালিকের সঙ্গে সাবগ্রাগের হাট-বাজারে সর্বত্র ঘোরাফেরা করে। মালিক যেখানে যায়, হাঁসটিও সেখানে যায়। বিষয়টি আমরাও উপভোগ করি।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।