গতানুগতিক চাপ দিয়ে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় বাধ্য করা হয় না। পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলা ও বিনোদনের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা। শীতকালে তিন মাসের জন্য বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলার আয়োজন রয়েছে। ফুটবল, বাস্কেটবল, ভলিবল, টেনিস, সাঁতার, পর্বতারোহন ইত্যাদি নানা ধরনের আয়োজনের জন্য সুইজারল্যান্ডের লা রোজা জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।
লা রোজা হচ্ছে সুইজারল্যান্ড এর প্রাচীনতম এবং সবথেকে ব্যয়বহুল বোর্ডিং স্কুল। এটিকে ধনীদের স্কুল বলা হয়। কেননা দুনিয়ার বিত্তশালী মানুষের সন্তানরা এখানে পড়তে পারে। বিলোনিয়ার এবং রাজ পরিবারের সন্তানরা এখানে পড়ার সুযোগ পেয়ে থাকে।
অনেকে এটিকে রাজাদের স্কুল হিসেবে অবিহিত করে থাকে। ইরানের শাহ, বেলজিয়ামের রাজা দ্বিতীয় আলবার্ট, বৃটেনের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিলের নাতি, এমনকি বিখ্যাত রকফেলার পরিবারের সন্তানেরা এখানে লেখাপড়া করেছেন।
এখানে বার্ষিক টিউশন ফি এতটাই বেশি যে তা বহন করা অনেক বৃত্তশালী পরিবারের পক্ষে অসম্ভব। বাংলাদেশের মুদ্রায় তা ৯৬ লক্ষ ১৮ হাজার টাকা। বিশ্বের ভবিষ্যৎ নেতাদের তৈরি করে দেয় এই স্কুল। স্কুলের ওয়েবসাইট থেকে ভর্তি ফরম এ আবেদন করা যায়।
শুরুতে শিক্ষার্থীদের ফরাসি এবং ইংরেজি ভাষা শেখানো হয়। প্রায় ৭০ টি দেশের শিক্ষার্থীরা এখানে লেখাপড়া করেন। এখানে প্রতি পাঁচ জন শিক্ষার্থীর জন্য বিষয়ভিত্তিক একজন করে টিচার থাকেন। এখানে লেখাপড়ার মান এতই উন্নত যে ডিপ্লোমা শেষ করে হাই কোয়ালিটির বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিকাংশ শিক্ষার্থীরা নিজের যোগ্যতায় ভর্তি হতে পারেন।
সকাল সাড়ে আটটায় শিক্ষার্থীরা স্কুলের জন্য তৈরি হয়। প্রতিটা বিষয় হাতে ধরে শেখানো হয়। প্রতিটা শ্রেণীতে অল্প পরিমাণ শিক্ষার্থী থাকে। দুপুর ১২:৩০ টায় বন্ধুদের সাথে আড্ডায় এবং লাইব্রেরীতে সময় কাটে তাদের। বিকেল তিনটায় খেলার মাঠের সময় কাটে তাদের।
মজার ব্যাপার হলো যে খেলা তাদের ভালো লাগে সেটাই খেলতে পারে তারা। এটা এমন এক স্কুল যেখানে দরিদ্রতার কোন স্থান নেই। এটির মূল ক্যাম্পাস সুইজারল্যান্ডে অবস্থিত। এখানে ধনী গরিবের বৈষম্য শেখার কোন দরকার হয় না। এটা এমন এক স্কুল যা শেখায় যে বিলোনিয়ারের সন্তান বিলোনিয়ার হিসেবেই প্রতিষ্ঠিত হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।