বিনোদন ডেস্ক: ঢালিউডের আলোচিত অভিনেত্রী পরীমনি। ক্যারিয়ারের শুরু থেকে নানা সময় নানা ধরনের অপ্রত্যাশিত ঘটনার কারণে সংবাদের শিরোনাম হয়েছেন। জার্মান ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম ডয়চে ভেলেকে তিনি জানিয়েছেন, ভবিষ্যৎ নিয়ে তার সুচিন্তিত পরিকল্পনার কথা।
‘স্বপ্নজাল’ ছবিতে তার অভিনয় মানুষের মনে দাগ কেটেছে। তবে তার অভিনয়কে ছাপিয়ে প্রায় সব সময়ই বেশি আলোচনায় থেকেছে পর্দার বাইরের নানা অপ্রত্যাশিত ঘটনা। পরী ‘ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা শিকার’ হয়েছিলেন। তারপর মাদকের মামলায় জেলে যেতে হয় তাকে। সেই অতীত ভুলে অভিনয়ে ফিরেছিলেন। তারপর বিয়ে। সম্প্রতি সেই সম্পর্কেও ভাঙনের সুর বেজেছে।
তবে ডয়চে ভেলেকে দেয়া সাক্ষাৎকারে পরী জানিয়েছেন এখন তিনি শুধু নিজের অভিনয় ও সন্তান রাজ্যকে নিয়েই এগিয়ে যেতে চান।
ডয়চে ভেলে : রাজের সঙ্গে আপনার সম্পর্কের টানাপড়েন বেশ কিছুদিন আলোচনায় ছিল, শুরুতে সেই বিষয়ে কিছু বলতে চান?
পরীমনি: এই নামটা আর মুখেই নিতে চাই না।
এখন কি কাজ করছেন? আগামীতে নতুন কোনো কাজ আসবে?
আমার প্রধান কাজ তো এখন রাজ্যকে যথাযথ সময় দেয়া। সেটাই করার চেষ্টা করছি আমার শতভাগ দিয়ে। আর ‘প্রীতিলতা’ চলচ্চিত্রের জন্য আসছে সেপ্টেম্বরে আবার ক্যামেরার সামনে দাঁড়াবো।
আপনি এক সময় মূলত এফডিসিকেন্দ্রিক নির্মাতাদের ‘কমার্শিয়াল’ চলচ্চিত্রে কাজ করতেন, এরপর গিয়াস উদ্দিন সেলিমের সঙ্গে কাজ করা শুরু করলেন। দর্শক আপনাকে ভিন্নরূপে পেতে শুরু করলো। এই পরিবর্তন সম্পর্কে কিছু বলুন…
এফডিসির সিনেমাগুলো থেকে ‘নায়িকা’ খ্যাতি পেয়েছি, আর ‘স্বপ্নজাল’ চলচ্চিত্রটা আমাকে অভিনেত্রীর খ্যাতিটা দিয়েছে। এটা আমার জন্য অনেক আরামদায়ক মনে হচ্ছে। তারপর থেকেই চরিত্রকেন্দ্রিক গল্প বাছাই করতে শুরু করলাম। এই তো…
প্রতিটি কাজের জন্য আপনি কিভাবে নিজেকে প্রস্তুত করেন?
টিমওয়ার্ক, টিমবন্ডিংটা ইমপর্ট্যান্ট। টিমের সাপোর্টটা জুরুরি হয়ে দাঁড়ায় যেকোনো কাজের ক্ষেত্রে। কাজের জন্য নিজের তো নানান চেষ্টা থাকেই।
আপনার অভিনীত একটি প্রিয় চলচ্চিত্রের সম্পর্কে বলুন, ভবিষ্যতে যেটার মতো আরো কাজ করতে চান বা সেটাকেও ছাড়িয়ে যেতে চান…
স্বপ্নজাল।
নিজের স্বপ্নের কোনো চরিত্র আছে, যেটাতে ভবিষ্যতে কাজ করতে চান?
রবীন্দ্রনাথের যে-কোনো একটা গল্প।
আপনার নানা-নানী ছিলেন স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা৷ তাদের কাছ থেকে কোন গুণগুলো পেয়েছেন বলে মনে হয়?
আমার যত গুণ সব কিছুর দাবিদারই উনারা।
আপনার দৃষ্টিতে গুণী কে, যার মত আপনি হতে চান সব সময়?
আমার প্রিয় শিক্ষক বলরাম সাহা স্যার।
স্নাতক পড়া বাদ দিয়ে আপনি ঢাকায় এসে বুলবুল ললিতকলা একাডেমিতে নাচ শিখেছেন৷ সেখানকার অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
নাচ তো শেষ করতে পারিনি। বলতে গেলে শুরুতেই বন্ধ করে দিয়েছিলাম।
কখনো কি মনে হয়েছে পড়াশোনায় নিয়মিত হলেই ভালো হতো?
হয়তো হতো (হাসি)।
পুলিশ হতে চেয়েছিলেন, হলেন অভিনেত্রী। কোনো আফসোস হয়?
নাহ, আফসোসের জায়গায়ই তো নেই। কত মানুষ আমার কাজের জন্যে আমাকে ভালোবাসে, এটা তো এক জীবনে অনেক পাওয়া।
আপনাকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছিল বলে দাবি করেছিলেন, র্যাব আপনার বাসায় অভিযান চালিয়েছিল, আপনি জেলেও ছিলেন। ওই পরিস্থিতি থেকে কিভাবে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন?
খালিচোখে স্বাভাবিক দেখা যায় হয়তো, কিন্তু মানসিক ট্রমা তো থেকেই যায়…
আগামীর পরিকল্পনা কী?
বাচ্চাকে প্রপার টাইমটা দিতেই চাই আমি। এখানে ছাড় দিতে চাই না, যতটা কাজে দিচ্ছি এই মুহূর্তে। তবে কাজ তো করতেই হবে। শ্যুটিং সেট তো একজন আর্টিস্টের জন্য অক্সিজেনের সমান। তবে সুন্দর চরিত্রের জন্য অপেক্ষাটাও দারুণ একটা ব্যাপার, ঠিক প্রেমিকের জন্য যেমন হয় (অট্টহাসি)।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।