লাইফস্টাইল ডেস্ক : বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে গিয়ে বদলে গেছে কাজের ধরন। পাল্টে গেছে জীবনযাপন। এখন অনেকে আছেন যারা সারারাত জেগে কাজ করেন। কাজের এই পালাবদলটা মূলত প্রতিষ্ঠান নির্ভর। দেশের অনেক কর্মক্ষেত্রেই রাতের শিফটে কাজ করতে হয় অসংখ্য মানুষকে।
দিনে কর্মতৎপরতার পাশাপাশি অনেককে রাতে বেশি কর্মতৎপর রাখতে হয় নিজেদের। অনেকেই বলে থাকেন, নিয়মিত রাতে বেশি সময় জাগলে শরীর খারাপ হওয়া খুব স্বাভাবিক বিষয়। কিন্তু এর সমাধানও আছে। দিনের বেলায় সঠিক পরিমাণ এবং পর্যায়ের খাবার, যথাযথ বিশ্রাম রাতের বেলায় কর্মরত ব্যক্তিদের মধ্যে শারীরিক সমস্যার সূত্রপাত কম করতে পারে।
যারা রাতে কাজ করেন, তারা দিনের সময়টাতে খাবার খেলে ভালো। তবেই রাতে গ্লুকোজের মাত্রা সঠিক পরিমাণে থাকে। অনেকেই মনে করেন, রাতে কর্মরত ব্যক্তিদের মধ্যে হৃদরোগের সম্ভাবনা, ডায়াবেটিস এবং হাই ব্লাড প্রেসারের লক্ষণ তুলনামূলক বেশি। কিন্তু কিছু গবেষণা বলছে রাতে নয় দিনে যদি আপনি সঠিক পরিমাণে খাবার খেতে পারেন তাহলে শারীরিক কোনো সমস্যা একেবারেই থাকবে না।
দিনের বেলায় খাবার খেলে রাতে আপনার মেটাবলিজম বাড়তে পারে। এর কারণে এনার্জি দারুণভাবে বৃদ্ধি পাবে। পরীক্ষার জন্য বিশেষজ্ঞরা দুই দলে মানুষদের ভাগ করেছিলেন। একদল যারা রাতের বেলায় খাবেন এবং কাজ করবেন, অন্যদল যারা দিনের বেলায় খাওয়া দাওয়া করবেন এবং রাতে কাজ করবেন। পরীক্ষার অংশ অনুযায়ী তারা নিজস্ব কিছু নিয়ম মেনে চলেছিলেন। যারা দিনের বেলায় খাওয়া দাওয়া করেছিলেন তাদের সার্কেডিয়ান রিদম সব নিয়ম মেনেই কাজ করছিল, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শারীরিক সবকিছু যথেষ্ট পরিমাণে সচল ছিল।
গবেষকরা জানিয়েছেন, রাতের বেলা খাওয়াদাওয়া করলে গ্লুকোজের মাত্রা এতই বেড়ে যায় যার জন্য ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ এবং সঙ্গে তৎক্ষণাৎ বমি ভাব খুব স্বাভাবিক বিষয়। আর রাতে শরীর সুস্থ থাকা খুব দরকার। অনেক সময় রাত হলেই শরীরে গ্লুকোজের সহনশীলতার প্রভাব কমতে থাকে এবং সে কারণেই সার্কেডিয়ান রিদম বিঘ্নিত হতে পারে।
এছাড়া রাতের বেলায় খাওয়ার ফলে শরীরের স্টিমুলেশনের মাত্রা ক্রমশ বাড়তে থাকে। যে কারণেই রাতের বেলা কাজের সময় গ্লুকোজের মাত্রা ওঠানামা করতে থাকে। সার্কেডিয়ান রিদম বিভিন্ন ভাবে ঘুম, জেগে থাকা, এবং আলো অন্ধকার তথা—শারীরিক পেরিফেরাল সমন্বয়ের সঙ্গে যুক্ত। ভুলে গেলে চলবে না, আপনার শারীরিক ক্রিয়াকলাপের সঙ্গে স্বাস্থ্য বিষয়টি গভীরভাবে সম্পৃক্ত। তাই রাতে কাজ করলে নিয়ম মেনে খেতে হবে। এতে রক্তে শর্করার মাত্রা যেমন নিয়ন্ত্রণে থাকবে তেমনই শরীরে শক্তি সঞ্চয়ও হতে থাকবে। যার সুফল পাবেন রাতে কাজ করতে গিয়ে। সহজ করে বললে, কর্মস্পৃহা বাড়াবে সারাদিনে নির্দিষ্ট সময়ে খেলে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।