আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রাত ৯টার পর কর্মচারীদের কাজ করতে না দেখলে ইলন মাস্ক প্রচণ্ড রেগে যেতেন। বিবিসির একটি তথ্যচিত্রে এমন কথা বলেছেন ইলন মাস্কের একজন সহকর্মী। খবর ইনসাইডারের।
ইলন মাস্ক শো নামে বিবিসি একটি তথ্যচিত্রের কাজ করছে। যার প্রথম পর্ব বুধবার (১২ অক্টোবর) সম্প্রচারিত হয়। মূলত ইলন মাস্ক কীভাবে বিশ্বের একজন ধনী ব্যক্তিতে পরিণত হলেন সেটি নিয়েই এই তথ্যচিত্র। এতে সাক্ষাৎকার দেন, মাস্কের পরিবারের সদস্য, বন্ধুরাসহ সহকর্মীরা।
ইলন মাস্কের প্রথম প্রতিষ্ঠান জিপ ২ এর একজন ভাইস-প্রেসিডেন্ট ছিলেন জিম অ্যামব্রাস। তিনি বলেন, মাস্ক সন্ধ্যা পর্যন্ত অফিসে ভালোভাবে ঘুরতেন এবং কারা অফিসে বসে কাজ করছেন তা পর্যবেক্ষণ করতেন।
তিনি আরও বলেন, একদিন মাস্ক ৯ টার পর অফিসে ঘুরছিলেন এবং দেখলেন কিছু কর্মচারী অফিসে নাই, তিনি রাগান্বিত হয়ে পড়েন এবং তার মুখ রাগে লাল হয়ে গিয়েছিল।
১৯৯৫ সালে ইলন মাস্ক তার ভাইকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিষ্ঠা করেন গ্লোবাল লিংক ইনফরমেশন নেটওয়ার্ক। তারই একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান জিপ ২। এই প্রতিষ্ঠান সংবাদপত্রে অনলাইন সিটি গাইড সফ্টওয়্যার সরবরাহ করে থাকে।
বিবিসির তথ্যচিত্রে ইলন মাস্কের আরও একজন সাবেক সহকর্মী ব্রান্ডেন স্পাইকস সাক্ষাৎকার দেন। তিনি বলেন, মাস্ক অন্যদের থেকে একটু অস্বাভাবিক ছিলেন। তিনি রাতের বেলা কাজ করতেন এবং ডেস্কের ওপর ঘুমিয়ে পড়তেন।
বিবিসির তথ্যচিত্রে উপস্থিত ছিলেন ইলন মাস্কেন মা, মায়ে। তিনি বলেন, ইলন যখন ছোট ছিল সে সময় তাকে সকালে জাগাতে অনেক বেগ পেতে হতো। কেননা সে সারা রাত জেগে বই পড়ত। ঘুম অবস্থাতেই তাকে কাপড় পড়াতে হতো।
মাস্ক দুটি ছোট স্টার্টআপ, নিউরালিংক এবং দ্য বোরিং কোম্পানির পাশাপাশি টেসলা এবং স্পেসএক্সের মালিক।
২০১৯ সালে ইলন প্রযুক্তিতে অনেক সাফল্য অর্জন করেন। তিনি সবার জন্য অনুপ্রেরণাদায়ক নেতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন।
বিবিসি জানিয়েছে, কপিরাইট সংক্রান্ত সমস্যার কারণে ইলন মাস্ক শো যুক্তরাজ্যের বাইরে সম্প্রচার করা হবে না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।