লাইফস্টাইল ডেস্ক: রাতে ঘুমানোর আগে কেউ বই পড়েন, কেউ মোবাইলে চোখ রেখে অনলাইনে অলিগলি চষে তারপর ঘুমান। ঘুমানোর আগে ঘর অন্ধকার করে শোয়ার অভ্যাস অনেকেরই। ঘুটঘুটে অন্ধকারে ঘুমাতে অস্বস্তি লাগলে কেউ আবার মৃদু আলোর বাতি জ্বালিয়ে ঘুমান। তবে রাতে বাতি জ্বালিয়ে ঘুমালে কিন্তু স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে।
রাতে আলো জ্বালিয়ে ঘু্মানোর ফলে ঘুমের মধ্যেও স্নায়ু অধিক সক্রিয় হয়ে থাকে। হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়
একেবারে অন্ধকার করে না শুয়ে ঘরে একটি নীল বা সবুজ রঙের মৃদু বাতি জ্বালিয়ে রাখার অভ্যাস আছে কারও কারও। শিকাগোর নর্থওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা বলেছেন, সারা রাত এই রকমের আলোয় ঘুমালে শরীরে তার প্রভাব পড়তে পারে। শরীরে এই ধরনের আলোর প্রভাব নিয়ে গবেষণা করেছেন শিকাগোর নর্থওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। তাদের মতে, রাতে বিভিন্ন রঙের আলোর নিচে ঘুমালে শরীরের গ্লুকোজের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। বিপাক ক্রিয়ায় বিঘ্ন ঘটে। এমনকি হৃদরোগ, ডায়াবেটিসের ঝুঁকিও বাড়িয়ে তোলে। সেই সঙ্গে বাড়তে পারে হৃদস্পন্দনের মাত্রাও।
রাতে আলো জ্বালিয়ে ঘুমালে শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা বেড়ে যায়। গবেষকরা প্রায় ২০ জন ব্যক্তির উপর এই গবেষণাটি পরিচালনা করেন। তার মধ্যে প্রায় ১০ জনের রাতে মৃদু আলো জ্বালিয়ে ঘুমানোর অভ্যাস রয়েছে। এবং তাদের মধ্যে অনেকেই ডায়াবেটিস, হৃদরোগের মতো বিভিন্ন শারীরিক সমস্যাও আছে। রাতে আলো জ্বালিয়ে ঘু্মানোর ফলে ঘুমের মধ্যেও স্নায়ু অধিক সক্রিয় হয়ে থাকে। ফলে শান্ত মস্তিষ্কে ঘুম হয় না। ভেতরে ভেতরে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়। হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই শিকাগোর নর্থওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা বলছেন, সুস্থ থাকতে রাতে অন্ধকার ঘরে ঘুমানোই ভালো। যদি একান্তই অন্ধকার ঘরে ঘুমাতে না ইচ্ছে করে, তা হলে একটি হলুদ রঙের আলো জ্বালিয়ে রাখতে পারেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।