বিশ্বের অন্যতম দীর্ঘতম কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা ও কলাতলী পয়েন্টে রাতের আঁধারে শতাধিক দোকান বসিয়ে দখল করেছে এক শ্রেণির অসাধু ব্যক্তি। এই ঘটনার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর সচেতন ব্যক্তিদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।
গত শুক্রবার রাতের আঁধারে দোকান বসিয়ে সৈকত দখল করা হয়। স্থানীয় ও দেশের পর্যটকরা হতবাক হয়ে বলেন, নিঃশ্বাস ফেলার জন্য আসা সৈকত এখন জঞ্জাল ও দোকানে ভরে গেছে। রাজধানী থেকে আসা পর্যটক হুমায়ূন আহমেদ বলেন, “সৈকতকে জঞ্জালমুক্ত রাখার কোনো ব্যবস্থা নেই। এখন কীভাবে শান্তিতে ভ্রমণ করব?”
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি কেন্দ্র করে সব দোষ জেলা প্রশাসনের দিকে চাপানো হয়েছে। জানা গেছে, কিছু অসাধু জেলা প্রশাসন কর্মকর্তা গোপনে কিছু মানুষকে ব্যবসা করার অনুমতি দিয়েছেন। চলতি বছরের আগেও সৈকতে কোনো স্থাপনা নির্মাণ বা ব্যবসার ওপর উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকায় এই অনুমতিপত্রগুলো গোপন রাখা হয়।
দোকান বসানো ব্যক্তিরা নিজেদের ঝিনুক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। তবে বৈধ অনুমতিপত্র কেউ দেখাতে পারেননি।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহেদুল আলম স্বীকার করেছেন, “রাতের আঁধারে দেশের এত বড় সম্পদ দখল করা অত্যন্ত বিব্রতকর। কিছু অনুমতিপত্র ইস্যু করা হয়েছে, তবে সঠিক সংখ্যা এখন জানা নেই।”
ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ বলেন, “অবৈধভাবে সৈকত দখল করা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। এসব স্থাপনা সরিয়ে দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।”
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।