Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    Home রান্নায় কমন ভুল এড়ানোর সহজ কৌশল
    লাইফস্টাইল ডেস্ক
    লাইফস্টাইল

    রান্নায় কমন ভুল এড়ানোর সহজ কৌশল

    লাইফস্টাইল ডেস্কMd EliasJuly 14, 202510 Mins Read
    Advertisement

    সকাল ১০টা। রান্নাঘরে উৎসাহ আর উত্তাপের মিশেল। মুরগির ঝোল ফুটছে, সবজি কাটা শেষ, চাল ধোয়া হয়েছে। কিন্তু শেষ মুহূর্তে… ঝোলটা একটু বেশি ঘন? নাকি ডালে লেগেছে কাঁচা গন্ধ? কিংবা ভাত হয়ে গেল গাদা-গাদা? হাতের মুঠোয় আটকে গেল স্বপ্নের সেই পোলাও বা বিরিয়ানির স্বাদ! এই পরিচিত হতাশা, এই ‘আহা!’র বদলে ‘উহু!’র অনুভূতি কে না জানে? রান্না মানে শুধু উপকরণ জোগাড় নয়, সেটা এক ধরণের ভালোবাসার প্রকাশ, পরিবারের মুখে হাসি ফোটানোর প্রয়াস। অথচ ছোটখাটো কিছু রান্নায় কমন ভুল বারবার সেই চেষ্টাকে বিফল করে, স্বাদে-গন্ধে দেয় ধাক্কা, পুষ্টিতেও কমিয়ে আনে প্রাণ। কিন্তু চিন্তার কিছু নেই! আজ আমরা আলোচনা করব সেইসব চিরচেনা ভুল চিহ্নিত করার পদ্ধতি এবং রান্নায় কমন ভুল এড়ানোর সহজ কৌশল, যা আপনার হাতের রেসিপিকে পরিণত করবে নিখুঁত স্বাদের অনন্য রূপে।

    রান্নায় কমন ভুল এড়ানোর সহজ কৌশল

    প্রস্তুতির ভুল: ভিত্তি যেখানে দুর্বল হয় (ভুল #১)

    রান্না শুরু হয় রান্নাঘরে ঢোকার আগেই। উপকরণের প্রস্তুতি ও নির্বাচনে ভুলই পরে দায়ী অসফলতার পিছনে।

    • অপরিষ্কার বা ভুলভাবে ধোয়া উপকরণ (H3):
      ধোয়া মানে শুধু পানি দিয়ে ছেঁচে নেওয়া নয়। শাকসবজির গায়ে লেগে থাকা মাটি, কীটনাশকের অবশিষ্টাংশ (বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের গাইডলাইন অনুযায়ী), ফলমূলের ওয়াক্স কোটিং – এগুলো স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। সহজ কৌশল: শাকসবজি খাবার সোডা বা ভিনেগার মেশানো পানিতে ১০-১৫ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন, তারপর ভালো করে ধুয়ে নিন। চাল, ডালে পাথর বা ভাঙা দানা চেক করুন। মাছ-মাংস রান্নার আগে পানি ঝরিয়ে নিন, নাহলে ঝোল পাতলা হয়ে যাবে।
      ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা: একবার ধোয়া কাঁচা মরিচে তেতো স্বাদ পেয়ে হতাশ হয়েছিলাম, কারণ ভেতরের বীজ ভালো করে পরিষ্কার করা হয়নি!

    • কাটাকুটিতে অবহেলা (H3):
      সব উপকরণ সমান সাইজে কাটা জরুরি। আলু আর গাজর একসাথে সিদ্ধ করতে হলে গাজর একটু বড় টুকরো করাই ভালো, কারণ গাজর দ্রুত সিদ্ধ হয়। পেঁয়াজ কুচি, স্লাইস বা পেস্ট – রেসিপি অনুযায়ী ভিন্নতা দরকার। মাংসের টুকরোগুলো সমান আকারের না হলে কিছু পুড়ে যাবে, কিছু কাঁচা থাকবে। সহজ কৌশল: রেসিপিতে উল্লেখিত কাটিং স্টাইলের দিকে খেয়াল রাখুন। শক্ত সবজি আগে কেটে নিন। ধারালো ছুরি ব্যবহার করুন – ভোঁতা ছুরিতে বেশি চাপ দিতে হয়, ফলে উপাদান নষ্ট হয়।

    • মাপজোখের গুরুত্ব না বোঝা (H3):
      “চামচ-চামচ”, “আস্তে আস্তে” – এই অনুমান নির্ভরতায় ভুল হবেই। এক চা-চামচ বেকিং পাউডার আর এক টেবিল-চামচ বেকিং পাউডারের পার্থক্য জানেন? প্রথমটা কেক ফুলাবে, দ্বিতীয়টা তেতো স্বাদ দেবে! সহজ কৌশল: রান্নার স্কেল, মেপে নেওয়ার কাপ ও চামচ সেট (measuring cups and spoons) বিনিয়োগ করুন। শুকনো উপকরণ মাপতে কাপে ভরে চামচ দিয়ে সমান করুন। তরল মাপতে তরল মাপার কাপ ব্যবহার করুন। রেসিপিতে উল্লেখিত একক (কাপ, গ্রাম, মিলিলিটার) মেনে চলুন। বাংলাদেশের পুষ্টিবিদ সমিতির ওয়েবসাইটে খাদ্য উপাদানের মাপের গুরুত্ব নিয়ে তথ্য পাওয়া যায়।

    রান্নার সময়কার মারাত্মক ভুল: তাপমাত্রা ও সময় ব্যবস্থাপনা (ভুল #২)

    রান্নার মূল ম্যাজিক ঘটে চুলার উপর। এখানেই বেশিরভাগ ভুল ধরা পড়ে।

    • ভুল তাপে রান্না শুরু (H3):
      ঠান্ডা তেলায় মশলা ছাড়লে তা কষবে না, বরং তেল গরম না হলে মশলার গন্ধ ও স্বাদ ঠিকমতো বের হবে না। আবার অতিরিক্ত গরম তেলে মশলা ছাড়লে তা পুড়ে তেতো হয়ে যাবে। সহজ কৌশল: তেল সামান্য গরম করুন (এক ফোঁটা পানি দিলে যদি শিস দিয়ে ফেটে ওঠে, তাহলে ঠিক আছে)। মাঝারি আঁচে মশলা ভাজুন। ‘টেম্পারিং’ বা ‘বাগার’ দেওয়ার সময় তেল ভালো করে গরম হওয়া জরুরি।

    • আঁচের নিয়ন্ত্রণহীনতা (H3):

      • উচ্চ আঁচে সবকিছু: মাংস দ্রুত সিদ্ধ হবে না, বাইরে পুড়ে ভেতর কাঁচা থাকবে। সবজির পুষ্টিগুণ নষ্ট হবে। দুধ বা দই ভুলেও উচ্চ আঁচে দেবেন না – কেটে যাবে!
      • অতিরিক্ত নিচু আঁচে: ভাত, ডাল বা মাংস সিদ্ধ হতে বেশি সময় নেবে, খাবার শুকিয়ে যেতে পারে, স্বাদও বের হবে না ঠিকমতো।
        সহজ কৌশল: রেসিপি বুঝে আঁচ নিয়ন্ত্রণ করুন। সাধারণত মশলা ভাজা, স্টার্টার তৈরি মাঝারি আঁচে। সিদ্ধ করা, জ্বাল দেওয়া (Simmering) মৃদু থেকে মাঝারি আঁচে। স্টার্টিং বা ব্রাউনিংয়ের জন্য উচ্চ আঁচ অল্প সময়ের জন্য। রান্নার শেষ দিকে সাধারণত আঁচ কমিয়ে দেওয়া ভালো।
    • রান্নার সময়ের ব্যাপারে অসতর্কতা (H3):
      ডিম সিদ্ধ করতে ১০ মিনিটের বেশি নিলে কুসুমের চারপাশে সবুজ রিং পড়বে। পাস্তা বা নুডুলস নির্দিষ্ট সময়ের বেশি সিদ্ধ করলে নরম হয়ে লেপ্টে যাবে। আবার কম সিদ্ধ করলে কাঁচা স্বাদ আসবে। সহজ কৌশল: টাইমার ব্যবহার করুন! রেসিপিতে উল্লেখিত সময় মেনে চলুন। মাংস, ডাল সিদ্ধ হওয়া পরীক্ষা করুন (মাংস সহজে চামচ দিয়ে কাটা যায় কিনা, ডাল নরম হয়েছে কিনা)। ভাত রান্নার পর অন্তত ৫-১০ মিনিট ঢাকা রেখে ‘স্টিম’ হওয়ার সুযোগ দিন।

    • অতিরিক্ত নাড়াচাড়া (H3):
      বারবার হাঁড়ি নাড়তে থাকলে ভাজি ভেঙে যাবে, কাবাব বা পাকোড়ার আকার নষ্ট হবে। মাংস বারবার নাড়লে রস বেরিয়ে শুকিয়ে যাবে। ভাত রান্নার সময় অতিরিক্ত নাড়লে চাল ভেঙে লেঁপা-লেঁপা হয়ে যাবে। সহজ কৌশল: রান্নার ধরন বুঝে নাড়ুন। ভাজি বা ফ্রাই করার সময় মাঝেমধ্যে নাড়ুন যাতে সবদিক সমানভাবে ভাজে। স্টিউ, কারি বা ঝোল কম নাড়ুন। ভাত রান্নার সময় একেবারে শুরুতে একবার নেড়ে তারপর ঢেকে রেখে দিন।

    মশলা, লবণ ও স্বাদ নিয়ন্ত্রণে ভুল: সুগন্ধি থেকে তেতো যাত্রা (ভুল #৩)

    বাংলাদেশি রান্নার প্রাণ মশলা। কিন্তু এর ব্যবহারেই সবচেয়ে বেশি ভুল হয়।

    • মশলা ভাজার সময় ও ক্রমের ভুল (H3):
      একসাথে সব মশলা দিলে কারও পুড়ে যাবে, কারও কাঁচা থেকে যাবে। জিরে, মেথি দ্রুত পুড়ে তেতো করে দিতে পারে। এলাচ-দারুচিনি-তেজপাতার গন্ধ বের করতে একটু সময় লাগে। সহজ কৌশল: ক্রমানুসারে মশলা ভাজুন:

      1. প্রথমে: সর্ষে, মেথি, জিরা (দ্রুত পোড়ে)।
      2. তারপর: শুকনো লঙ্কা, হিং (অল্প সময়েই গন্ধ বের হয়)।
      3. এরপর: পেঁয়াজ (সোনালি হওয়া পর্যন্ত)।
      4. পরে: আদা-রসুন-পেস্ট, কাঁচা মরিচ (পানি শুকানো পর্যন্ত)।
      5. সবশেষে: গুঁড়ো মশলা (ধনিয়া, জিরা, গরম মশলা – মাত্র ৩০-৬০ সেকেন্ড, নইলে পুড়ে তেতো হবে)।
        ব্যক্তিগত টিপ: গুঁড়ো মশলা দেবার আগে কড়াইটা একটু নামিয়ে নিন বা আঁচ একদম কমিয়ে দিন।
    • লবণের ভারসাম্যহীনতা (H3):
      শুরুতে খুব কম লবণ দিলে পরে ঠিক করা কঠিন। আবার একবারে বেশি দিয়ে ফেললে খাবার প্রায় নষ্ট! সহজ কৌশল: ধাপে ধাপে লবণ দিন। শুরুতে অল্প দিন (বিশেষ করে ডাল, সবজিতে)। রান্নার মাঝামাঝি ও শেষের দিকে স্বাদ চেখে দেখুন এবং প্রয়োজনে সামান্য যোগ করুন। মনে রাখুন, কিছু উপকরণে (চিজ, সয়া সস, স্টক কিউব) ইতিমধ্যেই লবণ থাকে।

    • স্বাদ না চেখে দেখার অভ্যাস (H3):
      “রেসিপি অনুযায়ী দিয়েছি” – এই ভরসায় শেষ পর্যন্ত না চেখে নামালে অনেক সময় দেখা যায় স্বাদে কিছু কমতি বা অতিরিক্তি আছে। সহজ কৌশল: রান্নার বিভিন্ন স্তরে স্বাদ চেখে দেখুন – মশলা ভাজার পর, তরল যোগ করার পর, মাঝামাঝি রান্নায় এবং নামানোর ঠিক আগে। এতে ঠিক সময়ে ঠিক করা যায়।

    নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য ও সংরক্ষণের ভুল: সুস্বাদু খাবার যেন হয় স্বাস্থ্যকর (ভুল #৪)

    রান্না শুধু স্বাদ নয়, নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যেরও বিষয়।

    • ক্রস-কন্টামিনেশন (H3):
      কাঁচা মাছ-মাংস কাটার পর সেই একই চপিং বোর্ড ও ছুরি দিয়ে সালাদের সবজি কাটা মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ (ব্যাকটেরিয়া ছড়ায়)। সহজ কৌশল:

      • কাঁচা মাছ-মাংস ও রান্না করা খাবার/কাঁচা সবজির জন্য আলাদা চপিং বোর্ড ও ছুরি ব্যবহার করুন (রঙিন কোডিং বোর্ড ভালো)।
      • কাঁচা মাংস ধরার পর ভালো করে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিন।
      • কাঁচা মাংসের রস যেন অন্য খাবারে না লাগে সেদিকে খেয়াল রাখুন।
        বাংলাদেশ ফুড সেফটি অথরিটির (BFSA) খাদ্য নিরাপত্তা গাইডলাইন এ বিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশনা দেয়।
    • খাবার সংরক্ষণের ভুল (H3):
      গরম খাবার ফ্রিজে রাখলে ফ্রিজের তাপমাত্রা বাড়িয়ে দেয়, আশেপাশের খাবার নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়। আবার বেশিক্ষণ ঘরের তাপমাত্রায় রেখে দিলে ব্যাকটেরিয়া বাড়ে। সহজ কৌশল: রান্না করা খাবার ২ ঘণ্টার মধ্যে ফ্রিজে রাখুন। গরম খাবার প্রথমে ঠান্ডা করুন (কক্ষ তাপমাত্রায় আনুন, তারপর ঢেকে ফ্রিজে রাখুন)। এয়ারটাইট কন্টেইনার ব্যবহার করুন। তরকারি, ডাল ২-৩ দিনের বেশি, মাছ-মাংসের তরকারি ১-২ দিনের বেশি ফ্রিজে রাখা উচিত নয়।

    • অপরিষ্কার রান্নাঘর ও যন্ত্রপাতি (H3):
      তেল-মশলা লেগে থাকা গ্যাস, ময়লা স্পঞ্জ, লেগে থাকা খাবারের টুকরো – এগুলো ব্যাকটেরিয়ার আড্ডাখানা। সহজ কৌশল: রান্নার পরপরই বাসনপত্র, কাউন্টারটপ, চুলা পরিষ্কার করুন। স্পঞ্জ ও ডিশ ক্লথ নিয়মিত ধুয়ে শুকিয়ে নিন বা জীবাণুমুক্ত করুন (গরম পানিতে ফুটান/ব্লিচ দ্রবণে ভিজিয়ে রাখুন)। মেঝে মুছুন। রান্নাঘর রাখুন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন।

    রেসিপি অনুসরণ ও অভিযোজনে ভুল: বাইন্ডফোল্ডিং নয়, বোঝাপড়া জরুরি (ভুল #৫)

    রেসিপি মানা ভালো, কিন্তু অন্ধভাবে নয়।

    • রেসিপি না পড়েই শুরু করা (H3):
      সব উপকরণ ও ধাপ না জেনে রান্না শুরু করলে মাঝপথে ধরা খেতে হয়। “ওহ, পনির তো ভেজানোই হয়নি!” বা “টমেটো পিউরির বদলে কেচাপ দিয়ে দিলাম!” – এমন ঘটনা ঘটতে পারে। সহজ কৌশল: রান্না শুরু করার আগে সম্পূর্ণ রেসিপি একবার ভালো করে পড়ে নিন। প্রয়োজনীয় সব উপকরণ হাতের কাছে প্রস্তুত করুন (Mise en place)। ধাপগুলো বুঝে নিন।

    • অভিজ্ঞতা ছাড়াই রেসিপি বদলানো (H3):
      নতুন একটা রেসিপি প্রথমবার বানানোর সময়ই উপকরণ বাদ দেওয়া বা পরিমাণ অনেকটা বাড়ানো-কমানো ঝুঁকিপূর্ণ। সহজ কৌশল: প্রথমবার অবশ্যই রেসিপি যথাসম্ভব অনুসরণ করুন। একবার আয়ত্ত করার পর নিজের স্বাদ অনুযায়ী সামান্য পরিবর্তন করুন। মনে রাখুন, বেকিংয়ে (কেক, কুকিজ) পরিমাণের সামান্য হেরফের ফলাফল বদলে দিতে পারে।

    • ধৈর্য্যের অভাব (H3):
      মাংস সিদ্ধ হতে সময় লাগে। ডাল ফুটতে সময় নেয়। ধীরে ধীরে জ্বাল দেওয়া তরকারিই স্বাদ গভীর করে। সহজ কৌশল: রান্নার জন্য পর্যাপ্ত সময় বরাদ্দ রাখুন। রান্নার প্রক্রিয়াকে উপভোগ করুন। ‘স্লো কুকিং’ বা ধীরে সিদ্ধ করার পদ্ধতিতে অনেক সময় ভালো ফল পাওয়া যায়। তাড়াহুড়ো করে উচ্চ আঁচে চাপ দিলে খাবারের গুণগত মান নষ্ট হয়।

    জেনে রাখুন (FAQs)

    1. প্রশ্নঃ ডালে প্রায়ই কাঁচা গন্ধ লাগে, এড়াবো কিভাবে?
      উত্তরঃ ডাল ভালো করে ধুয়ে নিন। রান্নার সময় পর্যাপ্ত পানি দিন এবং ভালোভাবে ফুটতে দিন। ডাল সিদ্ধ হওয়ার পর জ্বাল দেবার সময় এক চিমটি হিং বা অল্প তেলে ভাজা জিরাগুঁড়া যোগ করুন (বাগার দিয়ে)। জিরা ও হিং কাঁচা গন্ধ দূর করতে খুব কার্যকর। ডাল সিদ্ধ করার সময় এক টুকরো আদা বা কয়েক ফোঁটা লেবুর রস দিলেও সাহায্য করে।

    2. প্রশ্নঃ ভাত লেপ্টে যায় বা গাদা হয়, সমাধান কি?
      উত্তরঃ চাল ধোয়ার পর ভালো করে পানি ঝরিয়ে নিন (অন্তত ১৫-২০ মিনিট)। পানির পরিমাণ ঠিক করুন (সাধারণত চালের ১.৫ থেকে ২ গুণ পানি, চালের ধরন অনুযায়ী)। ভাত ফুটে উঠলে আঁচ কমিয়ে দিন। ভাত রান্না হয়ে গ্যাস বন্ধ করে ঢাকনা খুলবেন না, অন্তত ৫-১০ মিনিট ঢেকে রেখে স্টিম হতে দিন। রান্নার সময় খুব বেশি নাড়বেন না।

    3. প্রশ্নঃ মাংস শক্ত হয়ে যায়, নরম করার সহজ উপায় কি?
      উত্তরঃ রান্নার আগে দই, পেঁপে বাটা, ভিনেগার বা কোমল পানীয় (সোডা) দিয়ে কিছুক্ষণ (৩০ মিনিট থেকে ২ ঘণ্টা) ম্যারিনেট করুন। রান্না করার সময় ধীরে ধীরে মৃদু আঁচে সিদ্ধ করুন। প্রেশার কুকার ব্যবহার করলে দ্রুত নরম হয়। রান্নার শেষ দিকে লবণ দিন, শুরুতে দিলে মাংস শক্ত হতে পারে।

    4. প্রশ্নঃ সবজি রান্নায় রং ও পুষ্টি ধরে রাখার উপায় কি?
      উত্তরঃ সবজি বেশি সিদ্ধ করবেন না, ক্রাঞ্চি থাকা অবস্থায় নামিয়ে ফেলুন। ভাপে সিদ্ধ (স্টিম) করা সবজির রং ও পুষ্টি সবচেয়ে ভালো থাকে। ফুটন্ত পানিতে অল্প সময়ে সিদ্ধ (ব্লাঞ্চিং) করেও নামিয়ে ঠান্ডা পানিতে চুবিয়ে রাখতে পারেন। ঢাকনা খোলা রেখে রান্না করলে সবজির রং উজ্জ্বল থাকে।

    5. প্রশ্নঃ তরকারিতে টক স্বাদ এলে কি করব?
      উত্তরঃ সামান্য চিনি বা গুড় যোগ করুন (এক চিমটি দিয়ে শুরু করুন, স্বাদ চেখে দেখুন)। দুধের সর বা একটু দুধ মেশালেও টকভাব কমে। আলু দিলে স্টার্চ টকভাব শুষে নিতে সাহায্য করে। টক বেশি হলে একটু বেশি করে পানি দিয়ে কিছুক্ষণ ফুটিয়ে নিন, তারপর প্রয়োজন হলে ঘন করুন।

    6. প্রশ্নঃ মশলা পোড়ার গন্ধ/তেতো স্বাদ এড়াতে কী করব?
      উত্তরঃ মশলা ভাজার সময় আঁচ নিয়ন্ত্রণ করুন – মাঝারি রাখুন। গুঁড়ো মশলা খুব অল্প সময়ের জন্য (৩০-৬০ সেকেন্ড) ভাজুন, পুড়ে গন্ধ না আসতেই তরল (পানি, দই, টমেটো) যোগ করে দিন। পেঁয়াজ ভালো করে ভাজুন (সোনালি-বাদামি), কাঁচা পেঁয়াজের গন্ধও তেতো লাগতে পারে। পুড়ে গেলে নতুন করে শুরু করা ছাড়া উপায় নেই!

    রান্না কোনো রেস্তোরাঁর শেফের একচেটিয়া দক্ষতা নয়; এটা প্রতিদিনের ঘরোয়া ভালোবাসার প্রকাশ, একটু সচেতনতা আর কিছু রান্নায় কমন ভুল এড়ানোর সহজ কৌশল আয়ত্ত করলেই। উপকরণের প্রস্তুতি থেকে শুরু করে চুলার তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ, মশলার সঠিক ব্যবহার থেকে খাবার সংরক্ষণ – প্রতিটি ধাপে ছোটখাটো সতর্কতাই পারে আপনার হাতের তৈরি খাবারটিকে পরিণত করতে এক অনন্য মাত্রায়। মনে রাখবেন, ভুল হতেই পারে, সেটাই শেখার প্রথম ধাপ। আজকের আলোচিত এই সহজ কৌশলগুলোকে নিজের রান্নার অভিজ্ঞতার সাথে মিলিয়ে নিন, প্রয়োগ করুন ধাপে ধাপে। দেখবেন, শীঘ্রই আপনার রান্নাঘর থেকে বের হবে না শুধু সুঘ্রাণ, বরং পরিবারের সবার মুখে ফুটবে তৃপ্তির হাসি আর শোনা যাবে সেই মন্ত্রমুগ্ধ প্রশংসা – “ওহ, আজকের তরকারিটা একদম পারফেক্ট!” শুরু করুন আজই, পরিণত হোন আপনার নিজের রান্নাঘরের মাস্টার শেফে!


    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    এড়ানোর কমন কৌশল ভুল রান্নায় রান্নায় কমন ভুল এড়ানোর সহজ কৌশল লাইফস্টাইল সহজ
    Related Posts
    Urine

    সকালে হলুদ প্রস্রাব স্বাভাবিক নাকি সমস্যার লক্ষণ?

    July 15, 2025
    পাকা চুল

    মেহেদির সঙ্গে যা মেশালে পাকা চুল কালো হয়

    July 14, 2025
    দলিল

    ১২ বছর ধরে জমি দখলে থাকলেই মালিকানা? জানুন আইনি ব্যাখ্যা

    July 14, 2025
    সর্বশেষ খবর
    superman

    Superman Post-Credit Scenes Explained: James Gunn’s Bold Move in DC’s Reboot Strategy

    Iran president

    Iran President Masoud Pezeshkian Injured in Israeli Strike on Secret Tehran Facility: Inside the Covert Attack

    3 Sister

    এসএসসি পরীক্ষায় একসঙ্গে তিন বোনের জিপিএ-৫ অর্জন

    vivo x200 fe

    vivo X200 FE Set to Launch on July 23: Flagship Specs, 50MP Cameras, and 6500mAh Battery

    archita archita phukan viral video

    Archita Phukan Viral Video Scandal: Cyber Defamation, Justice, and the Fight for Online Dignity

    Best 5G Phones Under 20000 in Bangladesh

    Best 5G Phones Under 20000 in Bangladesh

    Gaming Desktop vs Laptop 2025: Ultimate Performance Comparison

    Gaming Desktop vs Laptop 2025: Ultimate Performance Comparison

    Akhtar

    বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ হলেন ড. আখতার হোসেন

    twin-brothers

    এসএসসিতে সব বিষয়ে একই নম্বর পেয়ে চমকে দিল যমজ ভাই

    Willie Salim: The Versatile Force in Indonesian Entertainment

    Willie Salim: The Versatile Force in Indonesian Entertainment

    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    • Feed
    • Banglanews
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.