আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশের দামোহ জেলার এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামনে এসেছে, যেখানে এক মহিলা তাঁর জামাইবাবুকে প্রকাশ্যে রাস্তার মাঝখানে বেধড়ক মারধর করেছেন। ওই মহিলার অভিযোগ যে তাঁর দিদির শ্বশুর-শাশুড়ি এবং স্বামী মিলে দিদিকে খুন করেছেন।
কিছু দিন আগেই ওই মহিলার দিদি বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেন। তাঁকে দামোহ জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। এর পর মৃতার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে যৌতুকের জন্য হয়রানির অভিযোগ তোলেন মেয়ের বাড়ির লোকজন। এই আত্মহত্যার ঘটনায় পুলিশ মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে। শনিবার দুপুর ২টার দিকে দামোহ জেলায় ঘটনাটি ঘটেছে।
দামোহ জেলার কোতোয়ালি থানার পুলিশ জেলা হাসপাতাল থেকে খবর পেয়েছে যে এক মহিলা বিষ খেয়ে মারা গিয়েছেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত করে। তদন্তে জানা গিয়েছে, মৃতার নাম হেমবতী পটেল। এই ঘটনার পরেই মৃতার বোন প্রিয়াঙ্কা কুশওয়াহা মেজাজ হারিয়ে আক্রমণ করে বসেন দিদির স্বামীকে। ওই সময় ওখানে উপস্থিত পুলিশ ও স্থানীয়েরা হস্তক্ষেপ করে উভয় পক্ষকে শান্ত করে।
মৃতার বোন প্রিয়াঙ্কা পুলিশকে জানিয়েছেন, ৩ বছর আগে লকডাউনে হেমবতীর বিয়ে হয়েছিল ফুটেরার বাসিন্দা গোবিন্দ পটেলের সঙ্গে। মামার বাড়িতে তাঁর দিদির বিয়ে হওয়ার কথা পাকা হওয়ায় তাঁরা সপরিবারে দুই দিন আগে মামার বাড়িতে আসেন। এখানে আসার পর থেকেই গোবিন্দ হেমবতীকে তাড়াতাড়ি বাড়ি যাওয়ার জন্য চাপ দিতে শুরু করেন। আত্মীয়-স্বজনরা এরপর অনেক অনুরোধে গোবিন্দকে রাজি করান এবং কিছুক্ষণ থেকে তিনি প্রিয়াঙ্কার দিদিকে নিয়ে বাড়ি চলে যান।
कीटनाशक पीने से महिला की मौत के बाद परिजनों मृतक महिला के।पति को चप्पल से पीटा pic.twitter.com/fuQG1v212Z
— Dharmesh pandey Damoh (@PandeyDamoh) February 14, 2022
শুক্রবার রাতে জানানো হয় হেমবতী বিষ খেয়েছেন। তাঁকে জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলেও জানান তাঁরা। প্রিয়াঙ্কার মতে, তিনি যতক্ষণে জেলা হাসপাতালে পৌঁছেছিলেন, ততক্ষণে তাঁর বোন হেমবতী মারা গিয়েছেন।
প্রিয়াঙ্কার অভিযোগ, গোবিন্দের অত্যাচারে হেমবতীর মৃত্যু হয়েছে। তাঁর বোনের বিয়ে হওয়ার সময় লকডাউন চলছিল। বিয়ের জন্য সেই অর্থে কিছুই পাওয়া যাচ্ছিল না। স্বজনদের থেকে ঋণ নিয়ে তাঁরা নগদ ৫ লাখ টাকা দিয়েছিলেন। এ ছাড়াও আলাদাভাবে এক লাখ টাকাও যৌতুক দেওয়া হয়।
প্রিয়াঙ্কা পুলিশকে জানিয়েছেন, প্রথমবার অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পরে তাঁর দিদির গর্ভপাত করানো হয়েছিল। এরপর থেকে তিনি আর গর্ভবতী হতে পারেননি। এ কারণে শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁকে মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতন শুরু করেন, যা সহ্য করতে না পেরে হেমবতী বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেন বলে দাবি প্রিয়াঙ্কার!
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।