জুমবাংলা ডেস্ক : বরগুনার বহুল আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলার প্রধান আসামি রাকিবুল হাসান রিফাত ফরাজীর আদালতে দেয়া স্বীকারোক্তি প্রত্যাহারের আবেদন করা হয়েছে।
এছাড়া এ মামলায় অপ্রাপ্তবয়স্ক অভিযুক্তদের বিচারের জন্য বরগুনার শিশু আদালতে পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে মামলার ধার্য তারিখে বরগুনার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে রিফাত ফরাজীর স্বীকারোক্তি প্রত্যাহারের আবেদন করা হয়। কিন্তু এ মামলার মূল নথি জেলা ও দায়রা জজ আদালতে থাকায় স্বীকারোক্তি প্রত্যাহারের শুনানি হয়নি। মূল নথি সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পৌঁছালে স্বীকারোক্তি প্রত্যাহারের শুনানি হবে।
এছাড়া এ মামলার পরবর্তী তারিখ ৬ নভেম্বর ধার্য করেছেন বিচারক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম গাজী। একই সাথে অভিযুক্ত শিশুদের মামলার পরবর্তী তারিখও নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ নভেম্বর।
এ বিষয়ে রিফাত হত্যা মামলার বাদী পক্ষের মনোনীত আইনজীবী মজিবুল হক কিসলু সাংবাদিকদের বলেন, রিফাত হত্যা মামলার অপ্রাপ্তবয়স্ক আসামিরা আদালত হেফাজতে রয়েছে। তাই বিচারের জন্য মামলাটি শিশু আদালতে পাঠানো হয়েছে।
মজিবুল হক কিসলু আরো বলেন, রিফাত হত্যা মামলার আসামি কামরুল হাসান সাইমুনের আগামী ১১ নভেম্বর একটি পরীক্ষা আছে। এ পরীক্ষায় অংশ নেয়ার জন্য আদালতে আবেদন করেন সাইমুন। সাইমুনের পরীক্ষার এডমিট কার্ড আদালতে উপস্থাপন করা হলে আদালত সাইমুনকে পরীক্ষায় অংশ নেয়ার সুযোগ দেবে।
উল্লেখ্য, গত ২৬ জুন রিফাত হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়। পরে ২৭ জুন ১২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৫-৬ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহত রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ।
এ মামলার তদন্ত শেষে গত ১ সেপ্টেম্বর ২৪ জনকে অভিযুক্ত করে প্রাপ্তবয়স্ক ও অপ্রাপ্তবয়স্ক; দুই ভাগে বিভক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। অভিযোগপত্রভূক্ত ২৪ আসামির মধ্যে আটজন বরগুনা জেলা কারাগারে এবং ১৩ জন যশোর শিশু ও কিশোর সংশোধনাগারে রয়েছেন। এছাড়া দুজন আসামি জামিনে রয়েছেন। আর এ মামলার আসামি মো. মুসা এখনো পলাতক রয়েছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।