Close Menu
Bangla news
  • Home
  • Bangladesh
  • Business
  • International
  • Entertainment
  • Sports
  • বাংলা
Facebook X (Twitter) Instagram
Bangla news
  • Home
  • Bangladesh
  • Business
  • International
  • Entertainment
  • Sports
  • বাংলা
Bangla news
Home রিয়াজের আয়ে চলত ৮ জনের সংসার, ছাত্র আন্দোলনে তার মৃত্যুতে দিশেহারা পরিবার
জাতীয় বিভাগীয় সংবাদ

রিয়াজের আয়ে চলত ৮ জনের সংসার, ছাত্র আন্দোলনে তার মৃত্যুতে দিশেহারা পরিবার

জুমবাংলা নিউজ ডেস্কSeptember 15, 2024Updated:September 15, 20243 Mins Read
Advertisement

জুমবাংলা ডেস্ক : ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম সন্তান মো. রিয়াজকে হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তার বাবা আব্দুর রব। এদিকে দুই শিশু সন্তান নিয়ে অনিশ্চয়তা ও অর্থাভাবে দরিদ্র বাবার বাড়িতে ফিরে গেছেন রিয়াজের স্ত্রী ফারজানা।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ৫ আগস্ট ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচিতে যোগ দিতে গিয়ে যাত্রাবাড়ী থানা এলাকায় পুলিশের গুলিতে শহিদ হন নির্মাণ শ্রমিক মো. রিয়াজ।

ভোলা জেলার দৌলতখান উপজেলার চরখলিফা ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড নিবাসী আব্দুর রব ও রানু বেগমের সন্তান মো. রিয়াজ (২৫) ঢাকায় নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করতেন। তার বাবা শারীরিক প্রতিবন্ধী। হুইল চেয়ারে চলাফেরা করেন। মা গৃহবধু। চার ভাইবোনের মধ্যে রিয়াজ দ্বিতীয়। বড় বোনের বিয়ে হয়েছে। ছোট দুই ভাইয়ের নাম আরিফ (১৪) ও সজিব (১২)। পারিবারিক অস্বচ্ছলতার কারণে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেছেন রিয়াজ। পরে জীবিকার তাগিদে ঢাকায় নির্মাণ শ্রমিকের কাজ নেন।

রিয়াজের উপার্জনেই চলতো দুটি সংসার। তার অকাল মৃত্যুতে অন্ধকার নেমে এসেছে শহিদ রিয়াজের বাবা আব্দুর রবের পরিবারে। বন্ধ হয়ে গেছে মাসিক আয়।

এদিকে রিয়াজের স্ত্রী ফারজানা দুই মেয়ে ফাতেমা (৭) এবং ফারিয়া (৪)-কে নিয়ে চরম অর্থাভাবে দিন কাটাচ্ছেন বাবার সংসারে।

রিয়াজের বাবা আব্দুর রব বাসসকে বলেন, গত ৫ আগস্ট যাত্রাবাড়ী থানার তিন নম্বর গেট থেকে আমার ছেলের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়। শুধু আমার ছেলে নয় শত শত মায়ের বুক এভাবেই খালি হয়েছিল পুলিশের গুলিতে। আমার ছেলেসহ সব হত্যার বিচার চাই। এই ছেলের আয় ছিল আমাদের পরিবারের একমাত্র জীবিকার উৎস। একজন পঙ্গু অসহায় পিতা হিসেবে সরকারের কাছে সহযোগিতা চাই।

রিয়াজের স্ত্রী ফারজানা মুঠোফোনে বাসসকে বলেন, ৫ আগস্ট সকাল পৌনে আটটার দিকে আমার স্বামী ঘর থেকে বের হন। দুপুর ১২টার দিকে খবর পাই যাত্রাবাড়ী থানার তিন নম্বর গেটে আমার স্বামীর লাশ পড়ে আছে। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় লাশ উদ্ধার করে ভোলার দৌলতখানের গ্রামের বাড়িতে নিয়ে পরদিন দাফন করা হয়। পরে জেনেছি পুলিশের গুলিতে আমার স্বামীর মৃত্যু হয়।

তিনি জানান, তার স্বামী রিয়াজ আন্দোলনের শেষ দিকে সক্রিয়ভাবে যোগ দেন। ১ আগস্ট সর্বশেষ কাজে যান। তারপর আর কাজে যাননি। স্ত্রী নিষেধ করলেও তার কথা শুনতেন না। কারণ স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের অনেক অন্যায়-অবিচার তিনি মেনে নিতে পারতেন না। তাই যখন সরকার পতনের এক দফা দাবি এলো তাতে পূর্ণ সমর্থন দেন রিয়াজ।

ফারজানা বেগম বলেন, ‘আমার স্বামী নিজের জীবনের কথা ভাবেননি। তিনি দেশের জন্য জীবন দিয়েছেন। তার মতো এমন হাজারো মানুষের আত্মত্যাগের জন্যই আমরা দ্বিতীয়বারের মতো স্বাধীনতা পেয়েছি। তাই সরকারের কাছে বলব, আমার স্বামী যেন শহিদি মর্যাদা পান।”

যাত্রাবাড়ীর সাদ্দাম মার্কেট এলাকায় ছোট্ট একটি ভাড়া বাসায় ছিলো দুই মেয়ে ফাতেমা (৭) ও ফারিয়া (৪)কে নিয়ে ছিল রিয়াজ-ফারজানার সুখের সংসার। রিয়াজ যা আয় করতেন, তা দিয়ে নিজেরা চলার পাশাপাশি মা-বাবার জন্য প্রতি মাসে টাকা পাঠাতেন। রিয়াজের মৃত্যুর পর টাকার অভাবে বাসা ছেড়ে দিয়ে বাবার বাসায় উঠেছেন ফারজানা। ফারজানার বাবা ভ্যানে করে যাত্রাবাড়ীতে সবজি বিক্রি করেন। তার পরিবারেও নেই আর্থিক স্বচ্ছলতা। তার উপর তিনজন মানুষের থাকা-খাওয়ার খরচ জোগাতে হিমশিম খাচ্ছেন ফারজানার বাবা।

ফারজানা বলেন, ‘সরকার যদি আমাকে একটা ছোটখাটো চাকরির ব্যবস্থা করে দিত, তাহলে মেয়েদের নিয়ে ভালোভাবে বেঁচে থাকতে পারতাম।’

শহিদ রিয়াজের মা রানু বেগম বলেন, আমাদের সংসারে বড় ছেলে রিয়াজই ছিল আশার আলো। ছেলের মৃত্যুতে আমরা এখন অন্ধকার দেখছি। ছেলে প্রায় বলতো মা-বাবাকে ঢাকা নিয়ে তার কাছে রাখবে। কিন্তু আমি যেতে চাইতাম না। কারণ ছেলের ছোট ঘর, খুব বেশি টাকা-পয়সা নেই, আমরা গেলে বাড়তি খরচ হবে। তিনি বলেন, ছেলে রিয়াজের ইচ্ছে ছিল তার ছোট ভাইরা আরো একটু বড় হলে তাদের ঢাকায় নিয়ে কাজের ব্যবস্থা করে দেবে। পরিবারের অভাব দূর হবে। কিন্তু তার সেই আশা পূরণ হলো না।

শহিদ রিয়াজের গ্রামের বাড়ির প্রতিবেশি নাছিমা বেগম জানান, রিয়াজদের পরিবারের আর্থিক অবস্থা এমনিতেই অনেক খারাপ। তারপরে এখন রিয়াজের মৃত্যুতে তারা আরো খারাপ অবস্থায় পড়েছেন। মানুষের কাছে চেয়ে চিন্তে তাদের চলতে হচ্ছে। তাই সরকার তাদের পরিবারের পাশে দাঁড়ালে তারা সম্মানের সাথে বাঁচতে পারবে।-বাসস

বাংলাদেশের জনগণের কল্যাণে সহযোগিতার কথা পুনর্ব্যক্ত করল যুক্তরাষ্ট্র

জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
‘জাতীয় ৮ আন্দোলনে আয়ে চলত ছাত্র জনের তার দিশেহারা পরিবার বিভাগীয় মৃত্যুতে রিয়াজের সংবাদ সংসার
Related Posts
ইসি

নির্বাচন নিয়ে টকশোতে কটূক্তি নয়, নির্দেশ ইসির

December 17, 2025
প্রধান উপদেষ্টা

শ্রমশক্তি রপ্তানিতে বড় বাধা দালাল চক্র: প্রধান উপদেষ্টা

December 17, 2025
ভারতীয় ভিসা সেন্টার

ঢাকার ভারতীয় ভিসা সেন্টার হঠাৎ বন্ধ ঘোষণা

December 17, 2025
Latest News
ইসি

নির্বাচন নিয়ে টকশোতে কটূক্তি নয়, নির্দেশ ইসির

প্রধান উপদেষ্টা

শ্রমশক্তি রপ্তানিতে বড় বাধা দালাল চক্র: প্রধান উপদেষ্টা

ভারতীয় ভিসা সেন্টার

ঢাকার ভারতীয় ভিসা সেন্টার হঠাৎ বন্ধ ঘোষণা

হাদি

যুক্তরাজ্যে নেওয়ার চেষ্টা চলছে হাদিকে

মার্চ টু ইন্ডিয়ান হাইকমিশন

জুলাই ঐক্যের ‘মার্চ টু ইন্ডিয়ান হাইকমিশন’ কর্মসূচি বিকালে

ফয়সালের বাবা-মা গ্রেপ্তার

হাদি হত্যাচেষ্টার মূল অভিযুক্ত ফয়সালের বাবা-মা গ্রেপ্তার, উদ্ধার ২১৮ কোটি টাকার চেক

বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ

আজ ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায়

নতুন ব্যবস্থার রাজনীতি

বাংলাদেশ চলবে নতুন ব্যবস্থার রাজনীতিতে: জামায়াত আমির

স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি

স্বাধীনতাবিরোধীরা আবার মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে চায়: মির্জা ফখরুল

বক্তব্য দেবেন

প্রধান উপদেষ্টা অভিবাসী দিবসের অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেবেন আজ

  • About Us
  • Contact Us
  • Career
  • Advertise
  • DMCA
  • Privacy Policy
  • Feed
  • Banglanews
© 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.