স্পেনসহ ইউরোপের বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমেই গুঞ্জন ছিল– কোপা দেল রের ফাইনালেই রিয়াল মাদ্রিদের কোচ কার্লো আনচেলত্তির ভবিষ্যৎ নির্ধারণ হয়ে যাবে। যেখানে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনার কাছে ৩-২ গোলে হেরে মৌসুমের দ্বিতীয় শিরোপা হাতছাড়া করল রিয়াল। স্বভাবতই ম্যাচ শেষে রিয়ালের কোচ পদে থাকা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হলো আনচেলত্তিকে। যদিও তিনি এই প্রশ্নের উত্তর আগামী সপ্তাহের জন্য জমা রাখলেন।
ইতালিয়ান এই মাস্টারমাইন্ডের পরবর্তী গন্তব্য মনে করা হচ্ছে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ব্রাজিলকে। এ নিয়ে কোচ এবং সিবিএফ (ব্রাজিল ফুটবল কনফেডারেশন) দুই পক্ষই আগ্রহী। যদিও রিয়াল ছাড়া নিয়ে এখনও কিছু বললেন আনচেলত্তি। বার্সেলোনার কাছে হারের পরও নিজের প্রতিক্রিয়া জানালেন এভাবে, ‘আমি রিয়াল মাদ্রিদেই থাকতে পারি, অথবা ছাড়তেও পারি…আমরা দেখব (কী ঘটে)। বিষয়টি আগামী সপ্তাহের জন্য থাক, আজ নয়।’
কোপা দেল রের ফাইনাল শেষে রিয়ালের মিডিয়া প্রধান জুয়ান ক্যামিলোকে নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন আনচেলত্তি। হারলেও ম্যাচে শিষ্যরা ভালো লড়াই করেছে বলে দাবি তার, ‘এটি ভালো ম্যাচ ছিল। আমরাও যথেষ্ট প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছি। এমনকি দ্বিতীয়ার্ধে আধিপত্য ছিল আমাদের। জয়ের জন্য আমাদের যা করা দরকার সবই করেছি। আমি দলের সমালোচনা করতে পারি না, কারণ তারা নিজেদের সর্বোচ্চটা দিয়ে লড়েছে। তবে এটি সত্যি যে আমরা (জয় থেকে) খুব নিকটে ছিলাম, সেজন্য অবশ্য মর্মাহও। প্রতিপক্ষের চেয়ে খুবই কম ব্যবধানে থেকে ফিরছি। এখন আমরা লা লিগা জয়ের জন্য মনোযোগ দেব।’
ম্যাচটিতে খেলা নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিল ফরাসি তারকা কিলিয়ান এমবাপের। ব্যথা আছে জানিয়ে শুরুর একাদশেও তাকে রাখেননি কোচ আনচেলত্তি। পরে দ্বিতীয়ার্ধে বদলি নেমে গোল করা এমবাপেকে নিয়ে রিয়াল মাদ্রিদের এই ম্যানেজার বলেন, ‘এটি তার জন্যও ভালো ম্যাচ ছিল। সে খুবই ক্লান্ত ছিল এবং এর বেশি সময় (খেলতে) পারছিল না। তবুও তার চেষ্টার জন্য অবশ্যই ধন্যবাদ প্রাপ্য, যা খুবই দৃষ্টিনন্দন। অবশ্য তার কোনো ইনজুরি ছিল না।’
পুরো ম্যাচে তিনটি লাল কার্ড দেখেছে রিয়ালের ফুটবলাররা। শেষ বাঁশি বাজানোর আগমুহূর্তে বার্সেলোনার এরিক গার্সিয়া এমবাপেকে ফাউল করার পর ফ্রি-কিক না দেওয়ায় প্রতিবাদে ফেটে পড়ে পুরো রিয়াল শিবির। এ সময় বেঞ্চে থাকা ফুটবলাররাও মাঠে ঢুকে পড়েন। অ্যান্তনিও রুডিগারকে রিয়ালেরই কেউ থামাতে পারছিলেন না, এমনকি তার দিক থেকেই রেফারির প্রতি উড়ে যায় কিছু একটা। যার ফলস্বরূপ লাল কার্ড এবং লুকাস ভাসকেজেরও একই পরিণতি। এ ছাড়া ম্যাচ শেষে জ্যুড বেলিংহামকে লাল কার্ড দেখানোর তথ্য নিশ্চিত করেন রেফারি।
গাজীপুরে দূষিত পানিতে ধান কাটার শ্রমিক সংকট, ফসল নষ্টের শঙ্কা
তিনটি কার্ড নিয়ে কথা বললেও ম্যাচের আগে থেকেই আলোচিত রেফারিকে নিয়ে কিছু বলতে রাজি হননি আনচেলত্তি, ‘(লাল কার্ড প্রসঙ্গে) আমি আসলে জানি না কী হয়েছিল। আমাদের বিষয়টি ভালো করে দেখতে হবে। যাইহোক সেজন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে আমাদের। এখন আমাদের হাতে দু’দিন সময় আছে। (লা লিগায়) আসন্ন সেল্টিক ও বার্সেলোনা ম্যাচের জন্য আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে এবং লড়তে হবে প্রতিযোগিতা শেষ হওয়া পর্যন্ত।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।