আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইউক্রেনে চলমান রুশ চলমান রুশ আগ্রাসনে কয়েক হাজার সামরিক বাহন ব্যবহার করা হচ্ছে। দেশটির ভূখণ্ডে রুশ ট্যাংক ও সামরিক যানের উপস্থিতি খুবই সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসব বাহনের সবগুলোতেই বাইরের অংশে ইংরেজি ‘জেড’ অক্ষর লেখা। এমনকি ইউক্রেনে অবস্থানরত রুশপন্থীরা ‘জেড’ চিহ্ন সংবলিত পোশাকের ব্যবহার করছেন।
এই ‘জেড’ চিহ্ন ব্যবহারের কারণ নিয়ে কৌতূহল ছড়িয়েছে পশ্চিমা সংবাদমাধ্যমে। ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
গ্যালিনা স্তারোভোইতোভা ফেলো কামিল গালিভের তথ্য অনুযায়ী, ইউক্রেনের উদ্দেশে রুশ সামরিক যানগুলো ছেড়ে যাওয়ার আগে সেগুলোতে ‘জেড’ চিহ্ন লিখে রাখা হচ্ছে। অনেকে আবার জেড চিহ্নকে ‘জা পোবেডি’ (বিজয়) হিসেবে উল্লেখ করছেন। অনেকে আবার এটিকে ‘জাপাড’ (পশ্চিম) বোঝাতে ব্যবহার করা হয়েছে মনে করছেন।
তিনি আরও বলেছেন, ‘মাত্র কয়েকদিন আগে উদ্ভাবিত এই প্রতীকটি নতুন রুশ আদর্শ ও জাতীয় পরিচয়ের প্রতীক হয়ে উঠেছে।’
পর্যবেক্ষকদের অনেকেই বলছেন যে, এই ধরনের চিহ্নগুলো রুশ সহযোদ্ধাদের যুদ্ধক্ষেত্রে তাদের নিজস্ব যানবাহন শনাক্ত করতে এবং ফ্রেন্ডলি ফায়ার এড়াতে সংকেত হিসেবে কাজ করছে।অবশ্য রুশ এই প্রতীকের অনেক সমর্থক অর্থও খুঁজে পাওয়া গেছে। ইতোমধ্যে রাশিয়ার অনেক বেসামরিক নাগরিক এবং ব্যবসায়ীরা স্বেচ্ছায় তাদের গাড়িতে ‘জেড’ চিহ্ন ব্যবহার করা শুরু করেছেন।
গত ২২ ফেব্রুয়ারি রুশ সামরিক যানগুলো ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দোনেতস্ক অঞ্চলে প্রবেশ করার পর সেগুলোর গায়ে প্রথম ‘জেড’ প্রতীকটি দেখা যায়। বেশ কিছু টুইটে দাবি করা হয়েছে যে, সামরিক বাহিনীর পদাতিক ইউনিটকে বোঝাতেই এই চিহ্নটি ব্যবহার করা হয়ে থাকতে পারে।
অবশ্য রুশ সামরিক যানে জেড প্রতীকের ব্যবহার এবারই প্রথম নয়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট’র তথ্য অনুযায়ী, ২০১৪ সালে রাশিয়া কতৃক ক্রিমিয়া দখলের সময়ও রুশ সামরিক যানগুলোর গায়ে ‘জেড’ চিহ্ন দেখা গিয়েছিল।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।