জুমবাংলা ডেস্ক: ঘটনাটি ২০১৭ সালের ২৮ মার্চ রাত ৯টা থেকে পরবর্তী ১৩ ঘণ্টার। ওই দিন আপন জুয়েলার্সের কর্ণধার দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদের জন্মদিন ছিল। বন্ধুরা মিলে রাজধানীর বনানীতে রেইনট্রি হোটেলে ওই রাতে জন্মদিন উদযাপন করেন তারা। সাফাতের জন্মদিনের ঠিক ১০ থেকে ১৫ দিন আগে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীর সঙ্গে পরিচয় হয় তার। তাদেরও আমন্ত্রণ জানানো হয় জন্মদিনের পার্টিতে। সময়মতো হাজিরও হয়েছিলেন তারা।
কিন্তু গভীর রাতে ওই শিক্ষার্থীদের একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে সাফাত ও তার বন্ধুদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ওই বছরের ৬ মে সাফাতসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে বনানী থানায় ধর্ষণ মামলা হয়। সেই মামলায় রায়ে আজ তাদের সবাইকে খালাস দিয়েছে আদালত।
আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ৭ এর বিচারক বেগম কামরুন্নাহারের আদালত এ রায় দেন।
খালাস পাওয়া বাকি চারজন হলেন- সাফাত আহমেদের বন্ধু সাদমান সাকিফ, নাঈম আশরাফ ওরফে এইচ এম হালিম, সাফাতের দেহরক্ষী রহমত আলী ও গাড়িচালক বিল্লাল হোসেন।
এ রায়ের পর সন্তুষ্ট প্রকাশ করেছেন আসামিরা। তারা বলেন, আদালতের মাধ্যমে সত্যের জয় হয়েছে।রায় শুনে কাঠগড়ায় থাকা পাঁচ আসামি আলহামদুলিল্লাহ বললেন। এরপর তারা বিচারকে উদ্দেশ্য করে হাত তুলে বলেন, আসসালামু আলাইকুম।
রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেন, মামলার দুই ভিকটিম আগে থেকেই সেক্সুয়াল কাজে অভ্যস্থ। অহেতুক তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রভাবিত হয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছেন। এতে আদালতের ৯৪ কার্যদিবস নষ্ট হয়েছে। এরপর থেকে পুলিশকে এ বিষয় সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছি। এছাড়া এরপর থেকে ধর্ষণের ৭২ ঘণ্টা পর যদি কেউ মামলা করতে যায় তা না নেওয়ারও পরামর্শ দেন আদালত।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।