জুমবাংলা ডেস্ক : নতুন রাজনৈতিক দল হিসেবে সম্প্রতি আত্মপ্রকাশ করা ‘গণ অধিকার পরিষদ’-এর আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়া। তার আরও একটি পরিচয় আছে- তিনি আওয়ামী লীগের সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ কিবরিয়ার ছেলে।
আয়কর নথিতে গরমিল এবং কর ফাঁকির অভিযোগে বৃহস্পতিবার তার বিরুদ্ধে নোটিশ জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এনবিআর-এর বিভিন্ন সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
২০১৮ সালের নির্বাচনী হলফনামায় ড. রেজা কিবরিয়ার দেওয়া তথ্যানুসারে, ঢাকার পূর্বাচলে ১০ কাঠা জমি, ধানমণ্ডিতে উত্তরাধিকারসূত্রে ১৪টি ফ্ল্যাট রয়েছে তার। এছাড়া গুলশানেও তার একটি ফ্ল্যাট রয়েছে।
প্রদত্ত তথ্যমতে, রেজা কিবরিয়া ব্যাংক আমানত থেকে বার্ষিক ৬ লাখ ৪৯ হাজার টাকা এবং পরামর্শক খাত থেকে ৮৫ লাখ টাকা আয় করেন। তার নামে ব্যাংকে ৯৭ লাখ টাকা, স্টক এক্সচেঞ্জে ১৭ লাখ টাকা, বিভিন্ন ধরনের সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ ৪০ লাখ টাকা, গাড়ি অর্জনকালীন মূল্য ১০ লাখ টাকা, ৫ লাখ টাকা মূল্যের স্বর্ণ, ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী ও আসবাবপত্র রয়েছে ২ লাখ টাকার।
শুধু তাই নয়, ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে বিভিন্ন গণমাধ্যমে এও প্রকাশ হয় যে, হবিগঞ্জের সবচেয়ে ধনী প্রার্থী রেজা কিবরিয়া।
তবে জানা গেছে, একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে বৈদেশিক লেনদেন, বিভিন্ন ব্যাংকে বিপুল পরিমাণ অবাণিজ্যিক আর্থিক লেনদেন এবং শেয়ার মার্কেটের বিনিয়োগের বিষয়টি তিনি আয়কর নথিতে গোপন করেছেন।
এছাড়া বিদেশি অনুদান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং ধানমন্ডি ও গুলশানের নিজ মালিকানাধীন সম্পত্তি থেকে প্রাপ্ত বিপুল আয় গোপন রেখে রেজা বরাবরই সর্বনিম্ন কর দেন। সম্পদ গোপন, মানি লন্ডারিং ও আয়কর ফাঁকির অভিযোগের প্রেক্ষিতে এই নোটিশ জারি করা হয় বলে জানিয়েছেন এনবিআর কর্মকর্তারা।
রেজা কিবরিয়া ধানমন্ডির সেই ১৪টি ফ্ল্যাট থেকে ভাড়া বাবদ প্রতিমাসে অন্তত দেড় কোটি টাকা আয় করেন। এছাড়া ২০১৫ সালে কোম্পানির ওয়েবসাইট উন্মোচনের মাধ্যমে ইন্টিগ্রো হোল্ডিংসের চেয়ারম্যান হিসেবে নিজেকে পরিচয় দেন রেজা কিবরিয়া।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।