জুমবাংলা ডেস্ক : শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার পরও রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এমএ বারীকে অব্যাহতি দেননি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপাচার্য অধ্যাপক এম আবদুস সোবহান। এ অবস্থায় শিক্ষকদের আপত্তির মুখে ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সভা স্থগিত করা হয়েছে। সভায় উপস্থিত একাধিক শিক্ষক সূত্রে জানা গেছে, সকাল ১০টায় ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সভা শুরু হতেই রেজিস্ট্রারকে নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েন ভিসি।
প্রথম প্রশ্ন তোলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. সুলতান উল ইসলাম। পরে বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক খলিলুর রহমান, জীব ও ভূবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলাম, মনোবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি ড. এনামুল হকসহ অন্য সদস্যরা বিষয়টি নিয়ে আপত্তি তোলেন।
ভর্তি কমিটির সদস্য ও মনোবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. এনামুল হক বলেন, সরকারি নির্দেশনায় রেজিস্ট্রারকে অব্যাহতি দিতে বলা হলেও ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সভায় রেজিস্ট্রার উপস্থিত ছিলেন। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবেই উপাচার্যকে বলেছি সরকারি নির্দেশনা থাকলেও রেজিস্ট্রারকে অব্যাহতি দেওয়া হয়নি। তার উপস্থিতিতে আমরা সভা করব না। উনাকে বাইরে যেতে বলেন, তা হলে আমরা সভা করব। যদি তাকে নিয়ে সভা করতে চান, তা হলে আমরা সভা থেকে বের হয়ে যাব।
ড. এনামুল আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনের ওই সভায় ভর্তি পরীক্ষা কমিটির প্রায় ৬০ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সদস্যদের দু-একজন
বাদে সবাই বলেছেন, তাকে (রেজিস্ট্রার) অব্যাহতি দেওয়ার পর ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সভা আয়োজন করতে হবে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্নীতিবিরোধী শিক্ষক সমাজের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. সুলতান উল ইসলাম। তিনি বলেন, সদস্যদের আপত্তির মুখেও উপাচার্য কিছুতেই রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এমএ বারীকে বাদ রেখে সভা করতে রাজি ছিলেন না। যুক্তি দেওয়া শুরু করেন তিনি। তখন বাড়ি দখলে রেখে সরকারের আর্থিক ক্ষতি করার বিষয়টি তুলে আমরা তার উপস্থিতিতেও সভা করব না বলে জানাই।
অধ্যাপক সুলতান বলেন, আমরা ভিসিকে বলি ‘অন্যান্য চিঠি এলে তড়িঘড়ি করে সিন্ডিকেট ডাকেন ছুটির দিনেও। নিয়োগ বোর্ড তড়িঘড়ি করে বসাতে পারেন। অথচ রেজিস্ট্রারের অব্যাহতির ক্ষেত্রে সিন্ডিকেট ডাকতে পারেননি। তার মানে আপনার অনিচ্ছা। তাই আপনার সঙ্গেও আমরা সভা করতে পারব না।’ এর পর উপস্থিত শিক্ষকদের সবার আপত্তির মুখে সভাটি ১০.৪০ মিনিটে স্থগিত করতে বাধ্য হন উপাচার্য।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা ও প্রক্টর অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমানও সভা স্থগিত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে তিনি কোনো কারণ বলেননি।
এ ব্যাপারে বক্তব্য নিতে উপাচার্য অধ্যাপক এম আবদুস সোবহানের মোবাইলে একাধিকবার কল দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। পরে তাকে ক্ষুদে বার্তা পাঠালেও কোনো উত্তর দেননি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।